| |

নো ডিল ব্রেক্সিট এবং করোনা অস্বাভাবিক আক্রমণে।প্রধানমন্ত্রী ক্লান্তিকাল অতিবাহিত করছেন।


মো: রেজাউল করিম মৃধা।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বছরের শেষ মুহূর্তে এসে এক কঠিন ক্লান্তিকাল অতিবাহিত করছেন। দীর্ঘ ১১ মাস চেস্টা করেও ব্রেক্সিটের কোন সমঝতা বা চুক্তিতে আনতে ব্যার্থ হয়েছেন। সেই সাথে করোনাভাইরস মহামারির থাবা আরো বেড়েছে। একদিকে বড় দিন অন্যদিকে পুরাতন বছর শেষ হয়ে নতুন বছরের আগমন কিন্তু আমাদের প্রধানমন্ত্রী কোন দিকই সামাল দিতে ব্যার্থ হয়ে দেশ আজ হতাশায় নিমজ্জিত হচ্ছে।

ব্রেক্সিট থেকে আনুষ্ঠানিক বের হতে বাকী আর মাত্র কয়েকদিন।দুই পক্ষের বিজ্ঞ প্রতিনিধি দল বারবার চেস্টা করেও শেষ পর্যন্ত ঐক্যমতে পৌঁছতে পারছেন না। এতে শুধু যে ইউকে সমস্যা এমন নয় এতে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ঠেলে দিবে এক অনিশ্চয়তার দিকে।

ব্রেক্সিট নেগোসিয়েশনের দুই পক্ষের প্রিতিনিধি দল মনে করেন,”শুধু ফিসিং রাইটই নয়। অন্যান্য অনেক বিষয় রয়েছে সেগুলির সমাধান হচ্ছেনা। কেননা কোন পক্ষই কিছু ছাড় দিতে রাজি নয়।এজন্যই চুড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারছেনা”।

ইইউ এবং ইউকে ব্রেক্সিটের চুক্তিতে একমত না হইতে পারলে ২০২১ সালের ১লা জানুয়ারী থেকে ওয়াল্ড ট্রেড অরগানাইজেশন (WTO) এর নিয়ম অনুযায়ী পরিচালিত হবে।

হেল্থ সেক্রেটারী ম্যাথ হ্যানকক বলেন, “করোনাভাইরস মোকাবেলায় এক চরম দু:সময় অতিবাহিত হচ্ছে। জনসাধারনকে তা বুঝতে হবে। টিয়ার ৪ এলাকায় অতি শতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।করোনাভাইরস মোকাবেলায় সরকার দিনরাত পরিশ্রম করে যাচ্ছে।টিয়ার ৪ এলাকার জরুরী নিয়ম সকল জনসাধারন মেনে চলার নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে”।

প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ব্রেক্সিট চুক্তি ডিল নো ডিল এবং করোনাভাইরস মোকাবেলায় হিমশিম খাচ্ছেন, গবেষকরা মনে করেন ব্রিটেন বর্তমানে সবচেয়ে খারাপ সময় অতিবাহিত হচ্ছে। যা এর আগে কখনই হয়নি। দিন দিন খারাপের দিকে যাচ্ছে।এক দিকে ব্রেক্সিট এবং অন্য দিকে করোনাভাইরস মহামারির থাবা।

এই ক্লান্তিকাল থেকে একদিন সুন্দর দিন। সেই সোনালী দিনের অপেক্ষায় আমরা সবাই।


Similar Posts