| | |

লন্ডনে কোরবানী পশুর দাম বেশী, তারপর ও অর্ডার নিতে হিমশিম খাচ্ছে দোকান গুলি।


মো: রেজাউল করিম মৃধা।

ইসলামের ৫টি স্তম্ভের মধ্যে অন্যতম ইবাদত কোরবানী।নিজের প্রিয় প্রানী বা বস্তুকে আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দ্যেশে কোরবানী দেওয়া। সামর্থবান এবং অর্থশালী প্রতিটি মুসলমানের জন্যই কোরবানী ফরজ করা হয়েছে।

তৃতীয় বাংলা খ্যাত লন্ডন বা বিলেত। বাংলাদেশ মুসলমানদের বৃহৎ অংশের বসবাস এই লন্ডনে এখানে বাংলা সংস্কৃতির সাথে সাথে ইসলামের সকল রীতিনীতি ও পালনে সবার আগে বাংলাদেশী মুসলিমগন।

বহু সংখ্যক মসজিদ এই লন্ডনে। প্রতিটি মসজিদে ২টি, ৩টি, ৪টি এবং পাঁচটি ঈদের জামাত অনুস্ঠিত হয় এর পর মাইল এ্যান্ড স্টেডিয়ামে, ভ্যালেন্সটাইন পার্কে, নিউহ্যাম সেন্টাল পার্ক সহ বহু পার্কে খোলা মাঠে ঈদের জামাত অনুস্ঠিত হয় এবং এবারের কোরবানীর ঈদের জামাত অনুস্ঠিত হবে।

ঈদুল আযহা বা কোরবানী ঈদের প্রধান উদ্দেশ্যই হচ্ছে সামর্থবানদের কোরবানী দেওয়া । আমরা যারা প্রবাসে আছি প্রায় প্রত্যেকেই দেশে কোরবানী দিয়ে থাকেন। বিদেশে যে সব দেশে কোরবানী দেওয়া যায় সেখানে সবাই কোরবানী দিয়ে থাকেন।

লন্ডন প্রবাসী বাংলাদেশী মুসলমানদের প্রায় প্রত্যেকেই দেশেতো কোরবানী দেন সেই সাথে লন্ডনেও কোরবানী দিয়ে থাকেন।লন্ডনে কোরবানী দেওয়া অনেকটাই সুবিধা আছে। কেননা বাংলাদেশী গ্রোসারী বা আলিমেন্টারি শপে কোরবানীর অর্ডার দেওয়া যায়।

প্রতিটি শপেই কোরবানীর অর্ডারের সাইনবোর্ড লেখা আছে। সেই সব দোকানে বা শপে কাস্টমাররা নিজের সুবিধা মত নিজের পছন্দের শপে অর্ডার দিচ্ছেন।

তবে দামের ক্ষেত্রে রয়েছে ভিন্নতা। লন্ডনের বিভিন্ন শপে ঘুরে দেখা যাচ্ছে দামের মধ্যে রয়েছে অনেক পার্থক্য । গত বছরের তুলনায় দাম অনেক বেশী। প্রতিটি গরুর ভাগে একটি গরু ৭ নামে বা ভাগে কোরবানী অংশ বলা হয়। গত বছরের চেয়ে প্রায় £৬০ থেকে £৭০ পাউন্ড বেশী এবং প্রতিটি ভেড়ার বা ছাগলের দাম £ ৮০ থেকে £১০০ পাউন্ড বেশী।প্রতিটি ভেড়া ২২০ থেকে £২৪০ পাউন্ড পর্যন্ত ধার্য্য করা হয়েছে।যে যার মত করে দাম হাঁকাচ্ছেন।

সেই সাথে এক দোকানে গুরুর এক ভাগ £২৯৫ পাউন্ড, পাশের শপেই £৩৩০ পাউন্ড আবার অপর শপে £২৭৫ পাউন্ড। আবার কোন শপে সরাসরি £৩০০ পাউন্ড। কেন দামের এই পার্থক্য কারও কাছে সঠিক কোন উত্তর নেই।

কোন কোন শপের মালিকরা বলছেন, করোনাভাইরাস মহামারি এবং ব্যাক্সিটের কারনে স্লটার হাউজ থেকেই দাম বাড়ানো হয়েছে। যুক্তির শেষ নেই তবে মূল কথা হচ্ছে গত বছরের চেয়ে এই বৎসর ২০২১ সালের কোরবানীর পশুর দাম অনেক বেশী।

যে সব কাস্টমার তার নিজের পছন্দের দোকানে বা শপে গিয়ে অর্ডার দেন দাম নিয়ে কোন আফসোস বা অভিযোগ নেই। কোরবানী বলে কথা, নিয়ত করা হয়েছে দিতে হবে ব্যাস।সবাই একটাই উদ্দেশ্য তার কোরবানী যেন সঠিক ভাবে আদায় করা হয়।

কোরবানী মাংশ নিয়ে অনেক অভিযোগ থাকলেও কাস্টমাররা আল্লাহর উপর ভরসা রেখে নিরবে মেনে নেন।ঈদ দিন মাংশ পাওয়া। কখন কোরবানী দেওয়া হলো? ঈদের নামাজের আগে নাকি পরে কোরবানীর পশু জবাই করা হয়েছে? সে প্রশ্নতো আছেই?

অনেকে আবার কয়েক জন বন্ধু মিলে রমফোর্ড স্লটার হাউজ সহ অন্যন্য স্লটার হাউজে নিজেদের উদ্দোগে কোরবানীর পশু কোরবানী দিয়ে থাকেন।

নিয়তই হচ্ছে আসল কথা। সেই ভরসা রেখেই কোরবানী দেওয়া হচ্ছে।

আল্লাহ আমাদের সবাইকে কোরবানী দেওয়ার তৌফিক দান করুন এবং কোরবানীকে আল্লাহ যেনো কবুল করেন।

আমিন।


Similar Posts