ফেলে আসা ইতালী, স্মৃতির পাতায়, রংগীন দিন ।(পর্ব -১৬)


বাংলাদেশ সমিতি ইতালীর সাথে আমার কাজ করার সুযোগ হয় ১৯৯৮ সালে নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার মধ্য দিয়ে। বাংলাদেশ সমিতি ইতালীর রয়েছে বর্নাঢ্য ইতিহাস। আমি ইতিহাসের একজন নগন্য কর্মী। (ধারা বাহির ভাবে লিখবো। সবাইকে পড়ার অনুরোধ রইলো)। বাংলাদেশ সমিতি ইতালীর ১৯৮৮ সালের ৪ঠা ডিসেম্বর, রোমের ৮৮ নম্বার ভিয়া কাইরোলিতে। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন এম এ হক।সভায় সকলের সর্ব সম্মতিক্রম সংগঠনকে পরিচালনার জন্য ১১ সদস্য বিশিস্ট একটি এডহক কমিটি করা হয়।কমিটির সদস্যরা ছিলেন।

১/জি এম কিবরিয়া,

২/এম এ হক,

৩/ মোর্শেদ আলম (ডাক্তার),

৪/ লুৎফর রহমান খান,

৫/ এ কে এম লোকমান হোসেন,

৬/ মনিরুজ্জামান,

৭/ নুরুল আমিন,

৮/ রেহান উদ্দিন দুলাল,

৯/ এস এম করিম মাস্টার,

১০/ সামসুল আলম ও

১১/ হেনরী ডি কস্তা ।

“ওরা এগারো জন” ঐতিহাসিক সেই নাম যাদের মননে ধারন করে বাংলাকে । বাংলা সংস্কৃতিকে তাদের ঐকান্তিক প্রচেস্টায় বাংলাদেশ সমিতি ইতালী আজ মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। সেই সাথে বাংলা সংস্কৃতি প্রবাসের মাটিতেও হচ্ছে বিকশিত। যে কোন অধিকার আদায়ে বলিস্ঠ ভুমিকা পালন করে যাচ্ছে এই বাংলাদেশ সমিতি ইতালী। কর্মের তাড়নায় যোজন যোজন পথ পেরিয়ে নাড়ীর টান ছিঁড়ে সাত সাগর তের নদী পাড়ি দিয়ে ভাগ্যের অন্নেষায় প্রবাসী হয়ে উঠলেও মা মাটি মানুষের জন্য মনের অজান্তেই ঢুকরে কেঁদে উঠে। সমাজ স্বচেতন মানুষ গুলি শত প্রতিকুলতার মাঝেও অন্যের পাশে দাঁড়াতে চায়। জন সেবাই তাদের মূললক্ষ্য। কিছু কিছু ব্যাক্তির ত্যাগ, তিতিক্ষা ও শ্রমের মাধ্যমেই একটি সংগঠন হয়ে উঠে শক্তিশালী। সংগঠনকে সুসংগঠিত এবং সুন্দর ভাবে পরিচালিত হওয়ার জন্য একটি গঠনতন্ত্র তৈরী বা সমবিধান করা হয়। সেই সংবিধানের নিয়ম অনুসারে প্রতি দুই বছর পর জনগনের ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত সদস্যগনরা সংগঠন পরিচালনা করবেন।১৯৮৮ সালে সংগঠন গঠন করার পর ৮৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে প্রথম নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়া হলে দুটি প্যানেল হলে সংগঠনের স্বার্থে সমঝ্ঝতার মাধ্যমে এক প্যানেল সভাপতি এবং অন্য প্যানেলের সাধারন সম্পাদক করে ১৩ সদস্যের একটি কার্যকরি পরিষদ গঠন করা হয়।

১৯৮৯ সালের মনোনিত কার্যকরি পরিষদ।

সভাপতি—— লুৎফর রহমান খান,

সহ সভাপতি – কে এম লোকমান হোসেন,

সহ সভাপতি – নুরুজ্জামান লাকী,সাধারন সম্পাদক- হেনরী দি কস্তা,

সহ সাধারন সম্পাদক- আব্দুল জব্বার দুলাল,

সাংগঠনিক সম্পাদক- জি এম কিবরিয়া ,

সহ সাংগঠনিক সম্পাদক – মন্জুরুল হক,কোষাধক্ষ্য – সাইদ শাহ সওগাতুল্লা আনুর,

সাংস্কৃতিক সম্পাদক-বজলুর রহমান তপন ,

প্রচার সম্পাদক- নুরুল আমিন,দপ্তর সম্পাদক- সাইফুল ইসলাম মুক্তা।

কার্যকরি পরিষদের শে কোন কাজে সহযোগিতা ,উপদেশ ও পরামর্শ দেওয়ার জন্য একটি উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করা হয়।উপদেস্টা পরিষদের উপদেস্টাগন:

১/ এস আর লস্কর,

২/ আনোয়ার হোসেন

৩/ আব্দুল হামিদ

৪/ বাবুল কান্তি দাস

৫/ রফিকুল ইসলাম

৬/ নজরুল ইসলাম মুকুল

৭/ এম এ হক

৮/ মো: ইমদাদ

৯/ আব্দুল হাকিম এবং

১০/ মনুরুজ্জামান মনির

কার্যকরি পরিষদ উপদেস্টাগনদের সাথে পরামর্শ ও সমন্নয় করে ইতালী প্রবাসী বাংলাদেশীদের সহযোগিতার জন্য ১৯৯০ সালে ইমিগ্রেশনে এক অনন্য ভূমিকা পালন করে।ইতিহাসের অমর স্বাক্ষী বাংলাদেশ সমিতির কর্মকর্তাদের কার্যকর্ম। যে যেভাবে পেরেছেন মানুষের উপকার করেছেন।


Similar Posts