| |

ব্রিটেনে করোনার মাঝেও প্রপার্টির দাম বেড়েছে ১৩.২%।তবে স্টাম্প ডিউটি থেকে বন্চিত £৪.৪ বিলিয়ন পাউন্ড।


মো: রেজাউল করিম মৃধা।

ব্রিটেনে প্রপার্টি বা হাউজিং মার্কেট বেশ কয়েক বৎসর ধরেই উর্ধ্বমূখী। কভিড-১৯ বা করোনাভাইরাস মহামারির সময় সরকারের হাউজিং খাতকে স্বচল রাখতে বা প্রপার্টিজ মার্কেটকে চাংগা রাখতে বিভিন্ন ধরনের সুযোগ সুবিধা ঘোষনা করে।

এর মধ্যে অন্যতম

১/ ফাস্ট বায়ার বা প্রথম বাড়ীর মালিককে £৫০০ হাজার পাউন্ড পর্যন্ত টাক্স ফ্রি।

২/ গত বছরের মার্চ মাস থেকে ৬ মাসের জন্য স্টাম্প ডিউটি ফ্রি। বা রেজিস্ট্রি ফি লাগবে না।

৩/ হেপ্ল টু বাই স্কীম।

৪/ অতি সহজে এবং দ্রুত লোন পাশ বা মর্গেজ করানো।

৫/ মর্গেজ ইন্টারেস্ট সর্বনিম্ন।

৬/ ফ্রি ভ্যালুয়েশন

৭/ ফ্রি লিগ্যাল কস্ট।

বাড়ি কেনার বিভিন্ন সুযোগ সুবিধার ফলে অনেক নতুন বাইয়ারই উৎসাহিত হয়ে বাড়ি কেনার প্রতি আগ্রহী হন, উৎসাহিত হন এবং বাড়ি কেনার শুরু করেন।করোনাভাইরাস আসার ফলে লকডাউনে যে আশংকা ছিলো সেই আশংকা দূর হয়ে যায়।যার ফলে প্রপার্টি মার্কেট নিম্ন মুখী না হয়ে উর্ধমুখী হতে থাকে।

ব্রিটিশ সরকারের রেগুলেটর বডি, ওএনও এবং এইচএমআরসির তথ্য মতে করোনাভাইরাস মহামারির মাঝেও ব্রিটেনে প্রপার্টির দাম বেড়েছেই শতকরা ১৩.২% ।

যা প্রত্যাশার চেয়ে অনেক বেশী।

প্রপার্টির বা হাউজিং বিক্রী বাড়লেও সরকার স্টাম্প ডিউটি বা রেজিস্টেশন ফি থেকে বন্চিত হয়েছে £৪.৪ বিলিয়ন পাউন্ড।বাড়ি কেনায় সরকারকে রেজিস্ট্রি ফি বাবদ অর্থ দিতে হয় নাই এর ফলে সরকার রাজস্বে থেকে £৪.৪ বিলিয়ন পাউন্ড অর্থ পাননি। তবে হাউজিং মার্কেট স্বচল থাকায় অর্থনৈতিক চাকা চাংগা রয়েছে এইটাই বা কম কিসের।

ওএনও এবং ল্যান্ড রেজিস্টারির তথ্যমতে গত ১২ মাসে ব্রিটেনে প্রপার্টির দাম বেড়েছে অস্বাভাবিক ভাবে।

১/ ইংল্যান্ডে গড়ে £২৬৮,০০০ মধ্যে প্রপার্টির দাম বিক্রী হয়েছে সবচেয়ে বেশী গড়ে বেডেছে ৮.৯% পারসেন্ট।

২/ ওয়েলসে £১৮৫,০০০ দামের বাড়ির দাম বেডেছে শতকরা ১৫.৬% পারসেন্ট।

৩/ স্কটল্যান্ডে গডে £১৬১,০০০ দামের বাডির দাম বেডেছে ৬.৩% পারসেন্ট।

৪/ নর্দান আইল্যান্ডে £১৪৯,০০০ গড়ে বাড়ির দাম বেডেছে শতকরা ৬.০% পারসেন্ট।

গবেষকদের তথ্যমতে ২০২২ সালে প্রপার্টির দাম আরো ২.৫% বাড়তে পারে। ব্রিটেনে প্রতি ১০ বছর পর পর বাড়ির দাম প্রায় ডবল হয়ে যায়।১৯৮০ সাল থেকে ২০২০ সালের বাড়ীর দাম দেখলেই তা সহজে মিলে যাবে। এর মধ্য ১৯৯০ থেকে ১৯৯৫ সালে বাড়ির দাম ফল করেছিলো বা দাম কমে ছিলো। ১৯৯৫ সালের পর থেকে আর দাম নিম্নমুখী হয়নাই। প্রপার্টির দাম দিন দিন বেড়েই চলছে।পুরাতন বাড়ি যেমন বিক্রী হচ্ছে তেমন নতুন নতুন বাড়ী বা ফ্লাট নির্মান হচ্ছে। নির্মাণের আগেই বুকিং অথবা নির্মান শেষ হতে না হতেই প্রপার্টি বিক্রী হয়ে যাচ্ছে। তেমনি একটি প্রপার্টি মার্কেট আসার সাথে সাথে বিক্রী হয়ে যাচ্ছে।


Similar Posts