ইংল্যান্ডে চলছে ঘন্টায় ঘন্টায় ওমিক্রন পর্যালোচন। যে কোন সময় কঠোর বিধিনিষেধ।

মো: রেজাউল করিম মৃধা।
বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেন,” আমরা ঘন্টায় ঘন্টায় কভিড-১৯ করোনাভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন নিয়ে পর্যালোচনায় আছি। অবস্থার উপর নির্ভর করে যে কোন সময় লকডাউন বা কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ হতে পারে,”।
এরমধ্যে বাতিল করা হয়েছে:-
১/ রানীর ক্রিসমাসের ট্রেডিশনাল বড় বড় অনুস্ঠান।শুধু মাত্র পারিবারিক ভাবে বড় দিন পালন করবেন।
২/ নববর্ষের লন্ডন আই এবং ট্রাভেলগার স্কয়ারের বড় অনুস্ঠান বাতিল করা হয়েছে।
৩/ বন্ধ থাকবে লন্ডন ন্যাশনাল মিউজিয়াম।
৪/ বন্ধ থাকবে প্রিমিয়াম লীগ এবং ইংলিশ ফুটবল লীগ।
৫/ বড় বড় থিয়েটার হল বন্ধ থাকবে।
৬/ নাইট ক্লাবে ভ্যাক্সিন পাসপোর্ট বাধ্যতামূলেক এবং
ভোর ৪.০০টার পর বন্ধ।
আরো কঠোর হচ্ছে:-
বাড়িতে অন্য মেহমান প্রবেশ নিষেধ , সর্বোচ্চ ২ পরিবার দেখা করতে পারবে।
সামাজিক দূরুত্ব ফিরে আনতে বাধ্য করা হবে।
বৃহৎ যে কোন অনুস্ঠান বা গেদারিং নিশেধ হচ্ছে।
রেস্টুরেন্ট এবং পাবে ও লিমিটেড লোক প্রবেশের অনুমতি থাকবে।
অর্থনৈতিক দিক বিবেচনা করে লকডাউন না দেওয়ার জন্য মত প্রকাশ করেছেন বেশীর ভাগ এমপিরা।
ওমিক্রন এর আক্রান্তের উপর নির্ভর করে যে কোন সময় কঠোর নিয়ম বা লকডাউন ঘোষনা হতে পারে।
সায়েন্টিফিক প্যানডেমিক ইনসাইটস গ্রুপ অন বিহেভিয়ার্স (এসপিআই-বি) এর সদস্য প্রফেসর স্টিফেন রেইশার বলেন,” ওমিক্রনের দ্রুত ট্রান্সমিসিবিলিটি মানে এটি একটি এক্সপ্রেস ট্রেনের মতো আমাদের কাছে আসছে এবং জনসাধারণের কাছে পরিষ্কার বার্তা পৌঁছানো এবং শতর্ক করা সরকারে প্রধান দায়িত্ব,”।
লন্ডনের মেয়র সাদিক খান নতুন বিধিনিষেধকে অনিবার্য বলে অভিহিত করেছেন এবং সতর্ক করেছেন যে শীঘ্রই কঠোর নিয়মে আনা না হলে এনএইচএস পতনের দ্বারপ্রান্তে পৌছে যেতে পারে যেখানে কর্মীদের অনুপস্থিতি নাটকীয়ভাবে জনসেবাকে প্রভাবিত করবে,”।
কভিড-১৯ এর ওমিক্রন ঠেকাতে বুস্টার ডোজ ভ্যাকসিন শতকরা ৮০% কার্য়কর। কোভিড বুস্টার ডোজ ওমিক্রনের উপর যে সম্ভাব্য প্রভাব ফেলবে তা বিশ্লেষণ করেছেন এবং এটি গুরুতর অসুস্থতার বিরুদ্ধে প্রায় ৮৫% সুরক্ষা প্রদান করতে পারে।তাই ভ্যাকসিন দেওয়ার প্রতি জোড় তাগিদ দেওয়া হচ্ছে।