ইংরেজী নববর্ষ উপলক্ষে লন্ডনে আতশবাজির প্রদর্শনী উৎসব বাতিল বলে ঘোষনা।

মো: রেজাউল করিম মৃধা।
ইংরেজী নববর্ষ বিশ্বের সব মানুষের সবচেয়ে বড় উৎসব।নববর্ষ উপলক্ষে বিশ্বের অন্যান্য দেশের এবং বড় বড় শহর গুলির বিশেষ স্থানে আতশবাজি ফুটিয়ে নববর্ষেকে বরণ করা হয়। নির্দিষ্ট স্থানে হাজার হাজার মানুষের সমাগম হয়।
বিশ্বের অন্যান্য শহরের মত লন্ডন শহরও একটি বৃহৎ শহর এই শহরের লন্ডন আইর কেন্দ্র স্থলে আতশবাজি ফুটিয়ে নববর্ষকে বরণ করা হয়। এই উৎসবে হাজির হন বিভিন্ন বয়সের হাজার হাজার মানুষ। প্রথম দিকে জনসাধারনের জন্য লন্ডন আই প্রবেশ উন্মুক্ত থাকলেও গত কয়েক বছর ধরে জনসাধারন বেশী হওয়াতে টিকিট সিস্টেম করা হয়েছে। তারপরও উৎসুক জনসাধারনের উপস্থিতি বেড়েই চলছে।
করোনাভাইরাস মহামারির কারনে গত বছরের মত এবছর ও লন্ডনে আতশবাজির প্রদর্শন বাতিল বলে ঘোষনা করা হয়েছে। কোভিডের কারণে সৃষ্ট অনিশ্চয়তার জন্য গত বছরের ন্যায় এই বছর আবার লন্ডনের টেমস নদীর তীরে লন্ডন আই এর সামনে পাশেই বিগ বোন এবং ওয়েস্টমিনিস্টা এর আঁশেপাশের এলাকায় চমৎকার আতশবাজি প্রদর্শন করা হবে না।অনুষ্ঠানটি টানা দ্বিতীয় বছরের জন্য বন্ধ থাকবে।
ট্রাফালগার স্কোয়ারে একটি পৃথক পার্টি করার পরিকল্পনা আপাতদৃষ্টিতে চলছে। তবে সেখানে জনসাধারন প্রবেশ করতে পারবেন কি না সে বিষয় এখনো কোন কিছু জানাননি কর্তৃপক্ষ।
যদিও জুলাই থেকে বড় আকারের ইভেন্টগুলি নিষেধাজ্ঞা ছাড়াই সংঘটিত হতে সক্ষম হয়েছে, তবে আয়োজকরা শীতকালে কোভিড-১৯ এর পরিস্থিতি সম্পর্কে সতর্ক বলে মনে করছেন।মূলত মানুষের জীবন সুরক্ষার জন্য লন্ডন মেয়র অফিস থেকে এ ঘোষনা দেওয়া হয়। এছাড়াও বড় ধরনের উৎসব বা গ্যাদারিং না করার ও নির্দেশ রয়েছে। বড় বড় উৎসব থেকেই করোনাভাইরাস মহামারি ছড়িয়ে পরে।
লন্ডনের মেয়রের একজন মুখপাত্র বলেন, ‘বরাবরের মতো এবছরও লন্ডন নতুন বছরকে অসাধারণভাবে স্বাগত জানাবে।কোভিড -১৯ মহামারীর জন্যে সৃষ্ট অনিশ্চয়তার কারণে, আমাদের বিশ্ব বিখ্যাত নববর্ষ উপলক্ষ এই বছর টেমসের তীরে লন্ডন আই এর সামনে অনুষ্ঠিত হবে না।
‘গত বছরের সফল শো মহামারীর কারণে কিছুটা ভিন্ন উপায়ে সংঘটিত হয়েছিল এবং এই বছর লন্ডনে আমাদের নববর্ষের উদযাপনের অংশ হিসাবে বেশ কয়েকটি উত্তেজনাপূর্ণ নতুন বিকল্প বিবেচনা করা হচ্ছে।
এই বছরের উদযাপনের বিস্তারিত বিবরণ যথাসময়ে ঘোষণা করা হবে।
গত বছর নববর্ষের প্রাক্কালে ভাইরাসের দ্বিতীয় তরঙ্গের মাঝখানে সংঘটিত হয়েছিল, যখন আলফা বৈচিত্রটি কেন্ট থেকে সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে – বড়দিনের জন্য অনেক লোকের পরিকল্পনা ছোট আকারে ঘরোয়া পরিবেশ করা হয়েছিলো।
করোনাভাইরাস মহামারি থেকে মুক্ত হবে সারা বিশ্ব। নিজে শতর্ক থাকুন অপরকে শতর্ক থাকতে সাহাব করুন। বারবার হাত পরিস্কার করুন, সামাজিক দূরুত্ব বজায় রাখুন। আল্লাহ আমাদের সহায় হোন । আমিন।