অখন্ড বাংলা নিয়ে সেমিনার অনুষ্ঠিত।

ঐতিহাসিক পলাশী দিবস উপলক্ষ্যে গত ২৩ জুন, সোমবার, বিকাল ৫.০০ ঘটিকায় ‘অখণ্ড বাংলাদেশ আন্দোলন’ এর উদ্যোগে লন্ডন বাংলা প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে “পলাশী ট্র্যাজেডি ও আজকের বাংলাদেশ” শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন কবি আহমেদ ময়েজ, স্বাগত বক্তব্য রাখেন অখণ্ড বাংলাদেশ আন্দোলনের আহবায়ক হাসনাত আরিয়ান খান এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশিষ্ট গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব শামসুল আলম লিটন।
স্বাগত বক্তব্যে হাসনাত আরিয়ান খান অখণ্ড বাংলাদেশ আন্দোলনের পটভূমি তুলে ধরেন এবং নবাবী বাংলা ফিরে পেতে জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার ওপর জোর দেন। আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, প্রকৃতপক্ষে পলাশীর প্রহসনের যুদ্ধে বাংলার নবাব সিরাজ-উদ-দৌলা একা পরাজিত হননি, পরাজিত হয়েছিলো বাংলা-বিহার-উড়িষ্যার জনগণ। এই পরাজয়ের গ্লানি আমাদের মুছতে হবে। আলোচনা সভায় আলোচকেরা পলাশী ট্র্যাজেডি থেকে শিক্ষা নিয়ে ২৪ এর গণবিপ্লবকে বেহাত হওয়া থেকে রক্ষা করার উপর গুরুত্বারোপ করেন।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাপ্তাহিক সুরমা’র প্রধান সম্পাদক ফরীদ আহমেদ রেজা এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ সৈয়দ মামনুন মোর্শেদ ও অধ্যাপক আবদুল কাদির সালেহ। অতিথি হিসেবে কানাডা থেকে আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি অংশ নেন লেখক ও ইতিহাস গবেষক অধ্যাপক ড. তাজ হাশমী। আলোচনায় আরো অংশ নেন দৈনিক সিলেটের ডাক সম্পাদক নজরুল ইসলাম বাসন, দর্পণ টিভির পরিচালক রহমত আলী, দৈনিক আমার দেশ এর নির্বাহী সম্পাদক (আবাসিক) অলিউল্লাহ নোমান, স্পেকট্রাম রেডিও ইউকের পরিচালক মিছবাহ জামাল, সাবেক কাউন্সিলর লেফটেন্যান্ট (অব:) ইমরান আহমেদ চৌধুরী, গবেষক ড. কামরুল হাসান, সাংবাদিক ও কমিউনিটি অ্যাক্টিভিস্ট বদরুজ্জামান বাবুল, লেখক ও গবেষক শেখ আখলাখ আহমেদ, কবি কাইয়ুম আবদুল্লাহ, ড.মুহাম্মাদ মুঈনুদ্দীন মৃধা, সাংবাদিক শেখ মুহিতুর রহমান বাবলু, ইন্জিনিয়ার মুগনি চৌধুরী, ইক্যুয়াল রাইটস ইন্টারন্যাশনালের প্রেসিডেন্ট সাংবাদিক মাহবুব আলী খানশূর, মানবাধীকার কর্মী হাসনাত হাবীব ও ইউসুফ হোসাইন প্রমূখ।
সভা সঞ্চালনা করেন সাপ্তাহিক সুরমা’র ব্যবস্থাপনা সম্পাদক মিনহাজুল আলম মামুন ও সানরাইজ টুডে সম্পাদক এনাম চৌধুরী। আলোচনা সভা শেষে পলাশী থেকে আজ পর্যন্ত দেশের জন্য যারা জীবন দিয়েছেন, সেসব বীর শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাত করা হয়। আলোচনা সভায় ‘অখণ্ড বাংলাদেশ আন্দোলন’ এর একটি উপদেষ্টা পরিষদ গঠনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।