ফার্লো স্কীম চালু রাখার দাবী।
মো: রেজাউল করিম মৃধা।
কভেড-১৯ বা করোনাভাইরস মহামারির কারনে ব্রিটিশ সরকার পর পর তিন বার জাতীয় লক ডাউন ঘোষনা করেছে। এখনো তৃতীয় লক ডাউন চলছে।
এই লক ডাউনের ফলে ইমার্জেন্সী ছাড়া প্রায় প্রতিস্ঠান বন্ধ রয়েছে এর ফলে ২ মিলিয়নের ও বেশী শ্রমিক বেকার হয়েছে। তবে কতজন লোক বেকার এর সঠিক তালিকা নেই সরকারের কাছে তবে যে সব প্রতিষ্ঠানর শ্রমিকদের তালিকা রয়েছে তাদের এই ফার্লো স্কীম চালু রাখার দাবী করেছে।
দি রেজুলেশন ফাউন্ডেশন।
ব্রিটিশ ট্রেজারির স্পোকেন পারসন বলেন,”করোনাভাইরস মহামারিতে যে সব শ্রমিকদের কাজ নেই তাদের বেতনের সাপোর্ট এবং স্বাভাবিক জীবনের নিশ্চয়তা জন্য সরকার বেতনের শতকরা ৮০% পারসেন্ট ফার্লো স্কীমে £২৮০ বিলিয়ন পাউন্ড বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে,”। তিনি আরো বলেন” সরকার মহামারি পুরাপুরি নিয়ন্ত্রনে না আসা পর্যন্ত এই ফার্লো স্কীম চালু রাখার পরিকল্পনা করছে,”।
ইনিউস্টিডিউড ফর ফিসকাল স্টাটিজ( IFS) রিচার্সে উঠে এসেছে যে এই ফার্লো স্কীম সবার জন্য সমান সুযোগ দেওয়া হয় নাই। যারা বেশী বেতনে কাজ করেন তাদের জন্য সুবিধা হলেও যারা কম বেতনে কাজ করেন তারা সুবিধা বন্চিত হচ্ছেন। সেই সাথে অনেক প্রতিস্ঠানের মালিকরা এর পূর্ন সুবিধা তার শ্রমিককে দেয়নি।
এইচএমআরসি তাদের নিজস্ব তথ্যে প্রমানিত হয়েছে, অনেকে নিজে কম্পানী পরিচালক বা মালিক হয়েও শ্রমিক সেঝে ফার্লো গ্রহন করছেন আবার শ্রমিককেও তার ফারলো পরিশোধ করছে না। এই ফার্লো স্কীমে পরিস্কার উল্লেখ আছে যারা কাজ করতেন এবং করোনার কারনে প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলে বেতনের শতকরা ৮০% পারসেন্ট বেতন পাবেন কিন্তু এখানে সঠিক ব্যাবহার হয় নাই এই কারনেই হোম অফিসের নিকট সঠিক বেকার শ্রমিকের হিসাব নেই।
দি রেজুলেশন ফাউন্ডেশন এবং ইনিস্টিডিউড ফর ফিসকাল স্টাটিজের ৭০০০০০ আন ইমপ্লয়মেন্ট একটি তালিকা রয়েছে । এই করোনামহামারিতে তাদের সহযোগিতা অব্যহত রাখার প্রতি জোড় দাবী জানানো হচ্ছে।
দি স্কাই এর সাথে এক স্বক্ষাৎকারে ব্রিটিশ চ্যানচেলর ঋশি সুনাক বলেন,” ৩০ শে এপ্রিল ফার্লো স্কীম শেষ সময় হলে ও এর সময় বাড়ানো হতে পারে।ব্যাবসা এবং শ্রমিকদের সহযোগিতা করার জন্যই ফার্লো স্কীম করা হয়েছিলো। এতে ব্যাপক সফলতা এসেছে। এরমধ্যে শতকরা৫% থেকে শতকরা ৮% পারসেন্ট ব্যাবসা প্রতিস্ঠান পুরাপুরি বন্ধ হয়েছে এদের সঠিক ঠিকানা এবং সঠিক তথ্য খুঁজে বের করতে হবে,”।
ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডের সিনিয়র ম্যানেজার বলেছেন, “ যদি কেউ এই ফারলো নিয়ে জালিয়াতি বা অপব্যবহার করেন। তাদের অবশ্যই আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির ব্যাবস্থা করা হবে”। ব্যাংকিং ইন্ডাস্টি ট্রেড এসোসিয়েশনের স্পোর পারসন বলেছেন,”এই স্কীম সামগ্রী ভাবে কাজ করবে। এই ইন্ডাস্ট্রি (H M T)ডেভেলপমেন্টের সাথে একযোগে কাজ করবে। সেখানে দূর্নীতির জায়গা নেই”।আর যারা দূর্নীতি করবেন, তাদের জন্য রয়েছে কঠিন শাস্তির ব্যাবস্থা ।
দি রেজুলেশন ফাউন্ডেশন ,IFS সহ বিভিন্ন সংগঠন সরকারের নিকট দাবী করেছে করোনাভাইরস মহামারি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রনে না আসা পর্যন্ত এবং লক ডাউন তুলে ব্যাবসা প্রতিস্ঠান খুলে আবার স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত ফার্লো স্কীম চালু রাখার।
করোনাভাইরস মহামারিতে লক ডাউনের ফলে শ্রমিকদের সহযোগিতার জন্য কাজে না যেয়ে ও বা কাজ না করেও ঘরে বসে বেতনের শতকরা ৮০ পারসেন্ট বেতন দিতে তড়িৎ গতিতে সরকার ৩৫.৪ বিলিয়ন পাউন্ডের ফারলো স্কীম হাতে নেয় সরকার। এই স্কীমে শ্রমিকরা অত্যান্ত উপকৃত হয়েছেন। কিন্তু গত ৩১শে অক্টোবর ২০২০ সালে শেষ হয়।
দ্বিতীয় বার জাতীয় লক ডাউনের ফলে শ্রমিকদের সহযোগিতা সহযোগিতা অব্যহত রাখার জন্য এই ফারলো স্কীমর সময় বাড়ানো হলো আগামী বছরের মার্চ মাস পর্যন্ত, পরবর্তীতে বাড়ানো হলো আরো একমাসফারলোর এ স্কীম এপ্রিল ২০২১ পর্যন্ত।
তৃতীয় জাতীয় লক ডাউনে এই ফার্লো স্কীম ৩০শে এপ্রিল শেষ না করে ধারাবাহিক ভাবে চালু রাখার দাবী জড়ালো হচ্ছে।