ব্যাথার জন্য ঔষধ সেবনের চেয়ে, শারীরিক ব্যায়াম বেশী কার্যকর।

মো: রেজাউল করিম মৃধা।
ব্রিটেনের ন্যাশনাল ইনিস্ট্রিডিউট ফর হেল্থ এ্যান্ড কেয়ার এ্যাকিসিলেন্সের (NICE) এর গবেষনায় উঠে এসেছে। কথায় কথায় আর ঔষধ নয়। ঔষধের চেয়ে শারীরিক ব্যায়াম অনেক বেশী কার্যকর ।
ক্রনিক ব্যাথার জন্য পেইন কিলার না খেয়ে আপনি যদি এক্সাইর্সাইজ বা শারীরিক ব্যায়াম করেন তবে বেশী উপকার হয়। প্রতিটি হেল্থ সেন্টারেপ জিপিদের এখন থেকে পেইন কিলার মেডিসিন এর পরিবর্তে রোগীদের শারীরিক ব্যায়াম করার জন্য উৎসাহিত করার পরামর্শ দিতে বলা হচ্ছে।
দি ফিজিকোলজিক্যাল ট্রিটমেন্ট কমিটিভ বিহেভার থেরাপি CBT এবং অক্সেপ্টেন্স এ্যান্ড কমিটান্ট থেরাপি ACT পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। NICE এর গবেষনা তথ্য বহুল কিন্তু মানুষ যখন বেশী ব্যাথা অনুভব করেন তখন ঔষধ সেবনের বিকল্প থাকে না।
NICE এর ডিরেক্টর ডা: পাউল ক্রীস্প বলেন,” আমরা প্রমান সাপেক্ষেই বলতে চাই ক্রনিক পেইনের জন্য ঔষধের চেয়ে শারিরীক ব্যায়াম অনেক কার্যকর,”।
দি রয়েল কলেজ অফ জিপিস পক্ষ থেকে বলা হয়েছে প্রতিটি মানুষের সুস্থ্য থাকার জন্য তার অভ্যাসের পরিবর্তন করা উচিত। কোন ধরনের ব্যাথা হলেই ঔষধ না খেয়ে শারিরীক ব্যায়াম করা উচিত। ব্যাথা চরম আকারে গেলে হয়তো ঔষধ সেবন করা যেতে পারে,”।
ফ্যানিলি ডাক্তার বা জিপির আরো দায়িত্বশীল হওয়ার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে NICE । জিপি ঔষধ না দিয়ে ব্যায়ামের পরামর্শ দিবেন এবং ঔষধ সেবন করলে পরবর্তিতে শারিরীক কি কি ক্ষতি হতে পারে? সে গুলি তুলে ধরলে রোগীরা বেশী উপকৃত হবেন।
ইংল্যান্ডের প্রায় ১২ মিলিয়ন মানুষ কথায় কথায় ঔষধ সেবন করে থাকেন। এদের মধ্যে ডিপ্রেশন, হতাশা, মাথা ব্যাথা বা শারীরিক অন্যান্য ব্যাথা, ইনস্মানিয়া সহ যে কোন ধরনের উপসর্গ হলেই ঔষধ সেবন করা হয়। আসলে ঐ সময় কিছুটা ব্যাথা নিরাময় হলেও পরবর্তীতে ঐ ঔষধ গুলি শরীরের অন্যান্য সমস্যার সৃস্টি করে। তাই ঔষধ সেবনের চেয়ে শারিরীক ব্যায়াম করা উচিত।