“বার্ড ফ্লু”তে আক্রান্ত নর্দান আইল্যান্ডের পল্ট্রি ফার্ম গুলি।
মো: রেজাউল করিম মৃধা।
মরার উপর খড়ার ঘা, বিপদের উপর মহা বিপদ। করোনার বিপদ, ব্রেক্সিট সব মিলিয়ে এক ক্লান্তি কাল অতিবাহিত করছে সমগ্র ব্রিটেন।
করোনার রোগী সামাল দিতেই হিমশিম খাচ্ছে। ব্রেক্সিটের কারনে ইউরোপের বিভিন্ন দেশ দেশে পন্য আসা যাওয়ার মধ্য চলছে সংকট এরমধ্যে পল্ট্রি ফার্ম বা মুরগীর খামারে বার্ড ফ্লু বা মুরগীর মরন ব্যাধিতে আক্রান্ত আর এক সমস্যায় ফেলে দিয়েছে।
গত ২৩শে ডিসেম্বর ২০২০ নর্দান আইল্যান্ডের কান্ট্রি আট্টিম এলাকায় অবস্থিত পল্ট্রি ফার্ম গুলিতে বার্ড ফ্লু ধরা পরেছে। ইতিমধ্যে ৩০ হাজার মুরগীকে ধংস করা হয়েছে।
এই সব ফার্ম থেকে পল্ট্রি বা মুরগী সংগ্রহ থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। সেই সাথে ৩ থেকে ১০ কিলোমিটারের মধ্যে অন্য ফার্ম গুলিকে ও শতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
বার্ড ফ্লু প্রভাবে ডিমের মহা সংকট দেখা দিতে পারে বলে ও ধারনা করছেন বিজ্ঞজনেরা।
১৯৯৮ সালে প্রথম পল্ট্রি ফার্ম গুলিতে ধরা পরেছিল এব বহু বছর পর আবার ব্যাপক হারে এই ফ্লু ধরা পরলো।
পল্ট্রি ফার্ম গুলি বছরে আয় £৭৫০ মিলিয়ন পাউন্ড।৬৫০ ফার্মে বহু শ্রমিক কাজ করছেন। পল্ট্রি ফার্ম গুলিতে মুরগীর সাথে সাথে পাখি, হাঁস সহ অন্যান্য প্রানী ও রয়েছে। বার্ড ফ্লু র প্রভাব পরবে সব খানে।
তবে পাবলিক হেল্থ এডভাউজ বুরো বলছে,” বার্ড ফ্লু আক্রান্ত হয়ে কোন মানুষ মারা যায় না’”।
ফুড স্ট্যান্ডার্ড এজেন্সি বলছে’” এই রোগ খাবারে তেমন ক্ষতি হয় না’”।
এই করোনা মহামারির সময় বার্ড ফ্লু আর এক আতংকের ফেলে দিলো। স্বাস্হ্য খাদে আরো ভয়াবহতা সৃস্টি হচ্ছে। ডিম এবং মুরগীর দাম বেড়ে যেতে পারে। খাবারে অনিহা সৃস্টি হতে পারে।
নর্দান আইল্যান্ডের ভেট এর চীফ রোবের্ট হেই বলেছেন,” পল্ট্রি ফার্মের মালিক দের আরো শতর্ক এবং স্বচেতন থাকতে হবে। তিনি আরো মনে করেন, বড় দিনের লম্বা ছুটির কারনে শ্রমিকরা ফার্ম পরিচর্চা করতে ব্যার্থ হওয়ার ফলেও এই রোগ বা ফ্লু হতে পারে। তবে সঠিক ব্যাবস্থা গ্রহন করলে অতি দ্রুত এ সমস্যার সমাধান হবে,”।