ইংল্যান্ডের গরিব পরিবারের শিক্ষার্থীদের শারীরিক বিকাশ ঘাটতি।

ইংল্যান্ডে গরিব শিক্ষার্থীদের শারীরিক বিকাশে ঘাটতি: এক-তৃতীয়াংশ স্কুল স্টাফের উদ্বেগ
ইংল্যান্ডের এক সাম্প্রতিক জরিপে দেখা গেছে, দেশের এক-তৃতীয়াংশ স্কুল স্টাফ মনে করেন দরিদ্র পরিবারের শিক্ষার্থীরা শারীরিকভাবে সম্পূর্ণ বিকশিত হচ্ছে না। শিক্ষক ও স্কুল কর্মীরা জানান, এসব শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনেকেই বয়স অনুযায়ী উচ্চতা, ওজন এবং শারীরিক সক্ষমতার দিক থেকে পিছিয়ে আছে।
এই শারীরিক অপ্রতুলতা শিক্ষার্থীদের আত্মবিশ্বাস, একাডেমিক পারফরম্যান্স এবং মানসিক স্বাস্থ্যের ওপরও প্রভাব ফেলছে বলে মনে করছেন অনেক শিক্ষক। শিক্ষার্থীদের মধ্যে খেলাধুলা ও অন্যান্য শারীরিক কার্যকলাপে অংশগ্রহণের অভাব লক্ষ্য করা গেছে, যা তাদের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ও বিকাশে বাধা সৃষ্টি করছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর পেছনে পুষ্টিহীনতা, নিম্নমানের আবাসন, পর্যাপ্ত খাবার ও স্বাস্থ্যসেবা না পাওয়ার মতো কারণ কাজ করছে। অনেক শিশুই পর্যাপ্ত প্রোটিন, ফলমূল বা স্বাস্থ্যকর খাবার পাচ্ছে না, যা তাদের শারীরিক গঠনে বিরূপ প্রভাব ফেলছে।
একজন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বলেন, “আমাদের স্কুলে এমন অনেক শিক্ষার্থী রয়েছে যাদের দাঁত পচে গেছে, যারা ঠিকভাবে হাঁটতে বা খেলাধুলা করতে পারে না। এর সবই দরিদ্রতার সাথে সরাসরি সম্পর্কযুক্ত।”
স্কুলগুলোর পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, তারা নিজেদের সীমিত সম্পদের মধ্যেই শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা করতে চেষ্টা করছে—যেমন ফ্রি স্কুল মিল, ব্রেকফাস্ট ক্লাব ও বিনামূল্যে পোশাক সরবরাহ—but এটি যথেষ্ট নয়।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই সমস্যা সমাধানে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও সামাজিক কল্যাণ ব্যবস্থার মধ্যে সমন্বয় জরুরি। একইসাথে, দরিদ্র শিশুদের জন্য দীর্ঘমেয়াদী সহায়তা ও সরকারি পর্যায়ে নীতিমালা গ্রহণের দাবি উঠেছে, যেন তারা মানসিক ও শারীরিকভাবে সুস্থভাবে বেড়ে উঠতে পারে।