করোনায় মৃ্ত্যু সংখ্যায় ইউরোপের শীর্ষে ব্রিটেন,
নতুন বৈশিস্টের করোনা মৃত্যুর ঝুঁকি আরো বেশী।
মো: রেজাউল করিম মৃধা।
ইউরোপের দেশ গুলির মধ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে সবচেয়ে বেশী লোকের মৃত্যু হয়েছে ব্রিটেনে এপর্যন্ত প্রায় ১ লক্ষ লেকের মৃত্যু হয়েছে যা ইউরোপের আর কোন দেশে এতো লেকের মৃত্যু হয়নি। অবশ্য সরকার মানুষের জীবন বাঁচাতে এবং সেবা দিতে আপ্রাণ চেস্টা করে যাচ্ছে। এই করোনাভাইরস মহামারিতে ব্রিটেন সরকার এবং এনএইচএস দিনরাত সেবা দিচ্ছে।
কিন্তু একের পর এক করোনাভাইরসের বিশিস্ট পরিবর্তন হওয়ায় এর ঝুঁকি বেড়েই চলছে। কভিড-১৯ বা করোনাভাইরস মহামারি কোন ভাবেই নিয়ন্ত্রনে আনতে পারছেনা সরকার। যতই দিন যাচ্ছে করোনাভাইরসের আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। সেই সাথে নতুন নতুন বিশিস্টের করোনাভাইরস ধরা পরছে। এথেকে কবে রেহাই পাবো আমরা ?
নতুন বৈশিষ্টের করোনার সংক্রমণে মৃত্যুর ঝুঁকি অনেক বেশি বলে দাবি করেছেন সয়ং ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।
সাংবাদিক সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন, “ গবেষকরা আমাদের বলেছেন, করোনার এই নতুন স্ট্রেইন যেমন দ্রুত সংক্রমণ ছড়ায়, তেমনই এতে মৃত্যুর হারও বেশি”।
নতুন এই স্ট্রেইন অনেক বেশি সংক্রামক হলেও পুরনো বৈশিষ্ট্যের করোনাভাইসের মতো এটাকেও কাবু করার মতো ক্ষমতা রয়েছে ভ্যাকসিনের মাধ্যমে।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী শুক্রবার গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ব্রিটেনে যে দুটি টিকা প্রয়োগের কাজ চলছে, তা করোনার এই নতুন স্ট্রেইনকে ঘায়েল করতে সক্ষম”।
তবে নতুন এই ধরন নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জনসন। ব্রিটেনে শুক্রবারই ১ হাজার ৪০১ জনের মৃত্যু হয়েছে। ফলে মোট মৃতের সংখ্যা প্রায় ৯৬ হাজারে পৌঁছেছে। যা গোটা ইউরোপের মধ্যে সবচেয়ে বেশি।
গত কয়েক সপ্তাহে ব্রিটেনে করোনায় মৃত্যু একলাফে ১৬ শতাংশ বেড়েছে। হাসপাতালে করোনা রোগীর সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে। যেমনটা দেখা গিয়েছিল এপ্রিলে করোনার প্রথম ঢেউয়ে।
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, “ক্রিসমাসের সময়কালে মৃত্যুর পরিমাণে অনেক বেড়েছে যা অব্যাহত রয়েছে এবং তিনি দুঃখের সাথে বিশ্বাস করেন যে “এটি আরে কিছু সময়ের জন্য এভাবেই চলতে থাকবে”।
প্রফেসর হুইটি বলেছেন যে “করেনার আকার” সংক্রমণের হার দ্বারা চালিত হয়, যা উপরে চলেছে এবং এখন নেমে আসছে।তিনি আশা করেন জনসাধারন যদি স্বচেতন হন। অন্যের সংস্পর্শে না যান। এবং জরুরী প্রয়োজনে ঘর থেকে বের হলেও সরকারি নিয়ম নেমে চললে করোনা সংক্রামন হতে পারবে না”। তিনি ধারনা করেন সংক্রমনের হার কমতে শুরু করেছে।
স্যার প্যাট্রিক বলেছেন যে মৃত্যুর সংখ্যাটি “ভয়াবহ” এবং বর্তমান স্তরে কিছু সময়ের জন্য অব্যাহত থাকবে “।
সমগ্র ব্রিটেন জুরে মৃত্যুর আহাজারি আকাশ বাতাস ভারি হয়ে উঠছে। জানি না আর কত জনের মৃত্যুর পর এই মহামারি থামবে?
ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ অব্যহত আছে। তারপর নতুন নতুন বিশিস্টের ভাইরাস এসে কেড়ে নিচ্ছে নতুন নতুন মানুষের প্রান।
আসুন আমরা সবাই সরকারি নিয়মনীতি এবং বিধিনিষেধ গুলি মেনে চলি। ঘরে থাকি। নিজে সুস্থ্য থাকি অন্যকে সুস্থ্য রাখতে সহযোগিতা করি। আল্লাহ আমাদের সবাইকে হেফাজত করুন আমিন।