ব্রিটেনের ঐতিয্যবাহি সাংবাদিকদের সংগঠন,
লন্ডন বাংলা প্রেসক্লাবের ক্রয়কৃত নিজস্ব প্রপার্টির আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন করলেন ক্লাবের নেতৃবন্দ।


মো: রেজাউল করিম মৃধা।

গত মঙ্গলবার যুক্তরাজ্য সময় বিকাল ৫টায় লন্ডনে

বাংলাদেশের বাইরে প্রথম ও পুরাতন বাংলাদেশী সাংবাদিকদের ঐতিয্যবাহি সংগঠন লন্ডন বাংলা প্রেসক্লাব তাদের ক্রয়কৃত প্রপার্টির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।

করোনা পরিস্থিতির বিধি নিষেধের কারনে শুধুমাত্র ক্লাবের প্রতিষ্ঠাকালীন থেকে সকল প্রেসিডেন্ট, সেক্রেটারী, ট্রেজারার, ভাইস প্রেসিডেন্ট উপস্থিত থেকে ক্লাবের প্রপার্টির উদ্বোধন করেন।

পূর্ব লন্ডনের ইলফোর্ডে ১ বেডরুমের প্রপার্টি ক্রয় এবং ক্রয় পরবর্তী মেরামতসহ প্রায় ২০০ হাজার পাউন্ড খরচ হয়েছে। এই পুরো টাকাটাই গত ২৮ বছর ধরে বিভিন্ন সময় কমিউনিটির বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যবসায়ী, নেতৃবৃন্দকে লাইফ মেম্বার হিসাবে অন্তর্ভূক্ত করার মাধ্যমে জমা হয়েছে। লন্ডন বাংলা প্রেসক্লাবে সারা যুক্তরাজ্যে কর্মরত সাংবাদিক, মিডিয়া কর্মী মিলিয়ে ৩১৮ জন মেম্বার রয়েছেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন লন্ডন বাংলা প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি মহিব চৌধুরী, সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ বেলাল আহমেদ, সৈয়দ নাহাস পাশা, সাবেক সেক্রেটারী নজরুল ইসলাম বাসন, সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট মাহবুব রহমান, আমিরুল চৌধুরী, সাবেক কোষাধ্যক্ষ মুসলেহ উদ্দিন, বর্তমান সভাপতি এমদাদুল হক চৌধুরী, সেক্রেটারী মুহাম্মদ জুবায়ের, কোষাধ্যক্ষ আ স ম মাসুম, ভাইস প্রেসিডেন্ট ব্যারিষ্টার তারেক চৌধুরী, সহ সেক্রেটারী মতিউর রহমান, কমিউনিক্যাশন সেক্রেটারী মোহাম্মদ আব্দুল কাইয়ূম, আইটি সেক্রেটারী সালেহ আহমেদ, ইভেন্ট সেক্রেটারী রেজাউল করিম মৃধা, নির্বাহী কমিটির সদস্য আব্দুল কাইয়ূম, পলি সুলতানা, রুপি আমিন ও শাহনাজ সুলতানা।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্যে লন্ডন বাংলা প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি মহিব চৌধুরী বলেন, জীবনে ব্যাক্তিগতভাবে নানা প্রপার্টি ক্রয় করেছি। কিন্তু সম্মিলিতভাবে এই কাজটির শুরু আমার নেতৃত্বে শুরু করেছিলাম, সেটা আজ বাস্তবায়ন হলো যেটা আমার জীবনের অন্যতম বড় তৃপ্তি।

সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ বেলাল আহমেদ বলেন, প্রতিটা কমিটির গত ২৮ বছরের স্বপ্ন এবং প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন হলো এই প্রপার্টি।

সাবেক সভাপতি সৈয়দ নাহাস পাশা বলেন, প্রথম যখন ফান্ড রেইজিং শুরু হয় তখন মাইলের পর মাইল ড্রাইভ করে ব্রিটেনের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে গিয়েছি। এতো বছর ধরে সেই টাকাগুলো সঠিক ভাবে কাজে লেগেছে এটা বিশাল অর্জন।

ক্লাবের বর্তমান সভাপতি এমদাদুল হক চৌধুরী বলেন, এই অর্জন পুরো ক্লাবে শুরু থেকে এখন পর্যন্ত যারা দায়িত্বে আছেন তাদের। আমরা কৃতজ্ঞ আমাদের ডোনার ও লাইফ মেম্বারদের প্রতি। উনাদের সংশ্লিষ্টতা ল-ন বাংলা প্রেসক্লাবকে কমিউনিটির মধ্যে অন্যতম মর্যাদাশীল সংগঠনে পরিনত করেছে।

বর্তমান সেক্রেটারী মুহাম্মদ জুবায়ের বলেন, এই অর্জনের সাফল্য সবার। শুরু থেকে যাদের ডোনেশন ক্লাবকে আর্থিক সম্মৃদ্ধি দিয়েছে, শেষ মুহুর্তে এসে প্রায় ৩০ হাজার পাউন্ড সংগ্রহে অনেকে কর্পোরেট সদস্যও হয়েছেন যা আমাদের দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্নের বাস্তবায়ন হয়েছে।

বর্তমান কোষাধ্যক্ষ আ স ম মাসুম বলেন, ডোনার ও সাধারণ মেম্বারদের প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞতার শেষ নেই। এই প্রপার্টি কেনার মধ্য দিয়ে লন্ডন বাংলা প্রেসক্লাবের আর্থিক নিরাপত্তার বিষয়টি নিশ্চিত হলো। এখান থেকে বছরে যে ভাড়া আসবে সেটা দিয়ে ব্রিকলেনের অফিসের খরচ চলবে, সেই সাথে ক্লাবের সদস্য ফি ও অন্যান্য যেসব আয় আছে সেগুলো দিয়ে ক্লাবের এক্টিভিটিস গুলো ভালোভাবে চলবে।


Similar Posts