কপ-২৬ জলবায়ু সম্মেলনে কয়লা বিদ্যুৎ বন্ধ সহ ৬ প্রস্তাব শেখ হাসিনার, ক্ষমা চাইলেন জো বাইডেন।
মো: রেজাউল করিম মৃধা।
যুক্তরাজের গ্লাসগোর জলবায়ু সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন ১২০টিরও বেশি দেশের রাষ্ট্রনেতা, শিক্ষাবিদ, পরিবেশ আন্দোলনকারীরা। সেই যুক্তিতে জলবায়ু নিয়ে যাবতীয় কর্থাবার্তা ‘সিওপি২৬’-এর উপরেই ছেড়ে দিল জি-২০।
জলবায়ু সম্মেলনে যোগদিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাস্ট্রনেতারা -জেরো নেট,সবুজ আরন্য, বায়ু দূষন রোধে বা ক্লাইমেট চেন্জ পরিকল্পনা সহ সুন্দর পৃথিবী গড়ার লক্ষে বিভিন্ন প্রস্তাব তুলে ধরেন।
কয়লা থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন অবিলম্বে বন্ধ করার আর্জি জানানো হয়েছে। সব দেশই তাতে সম্মতি জানিয়েছে। কিন্তু এর জন্য কোনও লক্ষ্য স্থির করা হয়নি। জীবাশ্ম জ্বালানিতে যে বিপুল পরিমাণ ভর্তুকি দেয় দেশগুলো, তা বন্ধ করা নিয়েও কথা হয়েছে।
জলবায়ু সম্মেলনে যোগদিয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন,”অর্থ ও শক্তিশালী রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাবে বৈশ্বিক অভিযোজন কর্মকাণ্ড কার্যকর হচ্ছে না।
ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর প্রতি উন্নত দেশগুলোর সমর্থন ও সহায়তা প্রয়োজন,”।
সেই প্রয়োজনীয়তা গুলি প্রস্তাব আকারে তুলে ধরেন।
যেমন:-
১/সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের জন্য টেকসই, সবুজ এবং প্রকৃতি-ভিত্তিক সমাধান অর্জনে আমাদের মধ্যে জ্ঞান ভাগ করে নেওয়া, গবেষণা এবং সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং প্রযুক্তি স্থানান্তর বাড়াতে হবে।
২/ অভিন্ন অবস্থান প্যারিস চুক্তিতে প্রদত্ত প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী উন্নত দেশগুলোকে উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য জলবায়ু অর্থায়নের লক্ষে বার্ষিক ১০০ বিলিয়ন ডলার সুরক্ষিত করতে আমাদের সাহায্য করতে পারে। জলবায়ু অর্থায়ন হতে হবে বিদ্যমান এবং ভবিষ্যত ওডিএ’র অতিরিক্ত। এই পরিমাণটি অভিযোজন এবং প্রশমনের মধ্যে ৫০:৫০ অনুপাতের সাথে বরাদ্দ করা উচিত।
৩/জলবায়ু অভিবাসীদের সমস্যা-জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবের কারণে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, লবণাক্ততা বৃদ্ধি, নদীভাঙন, বন্যা এবং খরার কারণে মানুষ তাদের পৈতৃক ভিটা এবং ঐতিহ্যবাহী পেশা থেকে বিচ্যুত হয়েছে, যা আলোচনা করা দরকার এবং এইসব মানুষের পুনর্বাসনের জন্য বিশ্বব্যাপী দায়িত্ব নিতে হবে।
৪/ ঐক্যবদ্ধ পদক্ষেপ বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১ দশমকি ৫ ডিগ্রিতে রাখতে তাদের উচ্চাভিলাষী এবং আগ্রাসী এনডিসি ঘোষণা করতে প্রধান নির্গমনকারী দেশগুলোর ওপর চাপ হিসাবে কাজ করতে পারে। এছাড়াও, জ্বালানির প্রয়োজনীয়তা মেটানোসহ সাশ্রয়ী মূল্যে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে পরিচ্ছন্ন ও সবুজ প্রযুক্তি হস্তান্তর করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
৫/ সিভিএফ এবং কমনওয়েলথ সদস্যদের উন্নয়ন চাহিদা বিবেচনায় নিতে হবে।
৬/ একসাথে আমাদেরকে অবশ্যই জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বাস্তবসম্মত, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং স্থানীয়ভাবে পরিচালিত সমাধানগুলি খুঁজে বের করার চেষ্টা করতে হবে।
এছাড়া মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জলবায়ু সম্মেলনের মঞ্চ থেকে গতকাল সোমবার প্যারিস জলবায়ু চুক্তি ভেঙে বেরিয়ে আসার জন্য ক্ষমা চেয়ে বলেন,”আগের প্রশাসনের এই পদক্ষেপের জন্য আমেরিকার বর্তমান প্রেসিডেন্ট হিসেবে আমি খুবই লজ্জিত,”।