কেয়ার ওয়ার্কার এবং কেয়ার হোম ওয়ার্কারদের ভ্যাকসিনের দুই ডোজই বাধ্যতামূলেক করেছে ব্রিটিশ সরকার।
মো: রেজাউল করিম মৃধা।
করোনাভাইরাস মহামারি থেকে ব্রিটেনের জনগনকে সুরক্ষার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহন করেছে সরকার।তারই ধারাবাহিকতায় এবার কেয়ার ওয়ার্কার এবং কেয়ার হোমের ওয়ার্কারদের ভ্যাকসিনের দুই ডোজ ভ্যাকসিন বাধ্যতামূলেক করেছে।কেননা ফ্রন্ট লাইন ওয়ার্কারদের নিজেদের সুরক্ষা থেকে অন্যকে সেবা দান করতে হবে।
কেউ যদি ভ্যাকসিনের দুই ডোজ গ্রহন না করে থাকেন তাকে অবশ্যই ভ্যাকসিনের দুই ডোজ নিতে হবে না হলে তিনি তাকে কাজ করা থেকে বিরত থাকতে হবে। এই ভ্যাকসিন নেওয়ার ক্ষেত্রে কেয়ারারদের প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে।
ব্রিটেনে বয়স্ক ব্যক্তিদের কেয়ার হোম ওয়ার্কারদের জন্য টিকা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে এবং এনএইচএস কর্মী এবং আঞ্চলিক পরিচর্যাকারীদের ক্ষেত্রেও এটি করা উচিত কিনা সে বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে। আশা করা হচ্ছে এনএইচএস ওয়ার্কারদের জন্যও ভ্যাকসিন দ্বিতীয় ডোজ বাধ্যতামূলেক করা হবে।
হেল্থ সেক্রেটারি ম্যাথ হ্যানকক বলেন,”কেয়ার হোম ওয়ার্কারদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা ইতিমধ্যে ভ্যাকসিনযুক্ত কিন্তু সমস্ত নয় এবং আমরা জানি যে ভ্যাকসিন কেবল আপনাকেই সুরক্ষা দেয় না তবে এটি আপনার আশেপাশের লোকদেরও সুরক্ষা দেয়।সেইজন্য আমরা কেয়ার হোমগুলিতে কর্মীদের ওয়ার্কারদের মোতায়েনের শর্ত হিসাবে বাধ্যবাধকতা নিশ্চিত করার ব্যবস্থা গ্রহণ করব এবং এনএইচএসে আমরা রোগীদের জীবন বাঁচাতে এবং রোগ থেকে রক্ষা করার জন্য একই পদ্ধতির বিষয়ে পরামর্শ করা হবে। পুরো জনগোষ্ঠীর জন্য ভ্যাকসিনগুলি বাধ্যতামূলক করার বিষয়ে একমত নন তবে তিনি বলেন যে এটি সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণদের যত্ন নেওয়া তাদের জন্য “বুদ্ধিমান এবং যুক্তিসঙ্গত পদক্ষেপ”।
ব্রিটেনে বহু সংখ্যক বাংলাদেশী কেয়ারার রয়েছেন কিন্ত অনেকেই ভ্যাকসিন দিতে আগ্রহী নন। এমনকি সপ্তাহে দুইদিন করোনা পরীক্ষা করা বাধ্যতামূলেক সেখানেও অনেকের অনিহা রয়েছে। তবে কেয়ারার এর মত মহান সেবা মূলক কাজ করতে হলে আপনাকে অবশ্যই ভ্যাকসিনের দুই ডোজ দিতে হবে এবং সরকারের অন্যন্য নিয়মনীতিও মেনে চলতে হবে।তা না হলে অনেকেই কাজ হারাতে পারেন।