ঘুরে এলাম ক্যান্টারবেরী সিটি।

মো: রেজাউল করিম মৃধা।
২৪শে জুলাই শনিবার ঘুরে এলাম ক্যান্টারবেরী সিটি , ওয়েস্ট গেইট ,সিটি সেন্টার, লেক, ক্যাটাডেল সহ পর্যটক স্থান গুলি।
সকাল ১০টায় স্বপরিবারে রওয়ানা দিলাম ক্যান্টারবেরীর এর উদ্দেশে।যেতে যেতে সময় বেজে গেল প্রায় ১.০০টা রাস্তায় ট্রাফিক জ্যাম। আপনি যদি সকাল ৮.০০ রওয়ানা দিতে পারেন তবে ট্রাফিক জ্যাম এভোয়েট করতে পারেন তা না হলে রাস্তায় অনেকটা সময় পার করতে হবে।
লন্ডনে আমার থেকে ক্যান্টারবেরীর দূরুত্ব ৬২ মাইল ট্রাফিক না থাকলে ১ ঘন্টা ৩৫ মিনিট লাগার কথা থাকলেও সময় চলে যায় তবে এ২ থেকে এম২ আবার এ২ তবে এ২ রাস্তায় অন্যান্য ছোট ছোট শহর এবং কান্ট্রি সাইডের রাস্তা গুলি বাংলাদেশের গ্রামের রাস্তা মনে করিয়ে দেয়। এমনিতেই ক্যান্ট কে বলা হয় গার্ডেন অফ ইংল্যান্ড এই ক্যান্টের মাঝ দিয়ে যখন যাবেন দিই ধারের গাছ পালা মাঠ দেখতে দেখতে নয়ন জুড়িয়ে যাবে।
এছাড়া যাতায়াতের জন্য রয়েছে সুব্যাবস্থা ট্রেন, কোচ, বাস এবং নিজেদের গাড়ি।লন্ডন থেকে ট্রেনে আসলে লাগবে ১ ঘন্টা ২০ মিনিট, বাসে লাগবে ৩ ঘন্টা এবং নিজেদের গাড়ি করে আসলে লাগবে ২ ঘন্টা।
যাইহোক শহরে প্রবেশ করতেই পর্যটকদের আনাগোনা লক্ষ করার মতো। প্রথমে আত্বীয় বাসায় চলে গেলাম দুপুরের দাওয়াৎ। খাওয়া দাওয়া শেষ হতে না হতেই বেঁজে যাচ্ছে ৩টা। বিকাল ৩টায় মৃধা শোর এ সপ্তাহের নিয়মিত অনুস্ঠান।আমি যেখানেই যাই যে অবস্থা থাকি “মৃধা শো” সব চেয়ে প্রাধান্য পায়।
মৃধা শোর এপর্বের অতিথি শিল্পী একজন আমেরিকা অপর জন বাংলাদেশের তাই বিয়াই বাড়ীর গার্ডেনে বসেই লাইফ প্রগ্রাম । অবশ্যই প্রগ্রামে এনেছিলো নতুন মাত্রা বহু দর্শক উপভোগ করেন মৃধা শো।
বিকেলের নাস্তা খেয়েই ছুটে চলা ক্যান্টিরবেরী সিটি সাইড দেখার জন্য বাহির থেকে দেখতে আকর্শনীয় না হলেও ভিতরে প্রবেশ করতেই আমাদের ধারনা পাল্টে গেলো। সিটি সেন্টারে রয়েছে আকর্শনীয় বহু স্থান যা দেখতে একদিনের মাত্র কয়েক ঘন্টা একেবারেই স্বল্প।
ক্যান্টিরবেরী ক্যাটাডল, ক্যাসেল, লিডস ক্যাসেল, ডোভার ক্যাসেল,সেন্ট আগস্টিন এ্যাবি,দি ব্যানিই হাউজ আর্ট এ্যান্ড নলেজ, ক্যান্টিরবেরী রোমান মিউজিয়াম, ওয়েস্ট গেইট টাওয়ার, সেন্ট মার্টিন গীর্জা বা চার্চ এছাড়া লেকটিকে শক্ত করে বাঁধানো দুই ধার এবং পাশে সুপরিকল্পিত ভাবে ফুলের সমারহ এবং ফুলের বাগান যা আপনাকে আকৃষ্ট করে তুলবে।
সুরু লেক মাঝে মাঝেই লোহার ছোট ছোট ব্রিজ এপার থেকে ওপারে ঘুরে বেড়ানো এবং লেক এর স্রোতে রয়েছে স্বচ্ছ পানি পরিস্কার টলটলে। মাছ গুলিকে পরিস্কার ভাবে দেখা যায়। মাঝে মধ্যে হাঁস গুলি তার বাচ্চাদের নিয়ে পানিতে ভেঁসে বেড়াচ্ছে দেখতে অপূর্ব চোখ জুডিয়ে যায়।
সিটি সেন্টারের ভিতরে পরিপাটি করে সাজানো রয়েছে সবধরনের ব্যান্ডের কম্পানির দোকান বা শপ এবং রয়েছে হুয়াইট রোজ,আজদা, সেইন্সবেরী, টেস্কো, লিডিল সহ সব ধরনের মার্কেট।
বড় থেকে সুরু বা প্রতিটি অলি গলিতে রয়েছে বার কফি শপ এবং রেস্টুরেন্ট। রয়েছ পাব। প্রতিটি রেস্টুরেন্টে কাস্টমারদের উপচেপরা ভীর। হয়তো শনিবার ছিলো বলে হয়তো বেশী কাস্টমার পরিলক্ষিত হয়েছে।
শহরের প্রতিটি রাস্তাই ওয়েস্ট গেইট হয়ে যেতে হয়। এই গেইট ঘিরেই গড়ে উঠেছে শহরের সৌন্দর্য। দূর থেকে গেইট দেখলেই প্রানটি ভরে উঠে আনন্দে।
বিশাল ক্যাটাডেল চার্চ এই চার্চ ঘিরে রয়েছে সম্বৃদ্ধ এক ইতিহাস।গীর্জার ফাদার বা প্রহিতদের থাকার জন্য রয়েছে আলাদা এলাকা ।
রয়েছে ইউনিভার্সিটি যেখানে লেখাপড়ার জন্য আসেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীরা আর এজন্য এই শহর সব সময় প্রাণবন্ত।