| | |

ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে ইউকে এসেছেন ৩৭ লাখ এবং ইউকের ১৩ লাখ আছেন ইউরোপের বিভিন্ন দেশে।
ব্রেক্সিট- কার লাভ? কার ক্ষতি?


মো: রেজাউল করিম মৃধা।

সরকারি একটি পরিসংখ্যার হিসেবে ইউকে তে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ৩৭ লাখ ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের নাগরিক ইউকে তে অভিবাসী হিসেবে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন এবং ১৩ লাখ ইউকের নাগরিক ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে বসবাস করছেন।

অপরদিকে ইউকে ইউরোপের যেসব দেশের অধিবাসী রয়েছেন তাদের মধ্যে ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত ব্রেক্সিট পরবর্তী ট্রানজিশন পিরিয়ডে ইউকে তে স্থায়ীভাবে বসবাস করার জন্য যুক্তরাজ্যে ঘোষিত ইইউ সেটেলমেন্ট স্কিমের আওতায় আবেদন করেছেন।

এ পর্যন্ত যুক্তরাজ্যের ইইউ সেটেলমেন্ট স্কিমের আওতায় আবেদন করেছেন।

পোল্যান্ড- ৭,১৮,০০০,

রোমানিয়া ৬,০৯,০৬০,

ইতালি ৩,৭২,৩৮০,

পর্তুগাল ২,৮৬,৩৯০,

স্পেন ২,২৪,৮০০,

লিথুনিয়া ১,৮৮,৬৩০,

বুলগেরিয়া ১,৮৪,৯১০,

ফ্রান্স ১,৪১,৩৯০,

জার্মানি ১,০১,৫৯০,

লাটভিয়া ১,০২,৭১০ জন এবং অবশিষ্ট দেশগুলোর অভিবাসীদের সংখ্যাটা প্রতি দেশ অনুযায়ী এক লাখের নিচে।

লুক্সেমবুর্গ থেকে সর্বোচ্চ কমসংখ্যক ৯৮০ জন যুক্তরাজ্যে (ইউএসএস) আবেদন করেছেন; যদিও ক্ষুদ্র দেশ লুক্সেমবুর্গের মোট জনসংখ্যা ৬ লাখ ১৩ হাজার ৮৯৪ জন মাত্র।

সর্বমোট ৩৩ লাখ ৯৭ হাজার ২৭০ জন ইউরোপিয়ান নাগরিক যুক্তরাজ্যে ঘোষিত ইইউ সেটেলমেন্ট স্কিমের আওতায় আবেদন করেছেন।

২০২০ সালের জুন পরবর্তী করোনা মহামারীর কারণে খুব বেশি ইইউ নাগরিক যুক্তরাজ্যে পাড়ি জমাতে পারেননি, তাই ২০১৯ সালের মোট হিসাবে তেমন একটা তারতম্য দেখা যাবে না।

যাই হোক, যুক্তরাজ্য তাদের অভিবাসীদের ঢল নিয়ন্ত্রণ করতে পারলেও বর্তমান বিশ্ব বাজারে যুক্তরাজ্যের অনেক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হবে তাছাড়া প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে ইইউর সঙ্গে বাণিজ্য প্রতিযোগিতায় তাদেরকে শামিল হতে হবে।

ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের সেই চৌকস পরিকল্পনা বর্তমান নতুন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে এবং তার সমাধান বা সমীক্ষায় দেখা গেছে, ২০০২ সালের পর থেকে ইইউ নাগরিক ২০১৫ সালে সর্বোচ্চসংখ্যক এক বছরে প্রায় ৬ লাখ ৩০ হাজার ১৩৩ জন যুক্তরাজ্যে অভিবাসী হিসেবে স্থায়ী হয়েছেন।

২০১৬ সালে কিছুটা অপরিবর্তীত থাকলেও পরবর্তীতে প্রতি বছরের স্থায়ীভাবে মোট অভিবাসীদের বসবাস করার সংখ্যাটা উক্ত হার অনুযায়ী একটু কম হলেও ২০২০ সালের শেষে অনেকটাই বেড়ে গেছে।

২০২০ সালের ৩১শে ডিসেম্বর পর্যন্ত যারা এসেছেন। আগামী ২০২১ সালের জুনমাস পর্যন্ত সেটেল্টমেন্ট হতে পারবেন। জুন মাসের পর পূর্ন পরিসংখ্যানটি পাওয়া যাবে।

অন্য একটি পরিসংখ্যানে দেখা গেছে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে দে সব বৃটিশ নাগরিক কাজ করেন এদের বেশীর ভাগ উচ্চ পদে বেশী বেতনে কাজ করেন। আর ইউরোপের নাগরিক ছাত্র এবং নতুন প্রজন্মের ছাড়া বেশীর ভাগ নিম্ম এবং কম বেতনে কাজ করেন। অর্থনৈতিক ভাবে ব্রিটেন খুব একটা লাভবান হয় নাই।

অপর দিকে ইংরেজী ভাষা হওয়ার কারনে ইউরোপের কাছে ব্রিটেন একটি স্বস্থির জায়গা। ইংরেজী ভাষায় লেখাপড়ার জন্য প্রতিটি পরিবারের একটি আগ্রহ আছে। এছাড়া বাংলাদেশীদের কাছে আরো বেশী কিছু কেননা এখানে ইংরেজী ভাষার সাথে সাথে বাংলা এবং ধর্মীয় শিক্ষা বিশেষ করে ইসলামিক পরিবেশ যেটা ইউরোপের কোন কোন দেশে নেই।

২০০২ সাল থেকে ইইউ নাগরিকরা ইউকেতে আশার ধারাবাহিকতা শুরু হলেও ২০১২ থেকে এর মাত্রা বেড়ে যায় ২০১২ থেকে ২০১৬ ইইউ নাগরিকরা স্রোতের বেগে আসতে থাকে। হাসপাতাল , জিপি , কাউন্সিল , মার্কেট সহ সব খানে ইইউ নাগরিকদের ঢল।

এই সব ইউরোপীয় ইউনিয়নের লোকদের ঢল থামাতে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেল রেফারেমডম দিলে বৃটিশ জনগন ব্রেক্সিটের পক্ষে রায় দেন।জনগনের সেই রায় বাস্তবায়নে পদত্যাগ করতে হয়েছে। দুইজন প্রধানমন্ত্রীকে। অনেক ঝড়ঝাপটা অতিক্রম করে চুক্তির মাধ্যমে ২০২০ সালের ৩১শে ডিসেম্বর ব্রেক্সিট কার্যকর হলো।এখন দেখার পালা।

ব্রেক্সিটে কার লাভ? কার ক্ষতি ? এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে কিছুটা সময় রয়েছে বাকী।


Similar Posts