| |

কভিড-১৯ নেগেটিভ সার্টিফিকেট নিয়ে,ফ্রান্স ও ব্রিটেনের মধ্যে সড়ক পথে যাতায়াত শুরু।


মো: রেজাউল করিম মৃধা।

ব্রিটেনে নতুন ভাইরেন্ট করোনাভাইরস আতংকে বিশ্বের সব দেশ যোগাযোগ বিছিন্ন করে দিয়েছ। ইউরোপের দেশ গুলি সবার আগে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়।কিন্তু আকাশ পথে যতটা সমস্যা হয়েছে তারচেয়ে বেশী সমস্যা সৃস্টি হয়েছে ফ্রান্সের সাথে সড়ক পথে বিশেষ করে লরি যাতায়াত বন্ধ করায়।

গত রবিবার ফ্রান্স সরকার ব্রিটেনের সাথে সড়ক পথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়ায় দোভার পোর্ট বা চানেল থেকে হাজার হাজার লরি আটকা পরে যায় । এতে ভোগান্তিতে পরে দুই দেশের লরি ড্রাইভার , সরকার এবং সাধারন জনগন। কেননা এই লরিতে আসে টাটকা শাকসব্জি , মাছ মাংশ সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য দ্রব্য।

দুই দেশের সরকার, মিনিস্টার,অফিসার্স সহ সবাই দীর্ঘ আলোচনার পর সিদ্ধান্তে উপনিত হয়। সকল লরি ড্রাইভারের করোনা টেস্ট করানো হবে। যাদের করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট নিয়ে যাতায়াত করতে পারবেন।

দোভার, কেন্ট সহ আশেপাশের রাস্তা গুলিতে লরি আর লরির দীর্ঘ লাইন। আজ থেকে কভিড-১৯ টেস্ট করে নেগেটিভ সার্টিফিকেট নিয়ে লরি ড্রাইভাররা লরি যাত্রা শুরু করে। এখন থেকে প্রতিটি লরির ড্রাইভারকে ৭২ ঘন্টার কম সময়ের সার্টিফিকেট নিয়ে যাতায়াত করতে পারবেন। দুই দেশের সকল লরি ড্রাইভারদের এখন থেকে কভিড-১৯ নেগেটিভ সার্টিফিকেট সাথে নিয়ে লরি চালাতে হবে। ৭২ ঘন্টা পর তাকে আবারো করোনা টেস্ট করাতে হবে।

শুধু লরি ড্রাইভার নয় ফ্রান্স এবং ইউকের মধ্যে যে কেউ যাতায়াত করতে হলে কভিড-১৯ নেগেটিভ সার্টিফিকেট সাথে রাখতে হবে তবে এর মেয়াদ মাত্র ৭২ ঘন্টা। ৭২ ঘন্টা পর তাকে আবার নতুন করে করোনা টেস্ট করাতে হবে।

“গোল্ড কমান্ড মিটিং” মিনিস্টার এবং অফিসার দের সর্বোচ্চ পরিষদের মিটিং এ মিটিং এ করোনাভাইরস নিয়েই বর্তমানে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।এই মিটিং থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সামনের বড় দিন এবং বক্সিং ডে তে টিয়ার ফোর এলাকায় সরকারি বিধিনিষেধ কঠোর ভাবে মেনে চলতে হবে।

ব্রিটেনের টেসকো সহ বেশ কয়েকটি খাদ্য সাপ্লাইকারি কম্পানী খাদের কোন খাটতি নেই বলে জনসাধারনকে আস্বস্থ্য করেছে এবং সকল সুপার মার্কেট গুলিতে খাদ্য সামগ্রী সুন্দর ভাবে মেইনটেইন করে যাচ্ছে। খাদ্য সংকটের কোন আশংকা নেই । পর্যাপ্ত খাদ্য দ্রব্য মজুদ আছে।

দোভারের এই চ্যানেল দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ১০০০০ লরি ট্রাভেল করে কিন্তু করোনাভাইরসের নতুন প্রেভেন্ট সবাইকে আতংকে ফেলে দিয়েছে।৪৮ ঘন্টা চ্যানেলটি বন্ধ থাকায় চরম বিপাকে দুই দেশের সরকার, ড্রাইভার, যাত্রী সহ সাধারন জনগন।

বৃটিশ কমিউনিটিস সেক্রেটারি রোবের্ট জেরনিক বলেন,” আমরা ফ্রান্স সরকারের সাথে একমত হয়েছি করোনা টেস্ট করে নেগেটিভ সার্টিফিকেট নিয়ে দুই দেশের লরি ড্রাইভার সহ অন্যান্য ড্রাইভার বা যাত্রীরা যাতায়াত করতে পারবেন’”।

শুধু সড়ক বা স্থল পথ নয়,আকাশ পথ ,বিমান, রেল, স্টিমার সহ সকল পথেই যাতায়াতের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। তবে যাত্রীর সহ সকলকেই করোনা টেস্ট সার্টিফিকেট লাগবে। কেননা বর্তমানে ব্রিটেনের করোনার নতুন রুপ আগের করোনার চেয়ে ৭০ গুন বেশী ভয়াবহ এবং সব বয়সের মানুষ কে দ্রুত আক্রমন করে। তাই সবাইকে সতর্ক সাথে চলার জন্য দুই দেশ নির্দেশ দিয়েছে।

দুই দেশের ঐক্যমতের ভিত্তিতে করোনা টেস্টের সার্টিফিকেট দেওয়ার পর তুলে নেওয়া হলে ৪৮ ঘন্টার সড়ক অবোরোধ । এখন থেকে নিয়মিত ভাবে ফ্রান্স এবং ইউকের মধ্যে দোভার সহ অন্যান্য সড়ক পথে যোগাযোগ অব্যহত থাকবে।শুরু হলো দুই দেশের মধ্যে যাতায়াত।


Similar Posts