ব্রিটেনের হিথ্রো বিমানবন্দরে যাত্রীদের করোনা পরীক্ষা সহ প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র তৈরি করতে ঘন্টার পর ঘন্টা লাইনে থাকতে হচ্ছে।
মো: রেজাউল করিম মৃধা।
করোনাভাইরস মহামারি থেকে সুরক্ষার জন্য ব্রিটেশ সরকারের চেস্টার শেষ নেই।এক দিকে লক ডাউন অপর দিকে কঠিন নিরাপত্তার মাধ্যমে বিশেষ প্রয়োজনে বিমান যাতায়াত করা হচ্ছে। বিমানে যাতে কোন ভাবেই করোনাভাইরস বহন করা না হয় সেদিকে কঠোর ব্যাবস্থা নিচ্ছে সরকার।
এই জন্য কঠোর সীমান্ত নিয়ন্ত্রণের কারনে সাত ঘন্টা অবধি কিছু যাত্রী হিথ্রো বিমানবন্দরের লাইনে থাকতে হয়েছে।
রবিবার ভোর বেলা অবধি যাত্রীরা সারিবদ্ধভাবে না খেয়ে মেঝেতে শিশুকে খাওয়ানো হচ্ছে বলে একজন বর্ণনা করেছেন।
সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ কর্মীদের একটি ইউনিয়ন বলেছে যে সংক্রমণ রোধে ডিজাইন করা কর্মীদের জন্য কোভিড সুরক্ষা ব্যবস্থাগুলিকে দোষ দেওয়া হয়েছিল।তবে যাত্রী অনুযায়ী সেবাদানকারি কর্মীদের সংখ্যা কম হওয়াতে এই সমস্যার সৃস্টি হয়েছে।
সীমান্ত ও ইমিগ্রেশন ইউনিয়ন আইএসইউর সাধারণ সম্পাদক লুসি মোরটন বলেন,”ক্রস সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে ১০ জন ব্যক্তিকে বুদবুদ করা হয়েছে – তবে এর অর্থ যখন প্রয়োজন তখন অতিরিক্ত কর্মী মোতায়েন করা আরও কঠিন ছিল। পরিস্থিতি বাধ্য করেছে তবে অতি শতর্কতা অবলম্বন করা সবার জন্যই মংগলজনক,”।
তবে হোম অফিস এই অ্যাকাউন্টটিকে বিতর্কিত করেছে। এতে বলা হয়েছে যে রবিবার “বিপুল সংখ্যক যাত্রী” কোয়ারেন্টাইনের সময় প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষার কিটগুলি কিনতে না পারায় এই সারিগুলি সংঘটিত হয়েছিল।
“হোম অফিসের স্পোকেন পারসন বলেন,”প্রতিটি প্রয়োজনীয় তদন্ত ইউকেতে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া বন্ধ করবে এই ব্যক্তিদের তাদের পরীক্ষার প্যাকেজ ছাড়া ভ্রমণ করার অনুমতি দেওয়া উচিত হবে না এবং আইনটি কার্যকর হয়েছে তা নিশ্চিত করার জন্য আমরা নিয়ন্ত্রক এবং বাহকদের সাথে অনুসরণ করে চলেছি,” কিছুটা সময় নিলেও আমরা চাইনা নতুন করে কেউ করোনা আক্রান্ত হোক,”।
রবিবার সকালে যাত্রীরা সাত ঘন্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার পর তাদের গন্তব্যে যেতে পেরেছে। এই দীর্ঘ সময় যাত্রীদের দারুন কস্ট হয়েছে বিশেষ করে যাদের সাথে ছোটোছোটো শিশুরা ছিলো। এই ধরনের পরিস্থিতি যেন ভবিষ্যতে না হয় সেজন্য কর্তিপক্ষকে প্রস্তুত থাকতে হবে।