| |

করোনা আক্রান্ত বৃদ্ধি পাওয়ায়, ব্রিটেনের ২১শে জুন লক ডাউন তুলে নেওয়া বিলম্ব হতে পারে।


মো: রেজাউল করিম মৃধা।

২১শে জুন হবে ব্রিটেনের করোনা মুক্ত দিন।এই প্রতাশায় সমগ্র ব্রিটেনবাসী। কিন্তু সেই মুক্ত দিনে নতুন করে বাঁধার সৃস্টি করছে ইন্ডিয়ান ভারিয়েন্ট। এবং নতুন করে নেপাল ভ্যারিয়েন্ট দেখা দিয়েছে বলে ধারনা করছেন বিজ্ঞানীরা।

সরকারি রোড ম্যাপ অনুযায়ী ২১শে জুন লক ডাউন পুরোপুরি তুলে নেওয়ার ঘোষনা রয়েছে।গত ৮ই মার্চ প্রথম ধাঁপে লক ডাউন শিথিল করা হয়। এরপর ২৯শে মার্চ, ১২ই এপ্রিল এবং ১৭ই মে লক ডাউন শিথিল করা হয় এবং ২১শে জুন সর্বশেষ লক ডাউন শিথিল করা হবে। অর্থাৎ পুরোপুরি লক ডাউন তুলে নেওয়ার ঘোষনা থাকলেও নতুন নতুন করোনার আক্রান্ত সেই আশাকে বিলম্ব করা হতে পারে।

যে সব কারনে ২১শে জুনের লক ডাউন তুলে না নেওয়া হতে পারে।

১/ অনেক রোগী হাসপাতালে ভর্তি আছে। এবং নতুন করে আক্রান্ত হচ্ছে। ১০০০ জনের মধ্যে ৫ জন আক্রান্ত হচ্ছে।এই আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমান্নয়ে বাড়ছে।

২/ নতুন ভাইরান্ট দ্রুত ছড়িয়ে পরছে।

হেল্থ সেক্রেটারি ম্যাথ হংকক বলেন,” নতুন ইন্ডিয়ান ভাইরান্ট ৪০% রোগ দ্রুত ছড়িয়ে পরছে।

৩/ ধারনা করা হচ্ছে নতুন ভাইরান্ট আরো সিরিয়াস ভাবে ছড়িয়ে পরতে পারে বলে বিজ্ঞানীরা ধারনা করছেন।

৪/ ব্রিটেনে ইতিমধ্য ৪০ মিলিয়নের ও বেশী মানুষ ভ্যাক্সিন প্রথম ডোজ ভ্যাক্সিন গ্রহন করেছেন। এবং ২৭ মিলিয়নের বেশী মানুষ ভ্যাক্সিনের দ্বিতীয় ডোজ ভ্যাক্সিন গ্রহন করেছে। এখনো বহু লোক ভ্যাক্সিন গ্রহন করেন নাই। সকল নাগরিকদের ভ্যাক্সিনের আওতায় আনতে হবে।

৫/ ভবিষ্যত পরিকল্পনা সুনিশ্চিত করতে হবে। সরকারের সঠিক পরিকল্পনা গ্রহন একান্ত প্রয়োজন। সকল দিক বিবেচনা করেই পুরাপুরি লক ডাউন তুলে নেওয়া উচিত।

ইংল্যান্ডের পাঁচটি অঞ্চল যা করোনাভাইরাস হটস্পট হিসাবে আবির্ভূত হচ্ছে – সপ্তাহে সবচেয়ে বড উত্থানের সাথে – বার্নলে, সাউথ রিবল, ব্ল্যাকবার্ন, স্টকপোর্ট এবং সালফোর্ড।

ইংল্যান্ড জুড়ে কয়েক মিলিয়ন মানুষ ইন্ডিয়ান (ডেল্টা) ভেরিয়েন্টের বিস্তার সম্পর্কে আশঙ্কার মধ্যে যেখানে সম্ভব বাড়ির বাইরে ভ্রমণকে কমিয়ে আনতে উৎসাহিত করা হয়েছে।

ইংল্যান্ডের ৮০% অঞ্চলে কোভিড সংক্রমণ বেড়েছে। যার ফলে বিজ্ঞানীরা ২১শে জুন লক ডাউন না তুলে আরো কিছুদিন পর্যবেক্ষণের জন্য সরকারকে পরামর্শ দিয়েছে।


Similar Posts