বৃটেনে বার্ড ফ্লু আক্রমন,দিশে হারা পল্ট্রি ফার্ম গুলি।

মো: রেজাউল করিম মৃধা।
মরার উপর খড়ার ঘা। কভিড-১৯ করোনাভাইরাস এর একের পর এক নতুন ভ্যারিয়েন্টের আক্রমনে প্রতিদিনই আক্রান্ত এবং মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। নতুন ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট থেকে রক্ষার জন্য প্লান বি চালু করতে যাচ্ছে সরকার সেই খানে নতুন করে বার্ড ফ্লুর আক্রমন আরো বড় ঝুঁকির মধ্যে পরতে যাচ্ছে।
পাখির মাধ্যমে H5N1 বার্ড ফ্লু ভাইরাস দ্রুত ছড়িয়ে পরে।পল্ট্রি ফার্ম থেকে এই রোগ মানুষের শরীরে ছড়িয়ে পরে।পল্টি ফার্মের হাঁস কিম্বা মুরগী বার্ড ফ্লুতে আক্রান্ত হলে সেই রোগ পল্টি ফার্মের মালিক , শ্রমিক থেকে হোল সেলার বা বিক্রেতা এবং বিক্রেতা থেকে ক্রেতা এই ভাবে এই বার্ড ফ্লু একে থেকে অন্যকে আক্রান্ত করে।এমনকি এই ভাইরাসের আক্রান্ত মানুষটির কাপড়, জুতা এমন কি ব্যাবহারের জিনিসপত্র থেকেও অনায়াসে অপর জন আক্রান্ত হতে পারে।
ব্রিটেনের চীফ ভ্যারিয়েন্ট অফিসার ক্রিস্টান মিডলেমিস বলেন,” গ্রেট ব্রিটেনে ৩৮টি ইংল্যান্ডে ৩৩টি নর্দান আইল্যান্ডে ২টি পল্টি ফার্মে বার্ড ফ্লু পাওয়া গেছে।২০০৩ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত H5N1 বা বার্ড ফ্লু ভাইরাসে ৮৬৩ জন আক্রান্ত হয়ে ৪৫৬ জন মানুষ মৃত্যু বরন করেন। এই রোগে মৃত্যু সংখ্যা এশিয়ার মানুষরা বেশী,”।
১৯৯৭ সাল থেকে H5N1, ২০১৩ সালে H7N9, ২০১৫ সালে H5N8 এবং ২০২১ সালে পূনরায় H5N1 বার্ড ফ্লু ২১শে নভেম্বর নর্থ ইয়ার্কশায়ারে পল্টি ফার্মে পাওয়া যায়। এর পর থেকেই পল্টি ফার্ম গুলি বিশেষ ব্যাবস্থা গ্রহন করেছে। ২২,১০০ হাঁস এই রোগে আক্রান্ত হয়েছে বলে ধারনা করছেন বিশেষজ্ঞরা।
এন এভিয়ান ইনফ্লুয়েন্স প্রিভেন্ট জোন AIPZ ইংল্যান্ডের ৮টি প্রেমিসেসের ৩ থেকে ১০ কিলোমিটার পর্যন্ত সাধারন মানুষকে প্রবেশে কঠোরতা আরোপ করা হয়েছে।
বার্ড ফ্লু ভাইরাসে আক্রান্তের ফলে বহু পল্ট্রি ফার্ম বন্ধের হুমকির মধ্য আছে এর ফলে পল্টি ফার্ম গুলি অর্থনৈতিক ভাবে বেশ ক্ষতির সম্মুখে পারবে যার ফলে দিশেহারা পল্টি ফার্মের মালিকরা।
সূত্র:- দি গার্ডিয়ান।