| |

ইংল্যান্ডে লাল তালিকা দেশের যাত্রীদের হোটেল কুরাইন্টেন ফি £২২৮৫ পাউন্ড।
আইন অমান্য করলে£১০,০০০ পাউন্ড জরিমানা ।


মো: রেজাউল করিম মৃধা।

লাল তালিকাভুক্ত দেশ থেকে যাত্রী হিসেবে ইংল্যান্ড প্রবেশ করলেই হোটেল কুরাইন্টাইনের জন্য £২২৮৫ পাউন্ড দিতে হবে। কেউ যদি এই আইন অমান্য করেন তাকে জরিমানা দিতে হবে £১০,০০০ পাউন্ড। যদিও ১২ আগস্টের পূর্বে হোটেল কুরাইন্টাইন ছিলো £১৭৫০ পাউন্ড । এবং একটি পরিবারের জন্য £৩০৩০ পাউন্ড।

১২ই আগস্ট থেকে হোটেল কুরাইন্টাইন বৃদ্ধির ফলে লাল তালিকা দেশের যাত্রীর সংখ্যা অস্বাভাবিক হারে কমে গেছে।

একজন যাত্রীকে ১০ দিনের হোটেল কুরাইন্টাই বাধ্যতামূলেক এবং এর জন্য দিতে হবে £২২৮৫ পাউন্ড।

১১ বৎসরের উর্ধ বয়সীর জন্য £১৪৩০ এবং ৫ থেকে ১১ বৎসর বয়সীদের জন্য £৩২৫ সেই সাথে ৫ বৎসরের নিচের শিশুরা ফ্রি।

ইংল্যান্ডের

১/ হিথ্রো এয়ারপোর্ট,

২/ গেটউইক এয়ার্পোর্ট,

৩/ লন্ডন সিটি এয়ার্পোর্ট,

৪/ বার্মিংহ্যাম এয়ার্পোর্ট,

৫/ ব্রিস্টল এয়ার্পোর্ট,

৬/ ফ্রানবারক এয়ার্পোর্ট,

৭/ বীগেইন হিল এয়ার্পোর্ট।

বিশ্বের যে সব দেশে করোনাভাইরাস মহামারির আক্রান্ত এবং মৃত্যর সংখ্যা বেশী এবং ঝুঁকি পূর্ন সেই সব দেশের যাত্রীরা ইংল্যান্ডে প্রবেশ করলেই সরকারের দেওয়া গাইডলাইন্স মেনে চলতে হবে। অমান্য করলেই গুনতে হবে জরিমানার পাহাড়।

লাল তালিকার শীর্ষে আছে বাংলাদেশ। এজন্য বাংলাদেশ যাত্রীর সংখ্যা অস্বাভাবিক হারে কমে গেছে। কভিড-১৯ পূর্বে যেখানে প্রতিদিন ফ্লাইটের জন্য যাত্রীদের দাবী ছিলে। সপ্তাহে ৫টি ফ্লাইটেই উপচেপরা যাত্রীদের ভীড় ছিলো। কভিড-১৯ বা করোনাভাইরাস মহামারির কারনে। সপ্তাহে মাত্র একটি ফ্লাইট যাতায়াত করছে তাও আবার অর্ধেকের চেয়ে কম যাত্রী নিয়ে।

শুধু মাত্রা ইমার্জেন্সী ছাড়া কেউই এই কভিডের মধ্যে বাংলাদেশ যাচ্ছেন না এবং আসছেন না। যাত্রী যাতায়াত না করায় ইংল্যান্ডের অনেক বাংলাদেশী ট্রাভেল এজেন্সি গুলি আছে হুমকির মুখে। এমন কি অনেক বড় বড় প্রতিস্ঠান ব্যাবসা ছেঁড়ে দিতে বাধ্য হচ্ছে।

সিগনাল লাইটের আদোলে কভিড-১৯ বা করোনাভাইরাস মহামারির আক্রান্ত এবং মৃত্যুর সংখ্যা ও ঝুঁকির উপর নির্ভর করে লাল, এ্যাম্বার এবং গ্রীন তালিকা করা হয়েছে। গ্রীন বা এ্যাম্বার তালিকার যাত্রীদের হোটেল কুরাইন্টাইন প্রয়োজন নাই। শুধু করোনার দুই ভ্যাকসিন দেওয়া এবং করোনার নেগেটিভ সার্টিফিকেট থাকলেই হবে কিন্তু লাল তালিকাভুক্ত দেশের যাত্রীদের দুই ডোজ ভ্যাকসিন এবং করোনার নেগেটিভ সার্টিফিকেট থাকলেও ইংল্যান্ডে প্রবেশ করলে হোটেল কুরাইন্টাইন বাধ্যতামূলেক।

ইংল্যান্ডের ১০ দিনের হোটেল কুরাইন্টাইন নিয়েও রয়েছে অনেক অভিযোগ।অনেক যাত্রী তাদের অভিজ্ঞতা থেকে বলেছেন । সাথে খাবারের মান, পরিস্কার পরিছন্ন এমন কি অন্য কভিড রোগীর সাথে বসবাস করার তিক্ত অভিজ্ঞতা। এক কথায় বলছেন”হোটেল কুরাইন্টাইন হচ্ছে মিনি জেলখানা”।


Similar Posts