| | |

বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বৎসর পূর্তি সুবর্ণ জয়ন্তীতে ৫০ ঊর্ধ্ব দের অংশ গ্রহনে ৫০ বলের ক্রিকেট ম্যাচ অনুস্ঠিত।


মো: রেজাউল করিম মৃধা।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তিকে আলিঙ্গন করতে বয়সের বাধ ভেঙ্গে নেমে পড়েছিলেন খেলার মাঠে । ৫০ ঊর্ধ্ব দের নিয়ে আয়োজন ছিল দিন ব্যাপী ৫০ বলের ক্রিকেট খেলা ।

গত মঙ্গলবার এসেস্কসের গুড মেইজের স্থানীয় একটি মাঠে অনুষ্ঠিত হওয়া এই খেলায় পূর্ব নির্ধারিত পঞ্চাশ জন খেলোয়াড় জমায়েত হয়ে কেক কেটে জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে সেই সব বীর সন্তান্দের স্মরণ করলো সেই সব বীর সন্তানদের যাদের অবদানে আজকের এই বাংলাদেশ ।বাঙ্গালী আবারো স্মরণ করিয়ে দিলো যেখানেই তারা থাকে দেশ মাত্রিকা তাদের বুকে ধারন করে রাখে ।লন্ডন এবং  আনাচে কানাচে তো বটেই তার পরও  অর্থাৎ কার্ডিফ থেকে অক্সফোর্ড আর লুটন থেকে কেন্ট সহ চারিদিক থেকে ছুটে আশে সাকিব মুসফিক তামীমদের পূর্ব সুরীরা সারাদিনের জন্য সব ভুলে নেমে পড়ে মাঠে লাল সবুজ দুই দলে ।

লাল সবুজ বুকে ধারন করে প্রায় ঘণ্টা চারেক মসগুল ছিল খেলায় ।সমানে সমান কেহ নাহি ছাড়ে কারে ।লাল দল টসে জিতে সবুজ দলকে পাঠায় ব্যাট করতে ।আর লাল দলের বর্ষীয়ান অধিনায়ক শাহগীর বখত ফারুখের শিধান্ত তার দলের বোলাররা সঠিক বলেই প্রমান করে দেন তারা ৫০ বলে সবুজ দলকে মাত্র ছাব্বিশ রানে আটকে রাখে ।

সমনে সমান লাল দল ব্যাট করতে নেমে গলদঘর্ম সাতাস রান করতে তাদের খেলতে হয় চুয়াল্লিশ বল মনে হচ্ছিল এ যেন সম্প্রতি শেষ হওয়া বাংলাদেশ অস্ট্রেলিয়া ম্যাচ ।

এসেক্সের গুডমেইজের ক্রিকেট মাঠটি কিছু সময়ের জন্য হয়ে উঠেছিল বাংলাদেশী কমিউনিটির বিভিন্ন পর্যায়ের শুধীদের পদচারনায় মুখরিত ।তবে ঐ ঘণ্টা চারেক তাদের পরিচয় ছিল একা ছাতার নীচে দুইটি দল পরনে ছিল  বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের রিপ্লিকা জার্সি লাল সবুজ দুই রঙের । পরনে লাল সবুজ জার্সি বুকে ধারন করা প্রীয় মাতৃভূমি বাংলাদেশ ।

লাল সবুজ দুই দলে ভাগ হয়ে অংশগ্রহন করেন যথাক্রমে শাহগীর বখত ফারুখ((অধিনায়ক লাল দল) কাউন্সিলর (সাবেক মেয়র) পারভেজ আহমেদ (অধিনায়ক সবুজ দল) আহমেদ উস সামাদ চৌধুরী জেপি চেয়ারম্যান চ্যানেল এস,, জাকির খান, হাফিজ আলম বক্স প্রধান নির্বাহী এ টি এন বাংলা ইউকে আহবাব হোসেন স্পিকার টাওয়ার হ্যাঁমলেট কাউন্সিল, কাউন্সিলর আলী আহমেদ ডেপুটি লর্ড মেয়র কার্ডিফ , শিহিদুল আলম রতন, তোফাজ্জুল মিয়া, আবু সুফিয়ান ঝিলাম, আনফর আলী, দৌলত খান বাবুল, অলী খান এম বি ই, এমকে জামান জুয়েল,মিঠূ চৌধুরী।

মোসতাক বাবুল,হাফিজ আলম বক্স, শাহ ইউসুফ, সুলেমান আহমেদ, সরোয়ার হুসেইন, আব্দুল করিম নাজিম,আশহাব বেগ,বশির আহমেদ, সাবেক কাউন্সিলর আবজাল মিয়া, জি আর চৌধুরী ফারুক, মনির আহমেদ, আনা মিয়া, সাব উদ্দিন,মসুদ বক্স, মোস্তফা কামাল ,আমিরুল চৌধুরী, এম এ বারী, বেলাল আহমেদ, মাহফুজুর রব (মাফি),মোহাম্মদ মুনিম সালিক, আজিজুর রহমান।

বজলুর রশিদ এম বি ই,নাজমুল ইসলাম নুরু,মুহিব চৌধুরী (লন্ডন বাংলা প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি),শাহনুর খান,শামীম লুধী, মিসবাহ জামাল, আমিরুল চৌধুরী, আসাদুজ্জামান, মুহিবুর রহমান মুহিব,জামাল উদ্দিন মকোদ্দুস, আসাবুল হুসেন, ডক্টর সানোয়ার চৌধুরী, সাবেক কাউন্সিলর মাইয়ুম মিয়া। এই প্রিতি ম্যাচটিতে আম্পায়র এর দায়িত্ত পালন করেন লন্ডন ক্রিকেট লীগের দুই দায়িত্তশীল কর্মকর্তা নাহিদ নেওয়াজ রানা এবং তাহসিন ।

এছাড়াও অতিথি হিসাবে এই আনন্দ ঘন অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন এ কে এম জাকারিয়া বাংলাদেশ দুতাবাসের কমার্শিয়াল কাউন্সিলর , সঙ্গীত  শিল্পী  আলাউর রহমান এবং রুবাইয়াত জাহান , সঙ্গীত পরিচালক রাজা কাশিফ,সাবেক কাউন্সিলর শহিদ আলী, আক্তার মিয়া, এবং কাউন্সিলর ফয়জুর রহমান আরও অনেকে ।

খেলা শেষে স্কল খেলোয়াড়দের হাতে মেডেল তুলে দেন আয়োজক গনদের মাঝে  যথা ক্রমে লন্ডন ক্রিকেট লীগের চীফ প্যাট্রোন জাকির খান, চীফ এডভাইজার মোস্তাক বাবুল সভাপতি আবু সুফিয়ান ঝিলাম, সাধারন সম্পাদক নাহিদ রানা । জয়ী দলের অধিনায়ক শাহগীর বখত ফারুক এবং বিজিত দলের অধিনায়ক ্কাউন্সিলর পারভেজ আহমেদ হাসি মুখে দলের পক্ষে ট্রফি গ্রহন করেন ।

খেলা শেষে খোশ গল্প এবং মুখরোচক বিরিয়ানী কাবাব উইংস খেতে খেতে কমিউনিতির এই সকল নিতী নির্ধারক গন আশা প্রকাস করেন এমন আয়োজন প্রথম যেন শেষ আয়োজন না হয়, আর তাদেরকে আয়োজকদের পক্ষ থেকে জাকির খান আশ্বস্ত করেন প্রতি বছর এমন আয়োজন করার চেষ্টা থাকবে তাদের। তিনি আগামী ডিসেম্বর মাসের ষোল তারিখ বিজয় দিবসের পঞ্চাশ ছোঁয়ার দিনটিকেও স্মরণীয় করে রাখতে চান কমিউনিটির এই সকল মহারথীদের নিয়ে ।জাকির খান মনে করেন কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ সাথে থাকলে সবাই মিলে যেকোন কাজ সফলতার মুখ দেখে ।এটি প্রবাদ বাক্য মনে করিয়ে দেয় দশের লাঠি একের বোঝা ।


Similar Posts