| |

ব্রেক্সিটের ফলে ইইউর সাথে রপ্তানী থেকে ৩ মাসে £২ বিলিয়ন লোকসান ব্রিটিশ সরকারে।


মো: রেজাউল করিম মৃধা।

ব্রেক্সিটের ফলে ই ইউ এবং ইউকের সাথে দূরুত্ব বাড়ার সাথে সাথে ব্যাবসায়ী এবং অর্থনৈতিক ক্ষতি হচ্ছে উভয় দেশে। বাড়ছে আইনি জটিলতা। আমদানী রপ্তানীতে বাড়ছে সময় এবং ব্যায়।

ব্রিটেনের এইচআরএমসি এক গবেষনায় উঠে এসেছে গত এক কোয়াটারে অর্থাৎ মাত্র তিন মাসে ইইউ থেকে খাদ্য , ড্রিং এবং অন্যন্য দ্রব্য রপ্তানী থেক £২ বিলিয়ন পাউন্ড লোকসান হয়েছে। সেই সাথে শতকরা ৯০% ডেইলি প্রডাক্ট থেকে ও সকরার অর্থনৈতিক ভাবে লোকসান হচ্ছে বিলিয়ন পাউন্ড।

ব্রিটেন ইউরোপের দেশ গুলিতে রপ্তানী থেকে রাজস্ব আয় হয়ে থাকে তারমধ্যে ৫ টি অত্যান্ত গুরুত্ব পূর্ন:-

যেমন:-

১/ ম্যাশিন এবং মযাশিনের যন্ত্রাংশ থেকে শতকরা ১৩.০% পার্সেন্ট।

২/ ঔষধ এবং ঔষদ এর কাঁচা মাল থেকে শতকরা ১১.১% পার্সেন্ট।

৩/ গাড়ী এবং গাড়ীর যন্ত্রাংশ থেকে শতকরা ১০.৭% পার্সেন্ট।

৪/ ক্যামিক্যাল প্রডাক্টস থেকে শতকরা ৮.৮% পারসেন্ট এবং

৫/ কম্পিউটার, ইলেক্ট্রনিক ,চশমা এবং এর বিভিন্ন যন্ত্রাংশ রপ্তানী থেকে প্রতিবছর বিলিয়ন বিলিয়ন পাউন্ড সরকার আয় করে থাকে।

শুধু যে ব্রিটেন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে তা নয় সেই সাথে ইইউ দেশ গুলিও ব্যাবসায়ী ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। রপ্তানীর সাথে বহু খাদ্য দ্রব্য আমদানী করা হতো ই ইউ থেকে। আইনি জটিলতার কারনে সেই দ্রব্যের মূল্য বেড়ে যেতে পারে বহু গুন । এর জন্য ভক্তভোগী সরকার এবং সাধারন জনগন।(তথ্য দি গার্ডিয়ান)।

দীর্ঘ পাঁচ দশকের সম্পর্কের ছেদ যে সহজ নয়, তা বাস্তবে প্রমাণ হচ্ছে এখন। ব্রেক্সিট কার্যকর হওয়ায় ইউরোপে এখন নানামুখী সংকট। সাধারণ জনগণ ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন ইউরোপের বিভিন্ন দেশে। এই সংকটের সঙ্গে জড়িয়ে আছেন প্রায় ৫০ হাজার বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত ইউরোপীয় নাগরিক।সেখানে ইইউ ও ব্রিটেনের নাগরিকদের সমস্যা তুলে ধরা হয়েছে। বিভিন্ন কারণে ইউরোপের ২৭টি দেশের ইউরোপীয় নাগরিক এখন পর্যন্ত ব্রিটেনে বসবাসের চূড়ান্ত আবেদন করতে পারেননি।

ব্রেক্সিটের ফলে ব্যাবসার সাথে সাথে ইইউ এবং ইউকে সাধারন নাগরিকরা পরতে যাচ্ছেন বিভিন্ন সমস্যায়। পোহাতে হবে আইনি জটিলতায়।৩০ শে জুনের পর পালটে যাবে পুরোপুরি নিয়মনীতি।


Similar Posts