| | |

করোনা রোগীদের লন্ডন থেকে স্থানান্তর করা হচ্ছে নিউক্যাসল ।


মো: রেজাউল করিম মৃধা।

“তিল ঠাঁই আর নাহিরে,

ও গো তোরা জাসনে ,

ঘরেরে বাহিরে”।

কবির সেই উক্তিটি আজ যথাযথো স্বার্থকতা পেয়েছে।

বহু কাল পর সেই উক্তিটি বাস্তবতার সাথে মিলে যাচ্ছে।

লন্ডনের হাসপাতাল গুলিতে করোনা রুগীদের তিল ধরার ঠাঁই নেই। ঘর থেকে বের হওয়া নিষেধ পুরো ইংল্যান্ড জুরে।

চোখের সামনে প্রিয় জন চলে যাচ্ছে। হাসপাতাল নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। আর ফিরবেন কিনা উত্তর জানা নেই। এবং মরে গেলেও কিছু করার নেই।শুধু মাত্র চোখের পানি ফেলা ছাড়া আর কিছুই করার নেই। এ কেমন পরিস্থিতির মধ্যে আমরা আছি। কার ডাক কখন আসে সেই প্রতিক্ষায় কেঁটে যাচ্ছে প্রতিটি মূহুর্ত ।

টিভি, রেডিও, পেপার পত্রিকা এবং বর্তমানে সোসাল মিডিয়ায় প্রতি মূহুর্তে শুধু মৃত্যুর খবর আর আক্রান্তের খবর। এ কোন জগতে আছি আমরা ?

লন্ডনে বর্তমানে করোনা রোগীদের সব চেয়ে বিপর্যয় চলছে। কিছু দিন আগেই লন্ডনে জরুরী ঘোষনা করেছেন লন্ডন মেয়র সাদিক খান। এখন সেই জরুরী অবস্থার আরো অবনতি হয়েছে।

লন্ডনের কোন একটি হাসপাতালে ও একটি সিট নেই। এমন কি এম্বুলেন্সের ভিতরে ও রোগীদের সেবা দেওয়া হচ্ছে। ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষার পর হয়তো পাবেন এম্বুলেন্স টেলিফোনের উত্তর।

লন্ডনের হাসপাতাল গুলিতে সেবা দেওয়ার মত কোন অবস্থা নেই। নেই কোন সিট তাই এনএইচএস সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইংল্যান্ডের যেখানেই যে হাসপাতালে সিট খালি হবে সেই খানেই রোগী পাঠানো হবে।

জরুরী সেবার জন্য লন্ডন থেকে ৩০০ মাইল বা প্রায় ৪৮২ কিলোমিটার দূর এম্বুলেন্সে প্রায় ঘন্টার রাস্তা নিউক্যাসল হাসপাতালে করোনা মূমূর্ষ রোগীদের নেওয়া হচ্ছে।

লন্ডন এবং এর আশেপাশের ৭০ মাইলের মধ্যে কোন হাসপাতেই একটি সিটও খালি নেই। তাই রোগীদের জীবন বাঁচাতে সর্বশেষ চেস্টাটি করে যাচ্ছে ব্রিটেনের স্বনামধন্য স্বাস্হ্য সেবা খাত এনএইচএস ।

ডা: ইউফ ফ্রান্ক বলেন,” ক্রিটিক্যাল রোগী বা মূমূর্ষ রোগীদের সেবা পুরো ইংল্যান্ড জুড়েই এক ধরনের তাই কোন হাসপাতাল সেটা বড় কথা নয়। সেখানেই সিট বা রুম খালি পাওয়া যাবে সেখানেই রোগী ভর্তি করে সেবা দেওয়া হবে”।

নিউক্যাসল , নর্থামবারিয়া, ক্যামব্রেরিয়া সহ বেশ কয়েকটি হাসপাতাল এখনো কিছু রুম এবং সিট খালি আছে। তাই লন্ডন থেকে করোনার জরুরী রোগীদের কে নিউক্যাসল সহ অন্যন্য হাসপাতালে স্থানানতর করা হচ্ছে।

গবেষকরা বলছেন আগামি ২/১ সপ্তাহ করোনা পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ হতে পারে। সে দিকে এনএইচএস কে শতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।

এই কঠিন সময়ে দোওয়া ছাড়া আমাদের কিছুই করার নেই আসুন আমরা আল্লাহর কাছে দোওয়া করি। আল্লাহ আমাদের সবাইকে হেফাজত করুন আমিন।


Similar Posts