এনএইচএস স্টাফ সংকট, রোগীদের দীর্ঘ অপেক্ষা, বাড়ছে অসন্তস্ট।

মো: রেজাউল করিম মৃধা।
বৃটেনে এক ক্লান্তিকাল অতিক্রম করছে। দিন দিন প্রতিটি সেক্টরেই সমস্যা বাড়ছে। ড্রাইভার এবং লরিড্রাইভার সংকট এখন মহা সংকট। এছাড়া রয়েছে শ্রমিক সংকট।
নার্স , ডাক্তার এবং ফ্রন্ট লাইন ওয়ার্কারদের সংকট চলছে কভিড-১৯ এর প্রথম দিন থেকেই। এই কভিডের চিকিৎসা দিতে গিয়ে অকাতরে প্রাণ দিয়েছেন বহু ডাক্তার , নার্স এবং ফ্রন্ট লাইন ওয়ার্কাররা।নিজেদের জীবন বাঁজি রেখে দায়িত্ব পালনে স্বচেস্ট থেকেছেন। বৃটেনের প্রতিটি মানুষ তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ।
ডাক্তার , নার্স এবং ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কাদের সংকট দিন দিন বেড়েই চলছে। বর্তমানে এই সংকট আরো বেডেছে। এর ফলে বৃটেনের প্রতিটি হাসপাতালে রোগীদের দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়। চিকিৎসায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের প্রাধান্য দেওয়ার ফলে অন্যান্য রোগীরা হচ্ছেন উপেক্ষিত। রোগীদের অপেক্ষার পালা দীর্ঘ থেকে দীর্ঘ হচ্ছে।
ইমার্জেন্সী ছাড়া কথা হাসপাতালে প্রবেশের কোন সুযোগ নেই। তাও আবার প্রবেশ করে অপেক্ষা আর অপেক্ষা সেই অপেক্ষা কখন শেষ হবে কেউ জানেন না?
ক্যান্সারের মত সিরিয়াস রোগীরাও দীর্ঘ অপেক্ষার পর তাদের স্বাস্হ্য সেবা পাচ্ছেন না। অনেক গুরুত্ব পূর্ন অপেরাশন রোগীও মৃত্যুর সাথে পান্জা লড়ছেন কিন্তু অপেরাশনের কোন ব্যাবস্থা নেই। অনেক রোগী ধুঁকে ধুঁকে মৃত্যুর দিকে চলে যাচ্ছেন।
ক্যান্সার, ডায়েবেটিক্স, অপেরাশনের রোগীদের অপেক্ষার পালা কখন শেষ হবে কেউ জানেন না? এই অনিশ্চিত অপেক্ষার কারনে রোগী এবং রোগীর পরিবার আত্বীয়স্বজনের মধ্যে এনএইচএস এবং স্বাস্হ্য সেবাখাতের প্রতি বাড়ছে অসন্তস্ট।
বিভিন্ন ধরনের সমস্য জড় জড়িত রোগীরা। একে তো করোনাভাইরাস মহামারিতে জিপি তে সরাসরি রোগী না দেখে টেলিফোনে তাদের সেবা দেওয়া হয়। এতে ভাষাগত সমস্যার কারনে ভুল ঔষধ সেবনের অভিযোগ রয়েছে। আবার হাসপাতালে গেলেও দীর্ঘ লাইনের দীর্ঘ অপেক্ষায় রোগী আরো অসুস্থ্য হচ্ছেন। আর যাদের ইমার্জেন্সী অপেরাশনের প্রয়োজন তাদেরও কবে অপেরাশন হবে কেউ জানেন না?
ব্রিটেনের হেল্থ সার্ভিসের ব্যার্থতা বলে মনে করেন গবেষকরা। গবেষকরা মনে করেন,” কভিড-১৯ মহামারির কারনে লকডাউন দিতে ব্রিটেন অনেক দেডী করেছে যার কারনে অনেক প্রাণ চলে গেছে অকালে।
তাইওয়ান ২০১৯ সালের ৩১শে ডিসেম্বর লকডাউন দিয়েছিলো। চীন দিয়েছিলো ২০২০ সালের ২৩শে জানুয়ারী।ইতালী দিয়েছিলো ৯ই মার্চ, ফ্রান্স ১৭ই মার্চ , জার্মান ১৯শে মার্চ অথচ ব্রিটেন দিয়েছিলো ২৩শে মার্চ। যার ফলে নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলে যায় করোনাভাইরাস। আজ পর্য্ন্ত সেই ক্ষতি চলছে।
জানা নেই কবে হবে এর শেষ? কবে শেষ হবে রোগীদের অপেক্ষার পালা?