| | |

ব্রিটেনের হ্যাম্পটন কোর্ট প্যালেসে এক দিন।


মো: রেজাউল করিম মৃধা।

ব্রিটেনের রানীর ৯টি প্যালেস আছে।

১/ ব্যাংকুইটিং হাউস বা হুয়াইট হল,

২/ ব্লেইনহিম প্যালেস,

৩/ বাকিংহাম প্যালেস,

৪/ হ্যাম্পটন কোর্ট প্যালেস,

৫/ কিংস্টন প্যালেস,

৬/ প্যানসহ্যাট প্যালেস,

৭/ রয়েল প্যাভিলন,

৮/ ওয়েস্ট মিনিস্টার হল এবং

৯/ ওয়েস্ট মিনিস্টাপ প্যালেস

এক একটি প্যালেসএক এক ভাবে সমাদ্রীত। প্রতি প্যালেস বা রাজ প্রাসাদ রয়েছে আলাদা আলাদ বৈশিস্ট। রানীর বর্তমান বসবাস বাকিংহাম প্যালেসে এই জন্য এই প্যালেসটিপ বেশী গুরুত্ব কিন্তু অন্যান্য ঐতিহাসিক প্যালেস গুলিও আমাদের ঘুরে ঘুরে দেখলে রাজ পরিবার বা সেই সময় কার অনেক ইতিহাস আমরা জানতে পারবো।

এই ৯ টি প্যালেস ছাড়াও রয়েছে ইন্ডজার ক্যাসেল, লন্ডন টাওয়ার ব্রিজ বা কিউ প্যালেস সহ রয়েছে অনেক ইতিহাস এবং ঐতিয্য।

যে কথা বলছিলাম, হ্যাম্পটন কোর্ট প্যালেস। থ্যাম্স রিভার সাইডের কোল ঘেঁষে ১৯ কিলোমিটার এলাকা নিয়ে রাজা হেন্ডী এইট এর আমলে কার্ডিয়াল উলসে নির্মান করেন হ্যাম্পটন কোর্ট প্যালেসটি।

১৯৩০ সালে এই রাজ প্রাসাদ নির্মান করা হয়। এতে রয়েছে ১৩৯০ টি রুম। সেন্ট জেম্স এইখানে বসবাস করতেন।টিকিট দিয়ে প্যালেসের ভিতরে প্রবেশ করলে তিন ঘন্টারও বেশী সময় লাগবে ঘুরে দেখতে।এখান রয়েছে থিয়েটার হল, লেইজি সেন্টার, প্রাইভেট এপার্টমেন্ট, হোটেল, কুইনের প্রাইভেট রুম এবং ম্যাজিক গার্ডেন।

বহু বছরের পুরাতন হলেও আজ মনে হবে নতুন ভাবে সাজানো হয়েছে। সুন্দর পরিপাটি, পরিস্কার পরিছন্ন, পর্যটক আসছে প্রতি মূহুর্তে । কিন্তু বাহির দিক থেকে দেখেই মুগ্ধ সবাই। অপরুপ সন্দর্যটানে মানুষ ছুটে আসে দেখার জন্য।

এক দিকে থ্যাম্স রিভার ছোট্ট ছোট্ট নৌকা থেকে, বোর্ট, ইন্জিন চালিত বোর্ট এবং পর্যটকদের নিয়ে নদীর এই প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত এবং এক স্টপ থেকে অন্য স্টপে ঘুরে বেড়ানোর মজাই আলাদা। এছাড়া প্যালেসএক পাশে রয়েছে ফল এবং ফুলের বাগান যা আপনার চোখ ধাঁধিয়্ দিবে। ঘুরে ঘুরে কখন দুপুর থেকে সন্ধ্যা হয়ে যাবে টেরই পাবেন না।

কভিড-১৯ বা করোনাভাইরাস মহামরির কারনে আপনাকে অন লাইনে অগ্রীম টিকিট বুকিং দিয়ে প্যালেস ভিতরে প্রবেশ করতে পারবেন। নতুবা বাহির থেকেই ঘুরে ফিরে দেখে চলে আসতে হবে।

যাতায়াতে রয়েছে বিশেষ সুবিধা। অনেকে দল বেঁধে পিকনিক করতে যান আবার স্কুল কলেজের শিক্ষার্ধীরা যান আবার অনেকেই যান নিজেদের উদ্দোগে।

গত কাল আমরা স্বপরিবার নিজে গাড়ী ড্রাইভ করেই রওয়ানা হলাম ইস্ট লন্ডনে আমার বাসা থেকে ২৫ কিলোমিটার পথ হলেও আমি £১৫.০০ কন্জেনশন চার্চ না দেওয়ার জন্য নর্থ সার্কেল রোড দিয়ে ঘুরে গেলাম প্রায় ২ ঘন্টারও বেশী লেগে গেলো কেননা রাস্তায় রাস্তায় ট্রাফিক তবে জায়গায় প্রবেশ করতেই মনটা জুডিয়ে গেল। এবার কার পার্কিং। কার পার্কিং পাওয়াটা বেশী মুসকিল। প্যালেস এর অপর পার্শে বেশকিছুটা দূরেই কার পার্কিং করার নির্দিষ্ট স্থানে চার্চ দিয়েই কার পার্কিং বেড়িয়ে পরলাম।

হ্যাম্পটন কোর্ট প্যালেস গেইট দেখে মুগ্ধ, সারিবদ্ধ ভাবে সামাজিক বজায় রেখেই প্রবেশ করলাম। কিছু ছবি তো তুলতেই হলো। ঘুরে দেখার পর বাগানে প্রবেশ করে অপরুপ দৃশ্য। এর পর দুপুরের খাবার খেয়ে এবার থ্যাম্স রিভার সাইটে সেই অপরুপ দৃশ্য গুলি সত্যিই অপরুপ।


Similar Posts