কভিড-১৯ ভ্যাকসিনই স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার একমাত্র পথ।বললেন- ম্যাথ হ্যানকক।
মো: রেজাউল করিম মৃধা।
করোনাভাইরস মহামারি থেকে বেঁচে থাকার একমাত্র উপায় হচ্ছে কভিড-১৯ ভ্যাকসিন। কভিড-১৯ ভ্যাকসিন ফ্লু ভ্যাকসিনের মত কাজ করবে। এই ভ্যাকসিন নিয়মিত দিয়েই স্বাভাবিক ভাবে জীবন চালাতে হবে। প্রতিটি মানুষের।প্রতি বছরই এই ভ্যাকসিন দিতে হবে।
কভিড-১৯ ভ্যাকসিন প্রয়োগের ফলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বা ইমুনিটি সিস্টেম বৃদ্ধি পায়।ইতিমধ্যে ৭০ বৎসরের উর্ধের মানুষদের ভ্যাকসিন দেওয়া প্রায় শেষ হয়েছে। কিছু কিছু স্থানে আরো কম বয়সীদের ও ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া হেল্থ কেয়ার, সোসাল কেয়ার, ফ্রন্ট লাইন ওয়ার্কার, বেশী অসুস্থ রোগী,ডাক্তার , নার্স ,পুলিশ ও শিক্ষকদেরও ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে।
দি টেলিগ্রাফের সাথে এক স্বাক্ষাৎকারে ব্রিটিশ হেল্থ সেক্রেটারি ম্যাথ হ্যানকক বলেন,” কভিড-১৯ ভ্যাকসিনই হচ্ছে করোনাভাইরস মহামারি থেকে আমাদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার এক মাত্র পথ। আগামি সেপ্টেম্বরের আগেই সবার জন্য ভ্যাকসিন কার্যক্রম সম্পূর্ন হবে।এর পর থেকে নিয়মিত ভাবে প্রতি বছরই কভিড-১৯ ভ্যাকসিন দিতে হবে। অনেকটা ফ্লু ভ্যাকসিনের মত। এই ভ্যাকসিন দিয়ে আমাদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে হবে,”।
ওএনএসের পরিসংখ্যান অনুযায়ী করোনাভাইরস লক্ষণগুলি আছে কিনা তা লোকেদের পরীক্ষার ভিত্তিতে পরামর্শ দেয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে করোনারভাইরাসের প্রভাব কমতে শুরু করেছে।
যেমন:-
ইংল্যান্ডে ৮০ জনের মধ্যে একজনের ভাইরাস রয়েছে।
উত্তর আয়ারল্যান্ডে, ৭৫ এর মধ্যে একজন।
ওয়েলসে, ৮৫ এর মধ্যে একজন।এবং
স্কটল্যান্ডে, এটি ১৫০ এর মধ্যে একজন।
ইংল্যান্ডের যে কোনও অঞ্চলে করোনাভাইরাসের জন্য ধনাত্মড্য ব্যাক্তিদের পরীক্ষা করা হয়েছে এমন ব্যক্তিদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি অনুপাত রয়েছে।
৬ ফেব্রুয়ারি অবধি সপ্তাহে কোভিড -১৯ প্রাপ্তির
প্রায় ৬০ জনে ১ জন ছিল। কিন্তু বর্তমানে ৮০ জনে ১ জন ধারাবাহিক ভাবে আকো কমবে বলে আশা ব্যাক্ত করেছেন গবেষকরা।
অফিস অফ ন্যাশনাল স্ট্যাটিস্টিক্সের (ওএনএস) সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান অনুসারে যুক্তরাজ্যের চারটি দেশেই করোনাভাইরাসগুলির স্তর হ্রাস পাচ্ছে।
ডেটা আরও প্রমাণ দেয় যে লকডাউন ভাইরাস নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে, এমনকি আরও সংক্রামক রূপগুলি নিম্ন মুখি।
প্রবীণ পরিসংখ্যানবিদ সারা ক্রাফ্টস বলেন,”“সংক্রমণের হার বেশি থাকলেও ইংল্যান্ডে এবং ইউকে জুড়ে ক্রমাগত হ্রাস পেয়েছে।ইংল্যান্ডের সমস্ত অঞ্চলে হ্রাস পাচ্ছে, যেখানে প্রবণতা অনিশ্চিত ছিলো সেখানে এখন করোনার বিস্তার কমেছে।
এদিকে, যুক্তরাজ্যের ১৩.৫ মিলিয়নেরও বেশি লোকের কমপক্ষে একটি করোনাভাইরাস ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে।
উচ্চাভিলাষী শীর্ষ চার অগ্রাধিকার গোষ্ঠীগুলির মধ্যে প্রায় ১৫ মিলিয়ন মানুষকে একটি ভ্যাকসিন দেওয়ার প্রস্তাব দিচ্ছে – এতে সোমবার ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ৭০ বছরেরও বেশি লোক, স্বাস্থ্য ও সামাজিক পরিচর্যা কর্মী এবং অত্যন্ত চিকিৎসা ঝুঁকিপূর্ণ ও ঝুঁকিতে থাকা লোকেরা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি সরকারি বিধিনিষেধ লাঘব করার পরিকল্পনার রূপরেখা ঘোষনা করবেন। এতে লক ডাউন তুলে নেওয়া , স্কুল খুলে দেওয়া সহ বিভিন্ন কর্মসূচী ঘোষনা দিবেন।
বিজ্ঞানীরা সরকারকে পরামর্শ দিচ্ছেন যে কভিড-১৯ আক্রান্ত সংখা বা মামলাগুলি যত কম পাওয়া যায় তত ভাল। প্রতিদিন খুব বেশি লোক এই রোগের বিরুদ্ধে ভ্যাকসিন নিচ্ছেন যদিও খুব শীঘ্রই আনলক করা ভাইরাসটির আরও একটি ঝুঁকি রয়েছে ।
কভিড-১৯ ভ্যাকসিন কার্যক্রম অভ্যহত থাকবে। সবাইকে ভ্যাকসিন গ্রহন করতে হবে। ভ্যাকসিন গ্রহনের মাধ্যমেই আমাদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে হবে।