ব্রিটেনের সুপার মার্কেট থেকে করোনা ছড়িয়ে পরার আশংকা বিজ্ঞানীদের।
মো: রেজাউল করিম মৃধা ।
কভিড-১৯ বা করোনাভাইরস মহামারি এখন এক মহা আতংকের নাম। কে? কখন ? কোথায় ? কিভাবে ? এই রেগে আক্রান্ত হবেন? কেউ জানেন না। তবে শতর্কতাই হচ্ছে একমাত্র পথ। অন্যের সংস্পর্শ বা অন্যের হাঁসি কাশির মাধ্যমেই এই রোগ ছড়ায়। সরকার এই রোগ প্রতিহত বা নিয়ন্ত্রে আনার জন্য লক ডাউন দিয়েছে।
কিন্তু নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য বা খাবারের জন্য সুপার মার্কেট গুলি খোলা রয়েছে।সেই সুপার মার্কেটে অনেক লোক বাজার করতে আসেন। অনেকেই সরকারি নিয়মনীতির তুয়াক্কা করেন না।মুখে মাক্স নেই। হাতে গ্লাব্স বা হ্যান্ড সেনেটাইজার নেই। মানছেন না সামাজিক দূরুত্ব ।
সুপারমার্কেট থেকে কোভিড-১৯ ছড়িয়ে পড়তে পারে এমন আশঙ্কা করছে বৃটিশ কর্তৃপক্ষ। সেখানে ক্রেতারা মাস্ক পরাসহ অন্যান্য নির্দেশনা মানছেন না বলেই এমন আশঙ্কা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন দেশটির করোনা ভ্যাকসিন বিষয়ক মন্ত্রী নাদিম জাহাওয়ী।
সোমবার স্কাই নিউজকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি কথা জানান। এতে তিনি বলেন, সুপারমার্কেটগুলোর মানুষকে মাস্ক পরাসহ অন্যান্য নির্দেশনা মানতে বাধ্য না করা নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। আমাদের নিশ্চিত করতে হবে যে, ক্রেতারা নির্দেশনা অনুসরণ করছেন।
সুপারমার্কেটগুলোতে নিরাপদ সীমার বেশি মানুষ প্রবেশ করছে তখন তারা বাইরে অপেক্ষা করছেন। মন্ত্রী বলেন, আমরা সবাইকেই বলতে চাই, একেবারে সবাইকেই। এই আইনগুলো কারো ওপর জোর করে চাপিয়ে দেয়ার জন্য নয়। এই নিয়মগুলো হচ্ছে যাতে করে আমরা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে পারি।
সরকার আন্তরিক ভাবে করোনাভাইরস মোকাবেলার জন্য চেস্টা করে যাচ্ছে। আমাদের ও সরকারের নিয়মনীতি বা গাইড লাইন্স নেমে চলতে হবে। সবার সহযোগিতায় করোনাভাইরস নিয়ন্ত্রনে আসবে। খুব জরুরী প্রয়োজনে এবং যথাযথো সরকারি গাইড লাইন্স মেনেই সুপার মার্কেট শপিং এ যাওয় উচিত।
ব্রিটেনে গত ২৪ ঘন্টায় (সোমবার )করোনাভাইরাসে আরও ৫২৯ জন মারা গেছেন।২৪ ঘন্টায় আরও ৪৬,১৬৯ জন আক্রান্ত রেকর্ড করা হয়েছে। আল্লাহ আমাদের সবাইকে হেফাজত করুন আমিন।