শত বর্ষে ইব্রাহিম পুর ঈশ্বর চন্দ্র বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়।

মোঃ রেজাউল করিম মৃধা
বিলেত প্রবাসী সাংবাদিক
সিনিয়র রিপোর্টার , চ্যানেল এস লন্ডন।
ইব্রাহিম পুর ঈশ্বর চন্দ্র বহুমুখি উচ্চ বিদ্যালয়ের সাথে মিশে আছে আমাদের অহংকার,আমাদের গর্ব, আমাদের আত্বমর্যাদা, আমাদের বিশ্বাস এবং ভালোবাসা। এই স্কুলের ছাত্র/ছাত্রীরা আলো ছড়াচ্ছেন সারা বিশ্বময়।
এই স্কুলের আমাদের স্কুলের রয়েছে অনেক স্মৃতি। দক্ষিনের বিশাল খোলা ধানক্ষেত এরপর স্কুলের বিশাল মাঠ এরপর স্কুলের প্রশাসনিক ভবন যেখানে দাপ্তরিক অফিস। গোপাল পিয়নের ঘন্টার আওয়াজ আজো কানে বাঁজে। আর সেই বৃদ্ধ নামটি ভুলে গেছি যিনি সবাই যাওয়ার পর সব তালা বন্ধ করে সবার পরে ঘরে ফিরে যেতেন। দেখেছি অনেক বার তিনি কিছু দূর যেয়ে আবার দৌড়ে এসে তালা চেক করে যেতেন। সেই তাঁকেও এক দিন কঠিন শাস্তির সম্মুখীন হতে হয়ে ছিলো।সেই কাহিনি পরে বলছি।
পাশের রুমেই বসতেন হেড স্যার আব্দুল মজিদ। স্যার বারান্দায় এলে সব ছাত্র/ছাত্রী একে বারে চুপ। যার যার মতো ক্লাসে চলে যেতো। কার সাধ্য আছে স্যারের সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলেন। সব নিশ্চুপ। স্যার যেমন ছিলেন সুন্দর চেহারা তেমনি অমায়িক তাকে শ্রদ্ধা করেন নি এমন লোক নেই। সত্যিই তিনি ছিলেন সর্বজনীন শ্রদ্ধেয়।
তার পাশের রুম ছিলো সকল স্যারদের রুম সেখানে মান্নান স্যার, তারাপদ বাবু , সুনীল স্যার, রহমান স্যার, আরবির শিক্ষক ছিলেন মসলেম উদ্দিন স্যার, লুৎফর স্যার , সুবোধ স্যার আমাদের সবার ভালোবাসার স্থান করে নিয়ে ছিলেন। সুবোধ স্যারের বিনয়ী অভ্যাসটি আমি চর্চা করে যাচ্ছি এবং চর্চা করে যাবো ইন্সা আল্লাহ।আরো অনেক স্যার ছিলেন তাদের নাম মনে পরছে না ক্ষমা করবেন। এর পাশের রুমেই ছিলো সাইন্স ল্যাব্রটারি। এই রুমে ব্যাগ কাঁটা থেকে শুরু করে সাইন্সের সব যন্ত্রপাতি সহ ক্লাস নেওয়া হতো যদিও আমি ছিলাম আরসের ছাত্র।
স্যার রুম এবং অফিসের ঠিক সামনেই ছিলো মেয়েদের কমন রুম। এই কমন রুমের সামনে ছেলেদের আড্ডা হবে না তা কি হয়। বিশেষ করে নাইন টেন হলে তো কথাই নেই। এর মধ্যে যে দুই একটি প্রেমের ঘটনা ঘটেনি তা নয়।অবশ্য দুই একটি স্মৃতি চারন হবে।
এরপর একটি হেঁটে সামনে এল প্রেটনের লম্বা করে দুইটি বড় সাইজের টিনের ঘর সেখানে হাতের বাম পাশ থেকে শুরু করে ডান পাশের শেষ রুমটি ছিলো ক্লাস টেন। স্কুলের সামনে বিশাল পুকুর এই পুকুরের দুই দিক দিয়ে রাস্তা হলেও এক পাশে ছিলো আব্দুল করিম মোল্লার পাঠশালা, অপর পাশে পালকি ওঁলাদের বাড়ী।
পুকুরের পাশ জুড়েই ছিলো নারিকেল গাছ ও আম গাছ, অবশ্য পালকি ওঁলাদের কিছু কলা গাছ ও ছিলো। পুকুরে গোসল করা এবং ঘাটে বসে গোসল করার দৃশ্য দেখা এবং গরমে হাওয়া খাওয়ার অনুভূতি অন্য রকম।
গোপাল দাদার কখন ক্লাসের শেষ ঘন্টা বাজাবেন? তার ঘন্টার প্রতিক্ষা কার না ছিলো। আর হাটের দিন হলে একটু আগেই যেতে হতো বিশেষ করে বর্ষার দিন কেননা অনেক সময় বাবা ও রাখালের সাথে হাটে যেতাম শুধু নৌকা পাহাড়া দিতে । বাবা হাটে যেতে আমি নৌকায় বসে থাকতাম আর বসে বসে আখ বা কুসইল খেতাম।স্কুল ছুটি হলে সেই হৈ চৈ করে বাড়ীতে ফিরে যাওয়ার কথা কখনো ভুলতে পারি না।
সারা বছর জুড়ে স্কুলের চতুর দিক দিয়ে বাড়ীর দিকে ছুটে চলতে পারলেও বর্ষা কালে রাস্তা গুলি পানিতে চলিতেছ যেতো তখন উঁচু বড রাস্তা ছিলো শুধুই একটি। আর সেটা হলো বটতলার রাস্তা। এই বটতলার রয়েছে অনেক স্মৃতি। এতো বড় বিশাল বট গাছ অত্র এলাকার আর কোথাও ছিলো না বট গাছের শীতল ছায়া তলে দু দন্ড শান্তি নেয়নি এমন কেই আছেন বলে মনে হয় না।শুকান্তের সেই বিখ্যাত কবিতার মতো আমাকে দুদন্ড শান্তি দিয়েছিলো নাটরের বনলতা সেন। তবে এখানে বসার শান্তিই ছিলো যা ভিন্ন রকম।
বটগাছের অনেক জট লম্বা হয়ে বের হতো সেই লম্বা জট ধরে কত যে দোল খেয়েছি। সেই সব স্মৃতি কখনো ভুলে যাবার নয়। আবার সন্ধ্যা হলে এই বট গাছের তলা দিয়ে হেঁটে যেতে ভয় পাননি এমন লোকের সংখ্যা ও কম নয়। ভূল বসত সন্ধার পর কেউ এই বট তলা দিয়ে
বিকেলে বাডীর যেয়ে অনেকে ফুটবল খেলতে কিম্বা নাটকের রেহেলসেল দিতে যে কোন সাংস্কৃতিক কিম্বা ক্রীড়া প্রতিযোগিতার জন্য স্কুলে আসতেন অনেকে।ফুটবল খেলার চলতো বছর জুড়েই কিন্তু বর্ষার আগ মূহুর্তে থাকতো আন্ত ক্লাস কিম্বা আন্ত স্কুল প্রতিযোগিতা এর জন্য অবশ্য ইব্রাহিম পুর নাইন ব্রাদার্স অনেক শক্তিশালী ছিলো। সেই সব খেলা দেখার জন্য স্কুলের ছাত্র/ ছাত্রী সহ পরিবারের অনেকেই খেলা দেখতে এবং উৎসাহ দিতে আসতেন। আমি ফুটবলে তেমন ভালো খেলোয়ার ছিলাম না তবে নাটক করেছি। স্কুলের বহু নাটক করেছি। সেই সব মধুর স্মৃতি কখনো ভুলে যাবার মতো নয়।
বলছি পদ্মা ভাংগার আগের কথা।
এরপর এই স্কুল পদ্মায় ভেংগে বিলিন করে দিলো স্কুল নিয়ে আসা হলো ধূলশুরা হাটের কাছে। এখানেও যেনো বেশী দিন স্থায়ী হলো না। পদ্মার ভাংগনের কবলে পরলো। এরপর স্কুল কে আবার নতুন স্থানে নেওয়ার জন্য জায়গা খোজা হচ্ছে। বোরহান উদ্দিন সাহেব তখন ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির দায়িত্বে তিনি আমাকে অনেক আদর করতেন কেননা তার বড ছেলে ফরিদ আমার ক্লাস ম্যাড ছিলো। এ ছাড়া আমি সাংগঠনিক ভাবে সবার দৃস্টি আকর্শন করেছিলাম। স্যাররা বলতেন,” মৃধা ছাত্র হিসেবে বেশী ভালো না হলেও সংগঠনিক হিসেব অনেক ভালো স্যারদের ভরসার আশ্রয় স্থল ছিলাম। লুৎফর স্যারের সাথে সাংগঠনিক ভাবে অনেক কাজ করেছি। এমনকি স্কুলে স্পোর্সের অনেক দায়িত্বই লুৎফর স্যারের সাথে করেছি।
আমি গংগারাম পুর এই জায়গার কথা বলার সাথে সাথে বোরহান উদ্দিন সাহেব আমাকে নিয়েই তিনি কাজ শুরু করে দিলেন। গংগারাম পুর এই জমির মালিকদের সাথে অনেক বার মিটিং করেছি। কেউ কেউ রাজি থাকলেও কেউ কেউ রাজি ছিলেন না। তাদের অনেক বুঝানোর পর রাজি করানো হয়েছে। তখন কলেজে লেখাপড়ার মাঝেই অনেক সময় দিয়েছি। ফরিদ ও মারা গেছেন বোরহান সাহেব ও আমাদের মাঝে নেই। (ইন্নাহ— রাজিউন)।অবশ্য হারুন অর রশীদ মুন্নু মিয়ার অবদান কোনভাবেই অস্বীকার করার নেই। তিনি ও ইব্রাহিম পুর স্কুলের জন্য অনেক কাজ করেছেন। অবশ্য এই দুই জন গুনি ব্যাক্তির সাথে সামান্য হলেও স্কুলের জন্য কাজ করা সুযোগ হয়েছে।এ জন্য নিজেকে ধন্য মনে করছি।
আজ দীর্ঘ প্রায় ৩৩ বৎসর প্রবাসে জীবনযাপন করলেও এক মূহুর্তের জন্যও স্কুলের স্মৃতি ভুলতে পারি নাই। প্রবাস জীবনে প্রথমে ফ্রান্স এরপর ইতালী এবং এখন ইংল্যান্ডের লন্ডনে চ্যানেল এস এর সিনিয়র রিপোর্টার হিসেবে আছি। আমার জীবনের যত অর্জন, যত পাওয়া তার সবটুকুই এই ইব্রাহিম পুর হাই স্কুল।
এই স্কুলে আমার বাবা পড়েছেন আমর বড় দুই ভাই ক্যাপ্টেন ইরফান মৃধা। আর্মীতে ছিলেন মুক্তি যুদ্ধের সময় স্কুলে স্কুলে ছাত্রদের সংগঠিত করে ট্রেনিং দিয়েছেন। মেঝ ভাই সোহরাব মৃধা ফ্রান্স প্রবাসী। তিন বোন সবাই এই স্কুলেই পড়েছি। আপনাদের দোওয়ায় আমরা আজ সবাই সুপ্রতিস্ঠিত। এর কৃতিত্ব শুধুই এই স্কুল।
আমার মতো বহু কৃতিত্ব সারা বিশ্ব জুড়েই ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এর অন্যতম প্রধান কারন ইব্রাহিম পুর ঈশ্বর চন্দ্র বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়। এই স্কুলের মেধাবী ছাত্র/ ছাত্রীরাই বাংলাদেশ সংসদ থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতৃত্ব দেওয়া থেকে শুরু করে ডাক্তার , ইন্জিনিয়র , উকিল, মুক্তার, চেয়ারম্যান মেম্বার রয়েছে অসংখ্য। যারা প্রভেসর কিম্বা শিক্ষক হয়েছেন তারা আলো ছড়িয়ে দিচ্ছেন বিশ্ব ব্যাপী।
যে কথা বলছিলাম সেই হিন্দু বৃদ্ধ লোকটির কথা তিনি ছিলেন আমাদের সবার অতি বিশ্বস্ত সারাটি জীবন তিনি দিয়ে ছিলেন এই স্কুলের জন্য কিন্তু বৃদ্ধ বয়সে তাকে এতো বড কঠিন শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে কেউ বিশ্বাস করেনি আমি তখনো মেনে নেই নাই এখনো মানতে পারছি না যদি সেই বৃদ্ধ লোকটি বেঁচে নেই ।
ঘটনা হচ্ছে স্বাধীনতার সামান্য কিছু দিন পরের কথা আমি তখন করিম মোল্লার পাঠশালা পেরিয়ে হাই স্কুলে ভর্তি হয়েছি। স্বাধীনতার পর সব যেনো থমথমে ভাব কারো মনে শান্তি নেই। এমন কোন রাত নেই কোথাও না কোথাও ডাকাতি হচ্ছে না। ভোর হলেই হা হা কার শোনা যেতো। ওমক বাড়ী ডাকাতি হয়েছে ওমক কে মারধর করেছে। এমনকি হেড স্যার আব্দুল মজিদ স্যারের বাডীতে ও ডাকাতি হয়েছিলো। স্যার এবং ম্যাডামকে বন্ধি করে টাকা ও স্বর্ন অলংকার নিয়ে গিয়েছে।
স্কুলে গিয়েছি দেখি আরো ধমধমে ভাব! কি হয়েছে? কি হয়েছে? শুনি স্কুলের টিন ডাকাতি হয়েছে। আপনাদের হয়তো মনে আছে স্কুলটিকে বড করার জন্য বিশাল বাজেট করা হয়ে ছিলো পদ্মায় ভেংগে যাবে এমন ধারনা ছিলো না।অনেক দামী এবং অনেক বান টিন গুদাম ঘরে রাখা ছিলো। রাতে ডাকাত দল এসে সেই সব টিন নিয়ে গেছে। শুনশান শব্দে সবার ঘুম ভাংলেও ডাকাতদের ভয়ে কেউ চোখ খুলে তাকাতে পারেন নি।কিন্তু তার সমস্ত দায় ভার পরলো সেই বৃদ্ধের উপর। কে টিন নিয়েছে ? কে গুদাম ঘরের দরজা খুলে দিয়েছে ? সেই কথা বের করতে আমাদের স্কুলের আগের ছাত্র অর্থাৎ আমাদের কয়েক বছরের সিনিয়র নাম নাই বললাম । বর্তমান (ইসা) এর সভাপতি প্রফেসর ডাঃ লুৎফর খান ভাইয়ের মতো ক্ষমা চেয়ে নিলাম।
সেই যে মাইর! আহ, বৃদ্ধ লোকটিকে মারছে এমনিতেই খুবই হ্যাংলা ছিলেন গায়ে শুধুই হাড্ডি সেই হাড্ডি গুলি মনে হচ্ছিলো গুড়ো গুঁজো হয়ে যাচ্ছে। আমি তখন খুবই ছোট মানুষ। আফসোস করা ছাড়া কিছুই করার ছিলো না । তবে আমি মেনে নেই নাই। ঐ বৃদ্ধ লোকটি কিছুতেই এর সাথে জড়িত ছিলো না। তার সেই আত্মচিৎকার তখন আকাশে বাতাসে ধ্বনিত হতে ছিলো কিন্তু সেই নির্বোধ স্কুলের কলংকিত ছাত্রটির কানে পৌছায়নি?
সুনীল স্যার প্রতি বৃহস্পতিবার ডিভেট ক্লাস নিতেন। সবাইকেই কিছু না কিছু বলতে হবে। আমার ডাক পরলো মৃধা আসো । আমি উঠলাম না। দ্বিতীয় বার ডাকলেন উঠলাম না তৃতীয় বার এসে সোজা এক হাত দিয়ে কানে ধরে অপর হাতে ডাস্টার দিয়ে অর্থাৎ যেটা দিয়ে ব্ল্যাকবোর্ড মুছে সেই ডাস্টার দিয়ে দিলেন কয়েকটা মাইর। সে কি মাইর হাউমাউ করে কাঁদতে না পারলেও চোখ দিয়ে ঝড় ঝড় করে পানি পরতে লাগলো। সেই মাইরটি আমার জীবনকে বদলে দিয়েছে। আমার ভিতরের মানুষটিরে জাগিয়ে দিয়েছিলেন। আজ আমি শুধু মাত্র ক্লাসের ছাত্র/ ছাত্রীদের সামনে নয় হাজার হাজার লক্ষ লক্ষ মানুষের সামনেও কথা বলতে দ্বিধাবোধ করি না। পৃথীবির যেখানেই থাকি, যে অবস্থায় থাকি আপনার দেওয়া সেই সাহস এবং শক্তি আমাকে কথা বলার অনুপ্রেরণা জোগায় ।অনেক ধন্যবাদ স্যার আপনাকে জানি আপনার শরীর তেমন ভালো নেই তবু আমার জন্য দোওয়া করবেন।
একদিন আমাদের ক্লাসের জাহাংগীর ও বাদলের মধ্যে সামান্য জিনিস নিয়ে তর্ক এরপর হাতাহাতি। আমি মিটিয়ে দিলাম কিন্তু ক্লাসের বাইরে যেয়ে আবারো তর্কে জডালো। এই তর্ক এখন বড থেকে বড হলো। দুই গ্রুপ তৈরি হলো ব্যাপক সংঘাত হওয়ার মতো। স্যারদের কানে চলে গেলো। এবার হেড স্যার এলেন আস্তে আস্তে সব স্যাররাই এলেন। ঘটনা শুনলেন মিমাংসার জন্য আমি চেস্টা করি এটা সবার জানা হেড স্যার বললেন “রেজু মৃধা “ আমার ডাক নাম “রেজু” এলাকা এবং আত্বীয় স্বজন সবাই এই নামেই ডাকে। বলো কি হয়েছে। আমি বললাম “স্যার সামান্য ব্যাপার আমি বলছি “মিলে যা , দুইজন কে মিলিয়ে দিয়েছি”। স্যার এবার দুই জনের কাছ থেকে শুনলেন, মান্নান স্যারকে ডাকলেন বললেন মান্নান সাহেব এদিকে আসেন, আর গোপাল কে বললেন গোপাল জোড়া বেতটি নিয়ে আসো। যে কথা সেই কাজ গোপাল দপ্তরি বেত নিয়ে আসলেন এবার মান্নান স্যারকে হুকুম দিলেন মারো।
বাদল কে মাত্র ৮/ ১০টি আর বাকী সবই জাহাংগীরকে আ হা কি মাইর মারকে মারতে জোডা বেত ফেঁটে গেলো স্যার ক্লান্ত হয়ে গেলেন। জাহাংগীর ও মাটিতে পরে গেলো। জাহাংগীর শুধুই আমার ক্লাস ম্যাড না ও আমার আপন আত্বীয়। ওর বাবা আব্দুর রউফ একবার আমাদের ইউনিয়নের ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন। এবার আমার দায়িত্ব হলো জাহাংগীর কে কান্দে করে ওদের বাড়াতে পৌছে দেওয়া। এরই মধ্য রউফ ভাই ছুটে চলে এসেছে। এই ঘটনার পর থেকে আজ পর্যন্ত কেউ ক্লাসের মধ্যে মারামারি করার সাহস পায় নাই।
প্রেমের কথা সেই সব মধুর মধুর স্মৃতি কোন রেখে কোনটা বলবো?
জসিম এখন দাঁড়ি রেখে সুবোধ বালক কিন্তু তখন যে চৌধুরী বাডীর মেয়ে রিতার সাথে পিটিস পিটিস সবার জানা। এই ধরনের পিটিস পিটিস অনেকেই করেছেন। চিঠি আদান প্রদান হয়েছে। দুই একজন কান ধরে উঠ বস করেছে। গিয়াস উদ্দিনের প্রেমের কথা কি কেউ ভুলে গেছেন?
আরে দপ্তরির বিশ্ব সুন্দরী মেয়ে নীলা আর শাহাদত খাঁর ছেলে আনোয়ারের প্রেম কাহিনী লাইলী মজনু, শিরি ফরহাদ কিম্বা রজকিনী চন্ডি দাসের প্রেম কাবিনীকে ও হার মানিয়েছে।
যেটা দিয়ে শেষ করবো সেই প্রেম কাহিনী পালিয়ে বিয়ে করে তাক লাগিয়ে দিয়েছে পুরো স্কুলকে। পান্নু মিয়ার ছোট মেয়ে আর মান্নান স্যারের বড় ছেলে। এই দুই জনের প্রেম কাহিনী যে কোন সিনেমা কেও হারমানিয়েছে।
প্রেম অমর হোক। আমাদের ভলোবাসা অটুট থাকুক।
১৯২৩ থেকে ২০২৩ এই একশত বছরে এই স্কুলটি নাম
ইব্রাহিম পুর ঈশ্বর চন্দ্র বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয় এর শত বর্ষপূর্তীতে সবাইকে অনেক অনেক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা।