| |

বৃটেনে-ইইউ স্টুডেন্টদের ৫০% ফিস দিয়ে স্টাডি করার সুযোগ।


মো: রেজাউল করিম মৃধা।

“শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড” ব্রিটেনে শিক্ষাকে সব সময় প্রাধান্য দেওয়া হয়ে থাকে। এমনকি এই কভিড-১৯ করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যেও শিক্ষা যেন ব্যাবহত না হয় সেজন্য সবধরনের ব্যাবস্থা গ্রহন করেছে সরকার।

যখনই সুযোগ হয়েছে তখনই সরাসরি ক্লাস নিয়েছে শিক্ষা প্রতিস্ঠান গুলি। সরাসরি ক্লাস না নিলেও অন লাইনে ক্লাস নেওয়া হয়েছে। অন লাইনে ক্লাস নিয়েও পড়াশুনার অব্যহত রেখেছ।

ইউনিভার্সিটি গুলিতেও অনলাইনের মাধ্যমে ক্লাস নিয়ে লেখাপড়া রেখেছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীরা সরাসরি ক্লাস না করলেও অনলাইনের মাধ্যমে ক্লাস নিয়ে পরীক্ষাও নিয়েছে।

কভিড-১৯ করোনাভাইরাস বৃটেনে আন্তর্জাতিক স্টুডেন্ট কমেছে শতকরা ৬% পারসেন্ট। তবে ইইউ এর স্টুডেন্টের সংখ্যা বেড়েছে শতকরা ১৪% পারসেন্ট।

ডিপার্টমেন্ট ফর এডুকেশন এর স্পোক পার্সন বলেন,” ইইউ স্টুডেন্টদের জন্য বাৎসরিক ফিস শতকরা৫০% ডিস্কাউন্ড করা হয়েছে। যাতে ইইউ বা ইউরোপীয় ইউনিয়নের স্টুডেন্টরা স্টাডি করীর সুযোগ পান।

বৃটিশ সরকার চাচ্ছে ২০৩০ সালের মধ্যে প্রতিবছর ৬০০,০০০ স্টুডেন্টদের উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করা বা বৃটেনে লেখাপড়ার সুযোগ সৃস্টি করার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে সরকার। এজন্য ইইউ স্টুডেন্টদের ও উৎসাহিত করা হচ্ছে। যাতে ইইউ স্টুডেন্টরা উৎসাহিত বন।

সরকারের উচ্চশিক্ষা পলিসিতে প্রতিবছর বিদেশী শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে £১.৭ বিলিয়ন পাউন্ড এবং জাতীয় ভাবে বাজেট £২৮.৮ বিলিয়ন পাউন্ড।

ব্রিটেনের শিক্ষা ব্যাবস্থা সারা বিশ্বে সমাদ্রীত। সমান ভাবে গ্রহন যোগ্য। এই জন্য বিশ্বের সব দেশের শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষার জন্য প্রথম পছন্দ ব্রিটেন। প্রতিবছর বিশ্বের মেধাবী শিক্ষার্থীরা উচ্চ শিক্ষার জন্য ব্রিটেনের ইউনিভার্সিটি গুলিতে স্টাডি করার জন্য আসেন। বৃটিশ সরকারও প্রতিবছর বিদেশী শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টিউশন ফি নিয়ে একদিকে তাদের উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করেন অপর দিকে অর্থনৈতিক ভাবে লাভবান হয়।

কভিড-১৯ করোনাভাইরাস মহামারিতে শিক্ষা ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের সংখ্যা সামান্য কমলেও ইইউ শিক্ষার্থীদের সংখ্যা বেড়েছে। সেই সাথে ইইউ শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি শতকরা ৫০% পার্সেন্ট ডিসকাউন্টের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বৃটিশ এডুকেশন ডিপার্টমেন্ট।

সূত্র:- বিবিসি।


Similar Posts