ফেলে আসা ইতালী, স্মৃতির পাতায় রংগীন দিন।

Italy

১৯৯০ সাল থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত ইতালীর রোমে ছিলাম । এই দশ বছরের ইতালীর রোমের রয়েছে অনেক অনেক মধুর স্মৃতি। সেই সব স্মৃতি স্মরের চেস্টা করবো। দিন তারিখ ততটা হয়তো মনে নেই তারজন্য প্রথমেই ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। তবে স্মৃতি চারণে স্মৃতি গুলি চোখের সামনে ভেঁসে উঠে মনে হয় এইতো সেদিন কিন্তু দিনে দিনে পার হয়েছে দীর্ঘ সময়।প্রথম সেই দিন গুলি যদি ফিরে পেতাম তা হলে কতইনা আনন্দ হতো। সেই সময়ের বন্ধুরা ছিলেন বেশী আন্তরিক বেশী মায়ার। কালের অতল গহ্বরে হারিয়ে যাচ্ছে সেই দিন গুলি। এখন মাঝে মধ্যে সেই পুরানো রুম মেডদের সাথে দেখা হলেই পুরাতন দিন গুলি বেশী মধুময় হয়ে উঠে। ফিরে যাই সেই দিনে। এখন প্রায় সবাই বিবাহিত সংসার নিয়ে পরিবার ব্যাস্ত কারো যেন এতটুকু সময়। কিন্তু সেই সময় শত কস্টের পর কাজ থেকে বাসায় ফিরলে খাওয়া দাওয়া শেষ করেই মতে উঠতাম আনন্দের খোস গল্পে । এক বাসায় দুতিনটি রুম থাকলে আমরা বাস করতাম অনেক গুলি বন্ধু মিলে । মেস করে থাকা বাই রোটেশনে , বাজার ,রান্না , ঘর পরিস্কার সহ যাবতীয় কাজ তবে ছিলোনা ক্লান্তি, আনন্দের সাথে মেনে নিতো সবাই। ১৯৯৯ সালের জানুয়ারী মাসের প্রথম সপ্তাহে ঐ যে বললাম তারিখটির কথা মনে নেই। তবে সেই প্রথম দিনের কথাটি, প্রথমদিনের স্মৃতি হ্রদের সাথে মিশে আছে। সেই দিন সেই অচেনা, অজানা এক নতুন শহর রোম। ফ্রান্সের প্যারিস থেকে ট্রেনে করে রাতের আধাঁরে পালিয়ে এসে ট্রেনের গুহা ও জংগল পেরিয়ে সারা রাত হেঁটে ভেন্তিমিলায় এসে আবার ট্রেন ধরে সোজা রোম। উদ্দেশ্য একটাই ছিল প্রেমেচ্চো সেজর্ন। বা ইতালীর বৈধ কাগজ করা। সেই কাগজের জন্য ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে রোমে আসতো প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ। যখন রোমে স্টেশনে এসে পৌঁছলাম তখন পরন্ত বিকেল। সেই দিন আমি একা নই আমার সাথে ছিলেন আরো বেশ কয়েক জন বাংলাদেশী ভাই এবং কয়েক জন বন্ধু। সবাই মিলে নামলাম। আমার মেঝ ভাই মো: সোহরাব মৃধা তিনিও। এসেছেন মাত্র কয়েক দিন আগে।তিনি থাকতেন একটি হোটেলে। আমরা যখন এসে নামলাম স্টেশনের বাহির হতেই আরো নতুন নতুন লোকের সাথে দেখা হলো। হেঁটে হেঁটে স্টেশন পার হয়ে বাস স্ট্যান্ডে পার হয়ে আরো সামনে যেতেই বাংলাদেশীদের এক বিশাল মিলন কেন্দ্র । এখানে নতুন পুরাতন সাবাই আছেন। আছেন বাংলাদেশ এসোসিয়েশন ইতালীর কর্মকর্তারা তাদের সাথে কথা বলতে নতুনরা বেশী আগ্রহী। যখন নেতারা কেউ এক জন আসেন তখন তাদের সাথে ভীর জমে যায়। তাদের নিকট থেকেই নতুন নতুন সংবাদ পাওয়া যায় তাই তাদের দেখলেই সবাই নতুন সংবাদ পাওয়ার জন্য সবাই ছুটে আসেন। কেননা তখন সোজ্নই ছিলো একমাত্র উদ্দ্দ্যশ্য । যত কস্টই , যেভাবেই হোক সোজন্য পেতেই হবে। অনেক চেস্টার পর পেয়ে ছিলাম সেই স্বপ্নের কাগজ। সেই কাগজের জন্যই লন্ডনে স্বপরিবারে আছি।সেই স্মৃতি গুলি সত্যই ভুলার নয়।


Similar Posts