| | |

লন্ডনের ইতালীয়ান এ্যাম্বাসীর বিড়ম্বনায় শেষ কোথায়?


মো: রেজাউল করিম মৃধা।

প্রতিটি দেশের দূতাবাস হচ্ছে দেশের বাইরে সেই দেশের নাগরিকদের সেবা প্রদান করা। নতুন পাসপোর্ট দেওয়া, পুরাতন পাসপোর্ট নবায়ন করা, জন্মগত সার্টিফিকেট দেওয়া, আইডি কার্ড দেওয়া, এমনকি যে কোন ইনফরমেশন সবার মাঝে তুলে ধরা বা সবাইকে অবহিত করা।

কিন্তু ইতালীয়ান এযাম্বীসীর এধরনের কোন সুযোগ নেই। এই সমস্যা কোথায় বলবেন কার কাছে বলবেন? কিভাবে করবেন এর সমাধান? কোন উত্তর নেই। দেখার কেউ নেই।যে কোন কাজের জন্য ভোগান্তির শেষ নেই।

ইতালীয়ান এ্যম্বাসীর এপোয়েন্টমেন্ট পাওয়া মানে বিশ্ব যুদ্ধে জয়ী হওয়া অথবা আমাবশ্যার চাঁদ হাতে পাওয়া। জীবনের সব চেয়ে দূরহ কাজ হচ্ছে। ইতালীয়ান এ্যান্বাসীর থেকে কাজ করে আসা।

কোনটা থেকে কোনটা বলবো। কোনটা দিয়ে শুরু করবো?

আমার স্ত্রীর পাসপোর্ট জমা দেওয়ার লম্বা কাহিনী সব কাগদ পত্র যেমন কমুনে থেকে রেজিস্ট্রিকৃত ম্যারেজ ও ফ্যানিলি সার্টিফিকেট , প্রেফেতুরার সার্টিফিকেট সহ অন্যান্য কাগজ পত্র আনতে কয়েক বার যেতে হলো ইতালীতে এবং লন্ডনের পুলিশের ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট সহ সকল কাগজ এবং প্রমান পত্র সহ লন্ডনের ভিক্টরিয়াতে এ্যাম্বাসী থাকা অবস্থায় কাগজ জমা দেওয়া হলো।আজ পর্যন্ত সেই পাসপোর্ট নেওয়া হলো না। নিজে ইমেইল করেছি। সেই সাথে এখানকার এজেন্সী গুলি যারা এ্যাম্বাসীর কাজে কাগজ পত্র রেডি করে দেন। তাদের মাধ্যমেও নির্দিষ্ট ফি দিয়ে বারবার ইমেইল করেছি। তাদের লেখা লেটার পোস্ট করেছি। কোন উত্তর নেই। শুধু মাত্র একটি ইমেইলে উত্তর এলো তোমার কাগজ পত্র সব ঠিক আছে জুরামেন্তর জন্য এ্যাপয়েন্টমেন্ট সহ চিঠি দেওয়া হবে। সেই চিঠির অপেক্ষায় আজো পথ চেয়ে আছি।

এযাম্বাসীর দরজায় বহুবার গিয়েছি এ্যাপয়েন্টমেন্ট ছাড়া প্রবেশ করতে ব্যার্থ হয়ে ইতালীয়ান পাসপোর্টের আশা ছেড়ে দিয়ে শেষ পর্যন্ত ট্রিনিটি কলেজ থেকে বি ওয়ান এবং স্ট্রার্ড ফোর্ড এর ব্রড ওয়ে সেন্টার থেকে লাইফ ইন দি ইউকে পাশ করে আমার স্ত্রী বৃটিশ পাসপোর্ট নিয়েছে।

শুধু যে আমি এবং আমার স্ত্রী এই সমস্যায় পরেছেন এমন নয়। আমাদের মত ভুক্তভুগি অনেকেই আছেন।কিন্তু এটা কোন সমাধান নয়।নিজের পাসপোর্টের জন্য ১০ বৎসর পর এবং সন্তানদের জন্য ৫ বছর পর পর আপনাকে যেতেই হবে। এর বিকল্প নেই।

আমার নিজের পাসপোর্ট নবায়নের ক্ষেত্রে পরে গেলাম মহা ঝামেলায়। ২০২০ সালের জুন মাসে ইতালীয়ান পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হয়। কিন্তু এপোয়েন্টমেন্ট পেতে পেতে ২০২১ সালের এপ্রিল মাসে নবায়ন করে নতুন পাসপোর্ট হাতে পাই। এই নবায়নের রয়েছে তিক্ত অভিজ্ঞতা।

আপনারা সবাই জানেন এপোয়েন্টমেন্ট ছাড়া লন্ডনের ইতালীয়ান এ্যাম্বাসীতে প্রবেশের কোন সুযোগ নেই। সেই নিয়ম সবার জন্য প্রযোজ্য তবে এই এপোয়েন্টমেন্ট পাওয়াটা যেন আমাবশ্যার চাঁদ হাতে পাওয়া অথবা বিশ্ব জয় করার মত অবস্থা।

এপোয়েন্টমেন্ট নিয়মে যদিও বলা আছে

১/ ফোনের মাধ্যমে

২/ ইমেইলের মাধ্যমে

৩/ ওয়েব সাইট বা অন লাইনের এর মাধ্যমে

৪/ অ লিখিত ভাবে বিভিন্ন সেব মূলক প্রতিস্ঠান ও বলতে পারেন। অফিস নিয়ে এজেন্সির কাজ করেন।তবে ফি এর মাধ্যমে এপোয়েন্টমেন্ট নিয়ে দিয়ে থাকেন।

ফোনের কথায় যদি আসি ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা কোন উত্তর নেই। একদিন নয় দুইদিন নয় মাসের পর মাস ট্রাই করে ভাগ্য চক্রে হয়তো উত্তর পেতে পারেন।তবে ফোনে এপোয়েন্টমেন্ট পেয়েছেন এমন উদাহরণ নাই বললেই চলে।

এবার আসেন ইমেইলের মাধ্যমে ইমেইল করলে অটো একটি উত্তর পাবেন। আপনার ইমেইল রিছিপ করেছে কিন্তু এরপর আর কোন কিছুই নেই।সেই ইমেইলের অপেক্ষা অনেকেই আছেন অপেক্ষমান জানিনা কবে শেষ হবে সেই অপেক্ষার পালা?

তবে ওয়েব সাইট বা অন লাইনের মাধ্যমে এপোয়েন্টমেন্ট প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭.০০টায় এক মিনিটের মত সময় ওপেন করা হয়। সেই এক মিনিটের মধ্যে শত শত মানুষ নাম এবং জন্ম তারিখ লিখে সাবমিট করতে হয়। যদি ভাগ্য সুপ্রশন্ন হয়। তবে সাথে সাথে এপোয়েন্টমেন্ট দিয়ে দিবে। সেই স্বল্প সময়ের একদিনেই পেয়ে যাবেন এমন নয়। বারবার ট্রাই করতে করতে একদিন না একদিন পেয়ে যাবে।এই অন লাইনের মাধ্যমে এপোয়েন্টমেন্ট পাওয়া মহা ভাগ্যবান বলতে পারেন।

অ লিখিত এজেন্সি বললাম এই জন্য হয়তো কেউ মনে দু:খ পেতে পারেন তবে এ্যাম্বাসী থেকে কারো অনুমোদন আছে বলে জানা নেই। তবে এজেন্সীর মাধ্যমে শুধু এপোয়েন্টমেন্ট নেওয়ার জন্য নয় ইতালীয়ান এ্যাম্বাসীর অন্যান্য কাজ গুলি করতে সহযোগিতা করে থাকে। তবে এই এজেন্সি গুলিতে যেতেও আপনাকে এপোয়েন্টমেন্ট নিতে হবে।সাথে £৫০ পাউন্ড। তারপরও যে আপনার ইতালীয়ান এ্যাম্বাসীর এপোয়েন্টমেন্ট সহজে পেয়ে যাবেন এমন নয়। এখানে নিয়ম সবার জন্য সমান তবে এজেন্স গুলি চেস্টা করে তাদের নিজস্ব সিস্টেমে। বারবার চেস্টার পর এপোয়েন্টমেন্ট পেয়ে যায়।

এবার আসি আপনি এপোয়েন্টমেন্ট নিয়ে বীরদর্পে গেইট থাকা দুই বাহাদুর পুলিশে অতিক্রম করে এখন কভিড-১৯ চেক করে ইলেক্ট্রনিক গেইটে বোটন টিপে ভিতরে যেতেই আপনার কাগজ চেক করে মনোপ্রত হলে নাম্বার দিবে আর না হলে ফিরিয়ে দিবে। তখন আপনার মাথায় আকাশ ভেজ্ঞে পরবে। হাউমাউ করে কেঁদেও কোন লাভ নেই।কারন ইতালীয়া গেইটের পুলিশই বলেন আর দাডোয়ানই বলেন এবং অফিসার বলেন এদের মাঝে দয়ামায়া বলতে কিছুই নেই।

দীর্ঘ প্রতিক্ষা, কস্ট , অর্থ খরচ করে বহু কাক্ষিত এপোয়েন্টমেন্ট নিয়ে গেলাম। সাথে এপোয়েন্টমেন্ট এর কপি, পাসপোর্ট এর কপি এবং অন লাইনের মাধ্যমে প্রিন্ট করা ফর্ম পূর্ন করে সাথে ফোটো নিয়ে উপস্থিত একের পর এক ধাপ পার হলাম। আর স্বস্থির নি:শ্বাস নিচ্ছি। আর নিমিষেই সেই আশা ধূলিস্বাত হয়ে গেল।

প্রথম কাউন্টারের অফিসার সব দেখলেন। সব ঠিক আছে কিন্তু , কিন্তু কি? কিন্তু হচ্ছে আমার স্ত্রীর স্বাক্ষর লাগবে ফর্মে। স্বাক্ষরতো আছে।কিন্তু না এই স্বাক্ষর তাদের সামনে দিতে হবে। হায়রে নিয়ম সন্তানদের পাসপোর্ট হলে না হয় নেমে নেওয়া যায় কিন্তু আমার পাসপোর্ট সেখানেও স্ত্রীর স্বাক্ষর তাও আবার তাদের সামনে। আমাকে বলে দিলেন হবে না। ওদের এক কথা । মনে হচ্ছে ইতালীয়ান সবাই এক কথার মানুষ। আমিওতো ইতালীয়ান জন্ম সুত্রে না হলেও কাজের সুত্রে তো হয়েছি।

ওরা যেমন নাড়ছ বান্দা আমি আমিই বা কম কিসের আমি বললাম সিনরে এই এপোয়েন্টমেন্ট নিতে অনেক কস্ট হয়েছে অনেক সাধনার পর পেয়েছি আপনি শুধু একটি কারন দেখিয়ে বিদায় করে দিচ্ছেন। আর আমি চলে যাবে আবার মাসের পর মাস অপেক্ষা করতে হবে এতো হতে পারে না। আমি বললাম আমাকে আর একটি এপোয়েন্টমেন্ট দিয়ে দিন।

অফিসার বলছেন

কোন নিয়ম নাই।

আমি বললাম “আমাকে সময় দাও আমার স্ত্রীকে আসতে বলি”

তিনি তাও সম্ভব না বলেন “তোমার সময় শেষ।

আমি বললাম “একটা কিছুর সমাধান না দিলে আমি যাবো না। হয় আমাকে আর একটি এপোয়েন্টমেন্ট দাও না হয় মিয়া মল্লিয়াকে আসতে সময় দাও। একটি সমাধান না দিলে আমি যাবো না।

এবার সিকিউরিটি অফিসার এলেন কারন আমার পিছনে দীর্ঘ লাইন প্রতিদিনই এমন দীর্ঘ লাইন থাকে কারো কাজ হয় করো হয় না।অবশ্য একমাত্র এই অফিসারটা বললেন, পেরফাভোরে ভিয়েনি কন মি তার সাথে একটু দূরে গিয়ে কথা বলি। লাইনের অন্য লোকরা কাজ করার সুযোগ পায়।

অবশেষে তিনি আমাকে সুন্দর পরামর্শ দিলেন বললেন, বুধবারে আসো তোমার মল্লিয়া সহ আমি বল্লাম লিখিত না দিলে যাবো না সে বলে লিখিত লাগবে না তুমি আসো কোন অসুবিধা হবে না। তারপরও আমি নাছর বান্দা শেষ পর্যন্ত আজ যে এসেছিলাম তার একটি টুকেন দিলেন বললেন এইটা দেখালেই আগামী বুধবার তোমাকে ডুকতে দেবে।মন খারাপ করে টোকেন হাতে চলে গেলাম বাসায়।

পরের বুধবার ছেলে এবং ছোট মেয়েকে স্কুলে ড্রপ দিয়ে মাইল এ্যান্ডে গাড়ী রেখে আমার স্ত্রীকে সাথে নিয় আন্ডারগ্রাউন্ডে চড়ে ব্লাক ফায়ার স্টেশনে নেমে সামান্য হেঁটে কাগজ পত্র নিয়ে আবার গেলাম এ্যাম্বাসীতে।

যেয়ে দেখি মহা কান্ড! শত শত মানুষ লাইনে এক বড় দীর্ঘ লাইন আগে কখনো চোখে পরে নাই। নারী পুরুষ শিশু বৃদ্ধ এমনকি অনেক অসুস্থ্য রুগী ও রয়েছেন। এপ্রিল মাস তাই শীত একটু কম কিন্তু প্রচন্ড শীতে এই এ্যাম্বাসীর বাইরে ঠান্ডা গরম মিলিয়ে প্রতিদিনই এমন শত শত ইতালীয়ানরা তাদের প্রয়োজনীয় কাগজ পত্রের জন্য অপেক্ষা করেন। এর বেশীর ভাগ মানুষই কাজ শেষ না করে তলে যান আবার ও আসেন। আসতে যে হবেই।তবে এই ভোগান্তির শেষ কোথায়?

দীর্ঘ লাইন দেখে প্রথমে ঘাবরে গেলাম। গেইটের দুই পাশ দিয়ে দীর্ঘ লাইন। একপাশে আমার স্ত্রীকে লাইনে দাঁড় করিয়ে সাহস নিয়েই এগিয়ে গেলাম গেইটের দিকে আর একটু এলাম গেইটে সেই পুলিশের সাথে দেখা ভাগ্য সুপ্রসন্ন মনে হলো। আমাকে দেখার সাথেই বললেন দবে তু মল্লিয়া?

আমি বললাম আমার স্ত্রীকে লাইনে দাডিয়ে আছে। তিনি বললেন ভিয়েনি আমি হাত ইশারা দিলাম বেশ লম্বা লাইন বুঝে উঠা কস্ট। আমি তাড়াহুড় করে যেয়ে আমার স্ত্রীকে নিয়ে এলাম। আমাদের ভিতরে যেতে বললেন কিন্তু কভিড-১৯ এর কারনে একজনের বেশী প্রবেশর অনুমতি নেই সকল ফাইলপত্র নিয়ে সে ভিতরে গেল আমি বাহিরে দাঁড়িয় অপেক্ষা করছি আর বাইরের পরিস্থিতি দেখছি।

ছোট্ট শিশু নিয়ে লাইনে দাঁড়ানো মা ভিতরে গেলে বাবা বাহিরে আবার বাবা ভিতরে গেলে মা বাহিরে। শিশুটির চিৎকার সেদিকে কারো ভ্রুক্ষেপ নেই । একটি প্রতিবন্ধি তারও একই অবস্থা একজন খুবই অসুস্থ্য রুগী লাঠি ভর দিয়ে কোন রকম দাঁড়িয়ে আছেন। একজন গর্ভবতী মহিলা মনে হচ্ছে ব্যাথায় কাতরাচ্ছন। সবাই সাহায্য করতে চায় কিন্তু উপায় নেই। মাঝে মধ্যে লাইন ছেড়ে হাঁটাহাটি করছেন।তাকেও অপেক্ষা করতে হচ্ছে বাইরে ঘন্টার পর ঘন্টা।

ভাগ্য সুপ্রসন্ন তাই কিছু সময় পর আমার স্ত্রী অফিস থেকে বের হয়ে এলেন। এবার আমার ভিতরে যাওয়ার পালা। কাউন্টারের একটি নাম্বার ছিলো তাড়াহুড়া করে নাম্বার না নিয়েই কভিড চেক করে ডুকে গেছি । পরলাম মহা বিপদে অন্যদিন হলে হয়তো আবার ও ফিরিয়ে দিতেন কিন্তু না আমি দাঁডিয়ে আছি একটি কাউন্টার থেকে ইশারা দিচ্ছেন এক ভদ্র মহিলা সেই কাউন্টারে গেলাম শুধু একটি স্বাক্ষর আর ম্যাশিনে আংগুলের টিপ ব্যাস কাজ শেষ। এবার অন্য কাউন্টার যেতে বললেন।

চলে গেলাম সেই কাউন্টারে কার্ড দিয়ে পাসপোর্ট ফি দিলাম। কয়েক মিনিটের মধ্যেই নতুন একটি পাসপোর্ট হাতে দিয়ে বললেন চেক করে নিন কোন ভূল থাকলে ঠিক করে দেবো। চেক করে দেখলাম সব ঠিক আছে চলে আসছি তখন ডেকে পুরাতন পাসপোর্টটি দিলেন তবে প্রথম পৃস্টার কর্নার থেকে একটি অংশ কেঁটে দিলেন। পুরাতন পাসপোর্ট কাঁটা দেখে মনটা খারাপ হলেও নতুন পাসপোর্ট হাতে পেয়ে আনন্দে মনটা উৎফুল্ল হয়ে উঠলো।

দীর্ঘ দিনের কস্ট এবং সাধনার পর পাসপোর্ট হাতে পেয়ে বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা স্ত্রীকে সাথে নিয়ে বাসার দিকে আসছি। তখনো লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছেন শতশত ইতালীয়ান । তাদের অপেক্ষা কখন কি শেষ হবে?

আমার ছোট্ট জ্ঞানে এতটুকু বুঝি সবাই মিলে প্রতিবাদ ও দাবির মাধ্যমেই এর একটি সমাধান হওয়া উচিত। আমি এ্যাম্বাসীর নির্বাচত কমিটি কমিতাস এর সাথে আলাপ করেছি। এর কোন সৎ উত্তর নেই। ইতালী থেকে লন্ডনে আসা ইতালীয়ান দের অনেক গুলি সংগঠন আছে তাদের সাথেও কথা বলেছি আমিও একটি সংগঠনের সাথে দীর্ঘ দিন কাজ করেছি তখনো চেস্টা করেছি। একার পক্ষে নয় সম্মিলিত ভাবে অবশ্যই এর একটি সমাধান করা প্রয়োজন ।আন্দোলনের বিকল্প নেই।

আমাদের দাবী খুবই সামান্য:-

১/ এপোয়েন্টমেন্ট সহজ করুন করা।

২/ ফোন করলে রিছিপট করা।

৩/ ইমেইলে উত্তর দেওয়া।

৪/ অন লাইনের মাধ্যমে সময়কে আরো বাড়িয়ে দেওয়া।

৫/ অসুস্থ্য রোগী, গর্ভবতী মহিলা, ডিজেবল দের জন্য বিশেষ সুবিধা দেওয়া।

৬/ হেল্প ডেস্ক করে সবাইকে সহযোগিতা করা।

৭/ ছোট খাটে অনেক কাজ এগুলিকে আরো সহজ করা

৮/ বিবিধ

আসুন সবাই আমরা সবাই সম্মিলিত ভাবে আমাদের ন্যায্য অধিকার নিয়ে এ্যাম্বাসীকে অভহিত করি। না হলে বছরের পর বছর যুগের পর যুগ লন্ডনের এ্যাম্বাসীর এই অব্যাবস্থাপনার কবল থেকে মুক্তির উপায় আছে কি?


Similar Posts