ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এ্যালামনাই ইন ইউকের বার্ষিক সভা অনুস্ঠিত।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই ইন দ্য ইউকের ষষ্ঠ বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত
আনন্দঘন পরিবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই ইন দ্য ইউকের ষষ্ঠ বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল রোববার (১২ নভেম্বর) যুক্তরাজ্যের পূর্ব লন্ডনের
ক্রিস্টাল ব্যাংকুয়েট হলে দিন ব্যাপী এ বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। বিদায়ী কমিটির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা ও ডাকসুর সাবেক সদস্য দেওয়ান গৌস সুলতানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসাইনের পরিচালনায় সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রিটেনে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনীম। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বাংলাদেশের অভ্যুদয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকার কথা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন। একই সাথে ব্রিটেনের বিভিন্ন পর্যায়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যালামনাইদের অবদানের কথা তিনি উল্লেখ করেন।
সভায় মারুফ আহমেদ চৌধুরী ও মেসবাহ উদ্দীন ইকোকে
সাধারণ সম্পাদক করে আগামী দুই বছরের জন্য ৩২ সদস্যবিশিষ্ট এক্সিকিউটিভ কমিটি গঠন করা হয়।
বেলা ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত দিনব্যাপী চলা অনুষ্ঠানে যুক্তরাজ্যে বসবাসরত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীরা ও তাদের পরিবারের সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন।
সভার শুরুতে সংগঠনের জ্যেষ্ঠতম সদস্য ‘একুশের গান’ খ্যাত আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী ও আরো তিনজন অ্যালামনাইর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে একটি শোক প্রস্তাব গৃহীত হয়। এছাড়া ইসরাইল কতৃর্ক ফিলিস্তিনবাসীদের উপর আক্রমণ করার প্রতিবাদে ও
অনতিবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধের দাবীতে একটি রেজুলেশন পাশ করা হয়। মৃতদের আত্মার মাগফিরাত ও যুদ্ধ বন্ধের কামনায় দু’আ অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে গত দুই বছরের রিপোর্ট পেশ করা হয়।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, স্বাধীনতার পর যেমন দেশে একটি ধর্মনিরপেক্ষ জ্ঞানভিত্তিক উন্নত সমাজের রূপরেখা প্রতিষ্ঠার প্রধান রচয়িতা বঙ্গবন্ধু; তেমনি উন্নয়ন, গবেষণা ও দেশ গঠনের নিমিত্তে দক্ষ জনশক্তি গড়ায় প্রধান ভূমিকা পালন করছে দেশের শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক সম্পর্কের গুরুত্বপূর্ণ দুটি ঘটনা উল্লেখ করেন। চল্লিশের দশকে বঙ্গবন্ধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন কিন্ত এ বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের আন্দোলনে অংশ নিয়ে ছাত্রত্ব হারান।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গরিব ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তি চালু করায় হাইকমিশনার অ্যালামনাই ইন দ্য ইউকের প্রতি ধন্যবাদ জানান।
সভাপতির ভাষণে দেওয়ান গৌস সুলতান বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবদান ও ত্যাগ অন্য যেকোনো প্রতিষ্ঠানের চেয়ে অনেক গুণ বেশি।
অনুষ্ঠানে সিনিয়র অ্যালামনাই ও আমন্ত্রিত অন্যান্য অতিথিবৃন্দ শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন ।
শেষ পর্বে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও র্যাফেল ড্র
অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও বার্ষিক সাধারণ সভা ও নির্বাচন উপলক্ষে একটি ম্যাগাজিন প্রকাশ করা হয়।