বৃটেনে “বেবী সটেজ”।
সন্তান নেওয়ার হার অর্ধেক।

মো: রেজাউল করিম মৃধা।
দি সোসাল মার্কেট ফাউন্ডেশন SMF এর তথ্য অনুযায়ী ব্রিটেনে সন্তান নেওয়ার হার অর্ধেকে নেমে এসেছে। দীর্ঘ সময়ের জন্য নতুন প্রজন্ম যেমন গ্যাপ হচ্ছে ঠিক তেমনি অর্থনৈতিক অবস্থা হবে আরো ভয়াবহ।
গবেষনায় উঠে এসেছে,” ব্রিটেনের শতকরা ২২% পার্সেন্ট প্যারেন্ট্স তার বেতনের প্রায় অর্ধেক অর্থ ব্যায় করেন চাইল্ড কেয়ার এবং চাইল্ডের পিছনে। এই বৃহৎ খরচ বাঁচাতে অনেক প্যারেন্ট্স আর সন্তান দিতে অনাগ্রহ প্রকাশ করেছেন।সেই সাথে চাকরি করে সন্তান সামাল দেওয়া অনেক প্যারেন্ট্স ঝামেলা বা ঝুঁকি নিতে চান না এ কারনে সন্তান নেওয়ার সংখ্যা দিন দিন কমে আসছে,”।
১৯৬৮ সালে ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসে সন্তান নেওয়ার গড় হার ছিলো ২.৯৩ পার্সেন্ট কিন্ত ২০২০ সালে সন্তান নেওয়ার হার মাত্র ১.৫৮ পার্সেন্ট।সন্তান নেওয়ার হার অর্ধেকে নেমে এসেছে। এই হারে সন্তান নেওয়া হলে বিশাল আকারে সন্তানের গ্যাপ সৃস্টি হবে।
অনেক প্যারেন্ট্স আবার নিজেরা সন্তান না নিয়ে এ্যাডাপড বা দত্তক নিয়ে থাকেন। সেই সংখ্যাও অস্বাভাবিক হারে কমে যাচ্ছে।
গবেষনায় আরো উঠে এসেছে ২০৫০ সালের মধ্য নতুন সন্তান নেওয়ার আরো কমে যাবে। তখন ব্রিটেন হতে পারে জন শূন্য। ৬৫ বৎসর পর ব্রিটেনে জন সংখা শূন্যের কোঠায় যেতে পারে।
এই সমস্য শুধু যে ব্রিটেনে তা নয় সারা ইউরোপ জুড়েই এর প্রভাব পরছে। ইতালী এবং ফ্রান্স নতুন সন্তান নিলে সন্তান এবং প্যারেন্ট্স দের জন্য আর্থিক অনুদান সহ বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা দিয়ে নতুন সন্তান নেওয়ার জন্য উৎসাহিত করছে।
গবেষকদের মতে বৃটিশ সরকার নতুন পযারেন্ট্স বা বাবা মাকে সন্তান নেওয়ার জন্য উৎসাহিত করতে হবে। সেই সাথে চাইল্ড কেয়ারের আরো সুযোগ সুবিধা দিতে হবে। তবেই হয়তো নতুন প্যারেন্ট্সরা সন্তান নিতে উৎসাহিত হবেন।
চীফ ইকোনোমিস্ট ড: অ্যাভেক বাতাসারিয়া বলেন,” সন্তান না নেওয়া এক বিশাল এলার্মিং হুমকি বেবী সটেজ বা সন্তান নেওয়ার জন্য প্যারেন্টসদের উৎসাহিত করার দায়িত্ব সরকারের,”।
থিংক থাংক বলা হচ্ছে,” ব্রিটিশ সরকার পপোলেশন ক্রাইসেসে পরতে যাচ্ছে।এটা দেশের জনসংখ্যা যেমন প্রভাব পরবে ঠিক তেমনি অর্থনৈতিক ভারসাম্য ব্যাহত হবে।জনসংখ্যা ক্রাইসেস থেকে উত্তরণের জন্য সরকারকে দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহন করতে হবে”।
সূত্র:- বিবিসি