ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ, বিতর্কের উর্ধে,
দেশ প্রেম এবং ঐক্যবদ্ধের শ্রেস্ঠ ইতিহাস।

মোঃ রেজাউল করিম মৃধা।
বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস নিয়ে অনেক তর্কবিতর্ক এবং মতভেদ থাকলেও ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ বিতর্কের উর্ধে।আমার ক্ষুদ্র জ্ঞানে মনে হয় ৭ই মার্চের ভাষণ সমগ্র বাঙালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ এবং স্বাধীনতার যাদুকরী মন্ত্রে উজ্জীবিত করে।
সেই ঐতিহাসিক ভাষনে দেখতে পাই পাকিস্তানি শোসন নিপিড়নের সৌচ্চার ভূমিকা।
যেমনঃ-
১/ সর্বোচ্চ দেশ প্রেম।
২/ সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য,
৩/ সুনির্দিষ্ট দিক নির্দেশনা,
৪/ মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি,
৫/শোষন নিপিড়নের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবার সাহস।
৬/ দলমত নির্বিশেষে সকলে ঐক্যবন্ধ হওয়ার শ্রেস্ঠ সময়।
৭/ হ্দয় থেকে দেশকে ভালোবাসা,
৮/ মানুষের জীবনের চেয়েও দেশ প্রেম বেশী তার প্রমান,
৯/ বিজয়ী পতাকা হাতে তোলার দৃঢ অংগীকার,
১০/ নারী পুরুষ বৃদ্ধ যুবক শ্রমিক কৃষক ছাত্র জনতা এবং তিন বাহিনী সহ সকলে একই পতাকা তলে সমবেত হওয়া।
১১/ রাজনৈতিক সৃজনশীল প্রজ্ঞা আবেগ এবং সপ্নকে বাস্তবায়ন করা।
১২/ আর্থ সামাজিক রাজনৈতিক এবং প্রশাসনিক বন্ধনের ইতিহাস।
১৩/ ৩০ লক্ষ মানুষের জীবন উৎসর্গ এবং ২ লক্ষ মা বোনের প্রতি অত্যাচারের ইতিহাস।
১৪/ ইউনেস্কোর ইতিহাসে সর্বশ্রেস্ঠ ভাষন।
১৫/ বাংলাদেশের তৎকালীন সময়ের সারে সাত কোটি মানুষের প্রানের মিশে যাওয়ার সর্বোচ্চ ইতিহাস।
১৬/ ৭ই মার্চের ভাষণ আমাদের প্রেরণার চিরন্তন উৎস।
১৭/ বাঙালির বীরত্বপূর্ণ সংগ্রাম ও সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে জাতির পিতা বংগবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের ঐ ভাষণের দিক- নির্দেশনাই ছিল।
১৮/ বজ্র কঠিন জাতীয় ঐক্যের মূলমন্ত্র।
১৯/ এক সাগর রক্তের বিনিময়ে অর্জিত বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের অমিত শক্তির উৎস ছিল এই ঐতিহাসিক ভাষণ।
২০/ জাতির পিতার এ কালজয়ী ভাষণ ছিল মুক্তিকামী বাঙালির মোহিত মহাকাব্য।
২১/ সেই ভাষণে জাতির পিতার লড়াকু, সক্ষ্ণদর্শী ও স্বপ্নাদিষ্ট প্রতিভার স্ফুরণ প্রকাশ পেয়েছে।
২২/ সেই শোভিত ভাষণ পাল্টে দিয়েছে একটি দেশের মানচিত্র, জাতীয় পতাকা ও জাতীয় সংগীত। এ ভাষণে ছিল বহুমাত্রিকতায় বৈচিত্র্যময় বৈশিষ্ট্যমন্ডিত।
২৩/ ৭ই মার্চের ভাষণ শুধু বাঙালি জাতির জন্যই নয়,এটি বিশ্বমানবতার ইতিহাসে শোষিত- বঞ্চিতদের অবিস্মরণীয়, অনুকরণীয় মহামূল্যবান দলিল।
ইউনেস্কোর সিদ্ধান্তে এটিই স্বীকৃত ,গণতন্ত্র, সুখৈশ্বর্য মানসিকতা, ত্যাগ দেশপ্রমের উজ্জ্বল আদর্শ, অন্যায়ের বিরুদ্ধে ন্যায়ের সংগ্রাম, জাতিভেদ – বৈষম্য ও জাতি নিপীড়নের বিরুদ্ধে বিশ্বমানবতার মুক্তির সংগ্রামে যুগে যুগে এ ভাষণ অনুপ্রেরণা জোগাবে।
শুধু বাংলাদেশ নয় সারা বিশ্বের সাধারণ মানুষ, রাষ্ট্রনায়ক, সমরকুশলী কাছে এটি সম্মোহনী হয়ে থাকবে।
জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে উভয় স্তরে অসংখ্য ভাষণ দেওয়া হয় তার গুরুত্ব কতটুকু বহন করে?
কিন্তু এই একটি ভাষণে অমানিশায় ডুবতে থাকা জাতি একটি অগ্নিস্ফুলিঙ্গ নির্দেশনা পায়, যাতে থাকবে দেশাত্মবোধ,আদর্শ ও স্বতন্ত্র জাতিস্বত্বা বিনির্মাণে উদ্বুদ্ধ হয়,এমনকি রক্তক্ষয়ী বিপ্লবে অংশগ্রহণ করে নিজের সর্বস্ব বিলিয়ে দিয়ে বিজয়ের পতাকা নিয়ে বিশ্বের বুকে তুলে ধরতে পেরেছি লাল সবুজের পতাকা এবং একটি মানচিত্র।
স্বাধীনতা পরবর্তী রাজনৈতিক পটভূমি, পরিবর্তন কিম্বা ক্ষমতার মোহে অনেক তর্কবিতর্ক থাকলেও ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ বিতর্কের উর্ধে একটি ঐক্যবন্ধের শ্রেস্ঠ ইতিহাস।