ইংল্যান্ড থেকে উঠে গেলো লকডাউন। নেই আইনি বাধ্যবাধকতা।

মো: রেজাউল করিম মৃধা।
১৯শে জুলাই ২০২১ ইংল্যান্ডের জন এক ঐতিহাসিক দিন।লকডাউন বা সরকারি আইনি বাধ্যবাধকতা থেকে মুক্তি বা স্বাধীন। এই স্বাধীনতার দিন টি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
কভিড-১৯ বা করোনাভাইরাস মহামারি থেকে রক্ষার জন্য তিন দফায় লকডাউন ঘোষনা করে ব্রিটিশ সরকার। সর্বশেষ এই বছরের মার্চ মাসের ৮ তারিখ থেকে ধাপে ধাপে লকডাউন তুলে নেওয়ার শুরু হয়। সেই থেকে ২৯শে মার্চ, ১২ই এপ্রিল, ১৭ই মে , ২১শে জুন লকডাউনের শিথিলের শেষ ধাঁপের রোডম্যাপ থাকলেও করোনার আক্রান্ত বেশী হওয়াতে আরো ৪ সপ্তাহ লকডাউনের সময় বাড়ানো হয়।
আজ ১৯শে জুলাই থেকে লকডাউন তুলে নেওয়ার রোডম্যাপ ঘোষনায় প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ভিডিও বার্তায় করে বলেন,”সঠিক সময়ে আমরা সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহন করেছি। রোডম্যাপ অনুযায়ী লকডাউনের শেষ ধাপ শিথিল করা হলো। আজ থেকে ইভেন্ট, রেস্টুরেন্ট, নাইট ক্লাব, পাবে লোক সমাগমের কোন সীমা রেখা নেই। আইনি বাধ্যবাধকতা তুলে নেওয়া হলো,”।
ভ্যাকসিন মিনিস্টার নাদিম জাওয়ায়ী বলেন,” পুরো বৃটেনরে ভ্যাকসিনের আওতায় আনা হয়েছে।শতকরা ৯০% পার্সেন্ট মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে এবং শতকরা ৯০% কার্যকর। ১২ বৎসর থেকে ১৭ বৎসরের বয়সীদেরও ভ্যাকসিনের আওতায় আনা হবে। ভ্যাকসিনের মাধ্যমে করোনাভাইরাস মোকাবিলা আরো সহজ হবে,”।
লেবার শ্যাডো হেল্থ সেক্রেটারি জনাথন আসওয়ান বলেন,” লকডাউন তুলে নিলেও নিজেদের রক্ষা নিজের দায়িত্ব নিতে হবে। ট্রান্সপোর্টে বা বেশী গেদারিং স্থানে মাক্স পরা সবার জন্য মংগল জনক,”। করোনা এখনো শেষ হয়ে যায়নি তাই সবাইকে আরো সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে,”।
করোনাভাইরাস বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, লকডাউন তুলে নেওয়া সরকারের আত্মঘাতী স্বীদ্ধান্ত। প্রতিদিনই ৫০ হাজারেরও বেশী মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে আরো ভয়াবহ রুপ নিতে পারে।
আজ থেকে মুক্ত স্বাধীন,মুখে মাক্স, সামাজিক দূরুত্ব এবং হাত ধোওয়ার আইনি বাধ্যবাধকতা নেই। শে যার মত করে ইচ্ছেমত চলতে পারবেন।এই জন্য অনেকে মহাআনন্দিত। আবারো প্রানবন্ত হয়ে উঠবে, পাব, বার নাইট ক্লাব গুলি।
দিন দিন করোনাভাইরাস এর আক্রান্ত অস্বাভাবিক ভাবে বেড়ে চলছে। আইনি বিধিনিষেধ না থাকলেও নিজের প্রয়োজনে শতর্কতা অবলম্বন করুন। আল্লাহ আমাদের সবাইকে হেফাজত করুন আমিন।