|

ব্রিটেনে করোনার দ্বিতীয় ওয়েবে পাল্লা দিয়ে বেড়েই চলছ আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা।


মো: রেজাউল করিম মৃধা।

ব্রিটেনের গবেষকরা বেশ কয়েক মাস আগেই সতর্ক দিয়ে বলে ছিলেন। শীতকালে করোনার দ্বিতীয় ওয়েব হবে আরে ভয়াবহ । তাদের সেই গবেষনা এখন বাস্তবায়ন হতে শুরু হয়েছে। প্রতিদিনই বাড়ছে নতুন করে মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা।এই ভাবে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়তে থাকলে পরিস্থিতি হতে পারে আরো মারাত্বক , আরো ভয়াবহ।

গত মঙ্গলবার একদিনে বৃটেনে মারা গেছেন ৩৬৭ জন। এদিন আক্রান্ত হয়েছেন কমপক্ষে ২৩ হাজার মানুষ। তবে এখনও এ বিষয়ে কি করা হবে, সে ইঙ্গিত দেয়া হয়নি ডাউনিং স্ট্রিট থেকে।

উপদেষ্টারা বলেছেন, কমপক্ষে তিন মাসে প্রতিদিন কয়েক শত করে মানুষ মারা যেতে পারে। এর মধ্য দিয়ে বৃটেনে ভয়াবহভাবে দ্বিতীয় দফা করোনা সংক্রমণের বিষয়ে ইঙ্গিত দেয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে আরো কঠোর লকডাউন আরোপের চাপ বৃদ্ধি পাচ্ছে বরিস জনসনের ওপর। বলা হচ্ছে, সামনেই শীতকাল। এ সময়ে বসন্তকালের চেয়ে বেশি মানুষ মারা যেতে পারেন করোনায়। সর্বশেষ যে সংখ্যা উল্লেখ করা হয়েছে তাকে উদ্বেগজনক বলে অভিহিত করেছেন সরকারের এক মুখপাত্র।

প্রধানমন্ত্রীর প্রধান বিজ্ঞান বিষয়ক উপদেষ্টা স্যার প্যাট্রিক ভ্যালেন্সসহ বিশেষজ্ঞরা আরো কঠোর বিধিনিষেধ আরোপের জন্য প্রধানমন্ত্রীর ওপর চাপ সৃষ্টি করছেন। তারা উদ্বেগ জানিয়ে বলছেন, বর্তমানে যে সংখ্যক মানুষ মারা যাচ্ছে তা আগামী কমপক্ষে তিন মাস অব্যাহত থাকতে পারে। এতে দিনে মারা যেতে পারেন হাজার হাজার মানুষ।

গবেষকরা আরো সতর্ক করে বলেছেন, মধ্য ডিসেম্বর নাগাদ ইংল্যান্ডকে সবচেয়ে কঠোর বিধিনিষেধ তৃতীয় পর্যায়ের অর্থাৎ টায়ার-৩ এর অধীনে আনার প্রয়োজন হতে পারে।যদিও প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন আশা করছেন ডিসেম্বর মাসে করোনা মহামারি নিয়ন্ত্রনে আসবে কিন্তু বাস্তবতা হতে পারে তার উল্টো। তাই সবাইকে আরো সতর্ক ভাবে চলতে হবে।

সরকারি হিসাবে বৃটেনে বর্তমানে করোনায় মৃতের সংখ্যা প্রায় ৫৯ হাজার। পাবলিক হেলথ ইংল্যান্ডের মেডিকেল পরিচালক ড. ইয়োনে ডোয়েল মঙ্গলবার সতর্কতা দিয়েছেন।

তিনি বলেছেন, “আরো কিছু সময় ধরে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়তে থাকবে। করোনায় সংক্রমণ ও মৃত্যুকে দমিয়ে রাখার চেষ্টা হচ্ছে যখন, তখন ওয়েস্ট ইয়র্কশায়ারে গুজব ছড়িয়ে পড়েছে যে, সেখানে টিয়ার-৩ এর অধীনে বিধিনিষেধ আরোপ করা হবে। এর অধীনে বাসাবাড়িতেও মেলামেশা করা যাবে না। বন্ধ থাকবে পাব”।


Similar Posts