ফেলে আসা ইতালী,স্মৃতির পাতায়, রংগীন দিন।(পর্ব-১৫)


কথায় আছে দুইজন জাপানী এক সাথ হলে তারা অত্যাধুনিক নতুন টেকনোলজি নিয়ে আলোচনা করে। দুইজন রাশিয়ান একত্রিত হলে নতুন যুদ্ধাস্স্র তৈরী করে। দুই জন আমেরিকান হলে কোন দেশের উপর আক্রম বা কর্তৃক বা দাদাগীরির পরিকল্পনা করে। দুই বৃটিশ একত্রিত হলে অর্থনৈতিক নিয়ে আলোচনা করবে আর দুই বাংলাদেশী একত্রিত হলে তিনটি সংগঠন করবে। বলবেন কিভাবে সম্ভব? প্রথমে দুই জনে মিলে একটি করবে পরে ক্ষমতার লডাইয়ে বা পদ পদবী নিয়ে ঝগড়া লেগে আলাদা আলাদা ভাবে পৃথক সংগঠন করবে।এটার নাম বাংলাদেশী । সেটা আমরা যে দেশেই থাকেনা কেন?

বংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি ইতালী গঠন। যখনই পায়ের তলায় একটি মাটির স্পর্শ পেয়েছে তখনই সংগঠন করতে হবে। তখনো সংবাদ পত্র বা লেখা লেখির সাংবাদিক তেমন না থাকলেও যারাই লেখালেখি করেন তাদেরকে নিয়েই বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি ইতালী গঠন করা হয় ২৪ শে জুলাই ১৯৯৪ সালে।

২৪শে জুলাই ১৯৯৪ সালে ভিয়া তেলেসে ২৯ নাম্বারে আমার আমন্ত্রণে রোমের প্রায় সকল সাংবাদিকদের উপস্হিতিতে সকলের বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি গঠন করা হয়। সেই সাথে ৫ সদস্যের একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়।তিনমাস পরেই আলোচনা সভার মাধ্যমে একটি পূর্নাংগ কার্যকরি পরিষদ গঠন করা হয়।

কার্যকরি পরিষদ ১৯৯৪/৯৫

সভাপতি – হাবীব চৌধুরী

সহ সভাপতি – শামসুল আলম হেলাল,

সহ সভাপতি – জাকির হোসেন,

সহ সভাপতি – শাহ তাইফুর রহমান ছোটন,

সহ সভাপতি- চৌধুরী সাইদুন্নাহার

সাধারন সম্পাদক – মো: রেজাউল করিম মৃধা,

যুগ্ন সম্পাদক – মহিতুর রহমান বাবুল,

অর্থ সম্পাদক- ইকবাল হোসেন,

প্রচার সম্পাদক- ফরহাদ খান,

সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক – রনী,

দপ্তর সম্পাদক- সাহা শীব সংকর (উত্তম)

বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি তাদের কার্যক্রম একের পর হতে থাকে অল্পদিনের মধ্যেই পরিচিত হয়ে উঠে রোমে। ৭ই আগস্ট ১৯৯৪ সালে শহীদ জননী জাহানরা ঈমাম এর মৃত্যুতে ভিয়া কাসেলিনা ৮১৫ তে শোক সভার আয়োজন করা হয়।১৮ই ডিসেম্বর ১৯৯৪ সালে ভিয়া বনোরত্তি / সিজিআইএল হলে বিজয় দিবস উৎযাপন করা হয়।প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রোম দূতাবাসের কন্সলার কামাল উদ্দিন। সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি হাবীব চৌধুরী , সভা পরিচালনায় মো: রেজাউল করিম মৃধা।২৩শে এপ্রিল ১৯৯৫ সালে পিসিআই হলে সম্মিলিত ভাবে বৈশাখী মেলা ও বর্ষবরণ ১৪০২ সালের অনুস্ঠান বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি স্বত্রিয় অংশ গ্রহন করে।১৫ই মে ৯৫ “দেশ বিদেশ” পত্রিকার পূন: প্রকাশে বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতি সহযোগিতা প্রদান করে। যদি ও পরবর্তীতে “স্বদেশ বিদেশ” দৈনিক হিসেবে কিছুদিন প্রকাশিত হয়েছিলো । বর্তমানে মাসিক হিসেবে প্রকাশিত হচ্ছে।২৬শে অক্টোবর ৯৫ ভিয়া আলবেরতো দা গুচ্ছানো ০০১৭৬ কোমাতে বার্ষিক সাধারন সভা অনুস্ঠিত হয়।এছাড়া গুনিজন কেউ রোমে এলে তাকে দেওয়া হতো সংগঠনের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা দেওয়া হতো । তেমনি এক অনুস্ঠানে ভাষা সৈনিক একুশে ফেব্রুয়ারি আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি রচয়িতা আব্দল গাফ্ফার চৌধুরীকে সংবর্ধনা দেওয়া


Similar Posts